—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
ইন্টারনেটের উপরে নিষেধাজ্ঞা নিয়ে ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশ করে প্রশাসনের রোষে পড়ল ‘হাম মিহান’ সংবাদপত্র। তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের হয়েছে। তবে সংবাদপত্রটির বিরুদ্ধে কী ধরনের পদক্ষেপ করা হবে, বা সেটির কর্তৃপক্ষকে কী শাস্তির মুখে পড়তে হবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
সংস্কারের বার্তা দিয়ে এ বছর জুলাই মাসে প্রেসিডেন্ট হয়েছেন পেশায় হৃদ্রোগ ও শল্যবিশারদ মাসুদ পেজ়েশকিয়ান। তিনি বলেছিলেন, ঠিকমতো হিজাব না পরলে মহিলাদের যে কঠোর শাস্তির মুখে পড়তে হয়, তা পাল্টে ফেলবেন তিনি। পুলিশদের বলবেন এ ধরনের বিষয়ে সংবেদনশীল হতে। হাম মিহান সংবাদপত্রটিও ‘সংস্কারধর্মী’ বলে পরিচিত। ফলে ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশ করে সেই সংবাদপত্র প্রশাসনের বিরাগভাজন হওয়ায় প্রশ্ন উঠছে, সত্যিই কি সামাজিক রীতিনীতি সংস্কার করতে আগ্রহী প্রেসিডেন্ট? প্রসঙ্গত, পেজ়েশকিয়ান প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরে এই প্রথম কোনও সংবাদমাধ্যমকে প্রশাসনের রোষের মুখে পড়তে হল।
বুধবার হাম মিহানে প্রকাশিত ব্যঙ্গচিত্রটিতে দেখা যাচ্ছে, পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে ক্যাবিনেটের মুখপাত্র ফতেমে মোহাজেরানির সঙ্গে কথা বলছেন বাইবেলের চরিত্র ‘জোব’। ফতেমে-কে জোব জিজ্ঞাসা করছেন, ‘আচ্ছা ইন্টারনেটের সমস্যা কবে মিটবে কিছু বলতে পারেন?’ কোনও উত্তর দিচ্ছেন না ফতেমে। ইরানের বিদেশি ওয়েবসাইটের স্পিড কমিয়ে দিয়ে কণ্ঠরোধ করার যে প্রযুক্তি, তা অনেক দিন ধরেই সমালোচিত হয়ে আসছে। দেশের একটা বড় অংশ আশা করেছিল, এবং প্রেসিডেন্ট পেজ়েশকিয়ান আশ্বাসও দিয়েছিলেন, বিষয়টি পর্যালোচনা করে দেখবেন তিনি। কার্যক্ষেত্রে তা হয়নি। এই ব্যঙ্গচিত্রের ব্যাখ্যা করে সমালোচকেরা বলছেন, দেশের মানুষের ধৈর্য্য বোঝাতে বাইবেলের চরিত্রের ব্যবহার করেই সমস্যায় পড়েছে হাম মিহান।
এর আগে অসংখ্য বিতর্কিত ব্যঙ্গচিত্র ছেপে বারবার ইরানের রোষে পড়েছে ফরাসি পত্রিকা শার্লি এবদো। হজরত মহম্মদকে নিয়ে ব্যঙ্গচিত্র ছাপার পরে প্যারিসে তাদের দফতরে জঙ্গি হামলা হয়, নিহত হন ১২ জন। তার পরেও ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতোল্লা আলি খামেনেইকে নিয়েও ব্যঙ্গচিত্র ছেপেছে তারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy