Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
PAkistan Army

Pakistan Army aircraft: ছিলেন পাক সেনা, খুন করে বিমান চালিয়ে ভারতে! এক ‘দেশদ্রোহী’ বাংলাদেশির কাহিনি

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ তখন সবে শেষ হয়েছে। পঞ্জাবের হোশিয়ারপুর জেলার কাছে মাইলি এবং সারঙ্গল গ্রামে একটি পাকিস্তানি যুদ্ধবিমান অবতরণ করে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০২২ ১১:৩২
Share: Save:
০১ ১৮
যুদ্ধ নিজেই একটি ঘটনা বা কাহিনি। কিন্তু তার ভিতর আবার লুকিয়ে থাকে অসংখ্য উপকাহিনি বা ঘটনার স্রোত।  তেমনই এক ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে সম্প্রতি। যে ঘটনার সঙ্গে যোগ রয়েছে পঞ্জাবের।

যুদ্ধ নিজেই একটি ঘটনা বা কাহিনি। কিন্তু তার ভিতর আবার লুকিয়ে থাকে অসংখ্য উপকাহিনি বা ঘটনার স্রোত। তেমনই এক ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে সম্প্রতি। যে ঘটনার সঙ্গে যোগ রয়েছে পঞ্জাবের।

০২ ১৮
১৯৭২ সালের ২ জানুয়ারি। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ তখন সবে শেষ হয়েছে। পঞ্জাবের হোশিয়ারপুর জেলার কাছে মাইলি এবং সারঙ্গল গ্রামে একটি পাকিস্তানি যুদ্ধবিমান অবতরণ করে। গ্রামে হঠাৎ পাক বিমান  নামতে দেখে গ্রামবাসীদের মধ্যে শোরগোল পড়ে যায়।

১৯৭২ সালের ২ জানুয়ারি। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ তখন সবে শেষ হয়েছে। পঞ্জাবের হোশিয়ারপুর জেলার কাছে মাইলি এবং সারঙ্গল গ্রামে একটি পাকিস্তানি যুদ্ধবিমান অবতরণ করে। গ্রামে হঠাৎ পাক বিমান নামতে দেখে গ্রামবাসীদের মধ্যে শোরগোল পড়ে যায়।

০৩ ১৮
ওই এল-১৯ যুদ্ধ বিমানের ভিতর থেকে পুলিশ উদ্ধার করে এক পাক মেজরের দেহ। পাক বাহিনীতে কর্মরত এক বাঙালি সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট ওই বিমানটি চালাচ্ছিলেন।

ওই এল-১৯ যুদ্ধ বিমানের ভিতর থেকে পুলিশ উদ্ধার করে এক পাক মেজরের দেহ। পাক বাহিনীতে কর্মরত এক বাঙালি সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট ওই বিমানটি চালাচ্ছিলেন।

০৪ ১৮
জানা গিয়েছে, পশ্চিম পঞ্জাবের গুজরানওয়ালার কাছে সাতরাহ নামে একটি ছোট বিমান ঘাঁটি থেকে দু’জনে রওনা হন। সেই সময় বিমানটি চালাচ্ছিলেন পাক মেজর মুহাম্মদ কাসিম। তাঁর সঙ্গে ছিলেন সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট মুহাম্মদ হুমায়ুন রাজা।

জানা গিয়েছে, পশ্চিম পঞ্জাবের গুজরানওয়ালার কাছে সাতরাহ নামে একটি ছোট বিমান ঘাঁটি থেকে দু’জনে রওনা হন। সেই সময় বিমানটি চালাচ্ছিলেন পাক মেজর মুহাম্মদ কাসিম। তাঁর সঙ্গে ছিলেন সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট মুহাম্মদ হুমায়ুন রাজা।

০৫ ১৮
তবে দু’জনের একত্রে বিমানে রওনা হওয়ার কথা ছিল না।  এর পিছনেও রয়েছে একটি গল্প

তবে দু’জনের একত্রে বিমানে রওনা হওয়ার কথা ছিল না। এর পিছনেও রয়েছে একটি গল্প

০৬ ১৮
পাক সেনার সিগন্যাল ব্যাটালিয়নে কর্মরত বাংলাদেশের পাবনার বাসিন্দা রাজা অনেক দিন ধরে সুযোগ খুঁজছিলেন ভারতে পালিয়ে আসার। কিন্তু কিছুতেই সে সুযোগ পাচ্ছিলেন না।

পাক সেনার সিগন্যাল ব্যাটালিয়নে কর্মরত বাংলাদেশের পাবনার বাসিন্দা রাজা অনেক দিন ধরে সুযোগ খুঁজছিলেন ভারতে পালিয়ে আসার। কিন্তু কিছুতেই সে সুযোগ পাচ্ছিলেন না।

০৭ ১৮
এই ঘটনায় পর যে তথ্য প্রকাশ্যে আসে তা থেকে জানা যায়, গুজরানওয়ালা থেকে সাতরাহের উদ্দেশে যাত্রা করেন কাসিম। সেই সময় তাঁর বিমানে ছিলেন বেশ কয়েক জন পাক সেনা আধিকারিক। তাঁদের পাসরুতে পৌঁছে দেওয়ায়ই মূল উদ্দেশ্য ছিল সেই যাত্রার।

এই ঘটনায় পর যে তথ্য প্রকাশ্যে আসে তা থেকে জানা যায়, গুজরানওয়ালা থেকে সাতরাহের উদ্দেশে যাত্রা করেন কাসিম। সেই সময় তাঁর বিমানে ছিলেন বেশ কয়েক জন পাক সেনা আধিকারিক। তাঁদের পাসরুতে পৌঁছে দেওয়ায়ই মূল উদ্দেশ্য ছিল সেই যাত্রার।

০৮ ১৮
সাতরাহে বিমান নামতেই কাসিমের সঙ্গে দেখা করেন রাজা। তিনি বিমান চালককে অনুরোধ করেন গুজরানওয়ালায় ছেড়ে দেওয়ার জন্য।

সাতরাহে বিমান নামতেই কাসিমের সঙ্গে দেখা করেন রাজা। তিনি বিমান চালককে অনুরোধ করেন গুজরানওয়ালায় ছেড়ে দেওয়ার জন্য।

০৯ ১৮
কিন্তু কাসেম তাঁকে জানান, এ জন্য রাজাকে বিভাগীয় সদর দফর থেকে অনুমতি নিতে হবে এবং তিনি পাসরুর উদ্দেশে রওনা দেন।

কিন্তু কাসেম তাঁকে জানান, এ জন্য রাজাকে বিভাগীয় সদর দফর থেকে অনুমতি নিতে হবে এবং তিনি পাসরুর উদ্দেশে রওনা দেন।

১০ ১৮
কিন্তু কাসেম তাঁকে জানান, এ জন্য রাজাকে বিভাগীয় সদর দফর থেকে অনুমতি নিতে হবে এবং তিনি পাসরুর উদ্দেশে রওনা দেন।

কিন্তু কাসেম তাঁকে জানান, এ জন্য রাজাকে বিভাগীয় সদর দফর থেকে অনুমতি নিতে হবে এবং তিনি পাসরুর উদ্দেশে রওনা দেন।

১১ ১৮
মেজর কাসিমের মুখে নিজের সার্ভিস রিভলভার দিয়ে পর পর দু’টি গুলি করেন রাজা। তার পর নিজেই বিমান চালাতে শুরু করেন।

মেজর কাসিমের মুখে নিজের সার্ভিস রিভলভার দিয়ে পর পর দু’টি গুলি করেন রাজা। তার পর নিজেই বিমান চালাতে শুরু করেন।

১২ ১৮
তাঁর বিমান চালানোর স্বল্প অভিজ্ঞতা ছিল। কয়েক মাস আগে তিনি বিমান চালানোর যোগ্যতার পরীক্ষাও দিয়েছিলেন।

তাঁর বিমান চালানোর স্বল্প অভিজ্ঞতা ছিল। কয়েক মাস আগে তিনি বিমান চালানোর যোগ্যতার পরীক্ষাও দিয়েছিলেন।

১৩ ১৮
ওই স্বল্প জ্ঞান নিয়েই তিনি ককপিটে বসে বিমানটি চালাতে শুরু করেন এবং তার অভিমুখ ভারতের দিকে ঘুরিয়ে দেন। সেই সময় বিমানে পড়ে ছিল কাসেমের নিথর দেহ।

ওই স্বল্প জ্ঞান নিয়েই তিনি ককপিটে বসে বিমানটি চালাতে শুরু করেন এবং তার অভিমুখ ভারতের দিকে ঘুরিয়ে দেন। সেই সময় বিমানে পড়ে ছিল কাসেমের নিথর দেহ।

১৪ ১৮
ভারতে পঞ্জাবের হোশিয়ারপুর পর্যন্ত তিনি বিমানটি উড়িয়ে নিয়ে যেতে সক্ষম হন। তার পর সেখানে অবতরণ করেন। স্থানীয় পুলিশের কাছে গিয়ে তিনি আত্মসমর্পণ করেন।

ভারতে পঞ্জাবের হোশিয়ারপুর পর্যন্ত তিনি বিমানটি উড়িয়ে নিয়ে যেতে সক্ষম হন। তার পর সেখানে অবতরণ করেন। স্থানীয় পুলিশের কাছে গিয়ে তিনি আত্মসমর্পণ করেন।

১৫ ১৮
বিমান থেকে পুলিশ কাসিমের দেহ উদ্ধার করে। পরে তাঁর মৃতদেহকে পাক বাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া

বিমান থেকে পুলিশ কাসিমের দেহ উদ্ধার করে। পরে তাঁর মৃতদেহকে পাক বাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া

১৬ ১৮
মেজর কাসিমকে মরণোত্তর বীরত্বের পুরস্কার সিতারা-ই-জুররাত প্রদান করে পাকিস্তান।

মেজর কাসিমকে মরণোত্তর বীরত্বের পুরস্কার সিতারা-ই-জুররাত প্রদান করে পাকিস্তান।

১৭ ১৮
কারণ, ধরে নেওয়া হয়েছিল, বিমানটিকে ভারতের অভিমুখে নিয়ে যাওয়া আটকাতে গিয়েই প্রাণ দিয়েছেন মেজর কাসিম। তাঁকে গুলি করে হত্যা করা হয়।

কারণ, ধরে নেওয়া হয়েছিল, বিমানটিকে ভারতের অভিমুখে নিয়ে যাওয়া আটকাতে গিয়েই প্রাণ দিয়েছেন মেজর কাসিম। তাঁকে গুলি করে হত্যা করা হয়।

১৮ ১৮
সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট রাজাকে ভারত সরকার নবগঠিত বাংলাদেশে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছিল। তবে তিনি তাঁর বীরত্বের জন্য নিজের দেশে পুরস্কার পেয়েছিলেন কি না তা জানা যায়নি।

সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট রাজাকে ভারত সরকার নবগঠিত বাংলাদেশে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছিল। তবে তিনি তাঁর বীরত্বের জন্য নিজের দেশে পুরস্কার পেয়েছিলেন কি না তা জানা যায়নি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy