দিশাহারা মানুষ জানেন না কোথায় যাবেন, কোথায় তাঁদের তাড়া করবে না মৃত্যুভয়। —ফাইল চিত্র।
শুধু ঠাঁই হারানো তো নয়, প্রাণটুকু বাঁচিয়ে রাখার নিরন্তর লড়াই। ন’মাসের উপর হামাস-ইজ়রায়েল যুদ্ধ চলছে। হাজার হাজার মৃত্যু। সাধারণ মানুষকে উত্তর গাজ়া ভূখণ্ড ফাঁকা করে দিয়ে দক্ষিণে চলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল ইজ়রায়েলি বাহিনী। এখন দক্ষিণেও তাণ্ডব চালাচ্ছে তারা। খান ইউনিসে সম্প্রতি পাঁচ ইজ়রায়েলি বন্দির দেহ মিলেছে। তার পর থেকে যুদ্ধের তীব্রতা আরও বেড়েছে। দিশাহারা মানুষ জানেন না কোথায় যাবেন, কোথায় তাঁদের তাড়া করবে না মৃত্যুভয়। রাষ্ট্রপুঞ্জ আজ জানিয়েছে, গত চার দিনে দক্ষিণ গাজ়ার খান ইউনিস ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছেন ১ লক্ষ ৮০ হাজার প্যালেস্টাইনি।
রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার সংস্থা ওসিএইচএ জানিয়েছে, যুদ্ধের পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ বিশৃঙ্খলাও বেড়েছে। মানুষ ঘর হারিয়ে এক জায়গার অস্থায়ী শিবিরে আশ্রয় নিয়েছিলেন। এখন সেই জায়গাও ফাঁকা করে দিয়ে নতুন জায়গায় মাথা গোজার ঠাঁই খুঁজছেন তাঁরা। ইজ়রায়েলি বাহিনী ঘোষণা করেছে, খান ইউনিসের যে অংশগুলোকে ‘নিরাপদ’ বলেছিল তারা, সেখানেও এ বার বিধ্বংসী হামলা চালাবে তারা। কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তারা জানিয়েছে, এই এলাকা থেকে হামাসের অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া পাঁচ জনের মৃতদেহ মিলেছে। সেনাপ্রধান হারজ়ি হালেভি জানিয়েছেন, মাটির নীচে সুড়ঙ্গের ভিতরে একটি গোপন জায়গায় লুকোনো ছিল দেহগুলো। তিনি একটি বিবৃতি দিয়ে বলেছেন, ‘‘এই জায়গার কাছাকাছি এর আগেও গিয়েছিল বাহিনী। কিন্তু তখন আমরা জানতাম না, বন্দিদের কাছে কী ভাবে পৌঁছব। এই সপ্তাহেই বিষয়টা উদ্ঘাটন হয়।’’
এর পর থেকেই যুদ্ধের তীব্রতা আরও বেড়েছে খান ইউনিসে। ইজ়রায়েলি বাহিনী দাবি করেছে, এক সপ্তাহে কমপক্ষে ১০০ জঙ্গিকে খতম করেছে তারা। নাসের হাসপাতাল জানিয়েছে, তাদের কাছে ২৬টি মৃতদেহ এসেছে। সেন্ট্রাল গাজ়ার দের এল-বালায় একটি স্কুলে ইজ়রায়েলি বায়ুসেনার হামলায় ৩০ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি শিশুও রয়েছে। হামাস পরিচালিত গাজ়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া হিসেব অনুযায়ী, যুদ্ধে এই পর্যন্ত অন্তত ৩৯,১৭৫ প্যালেস্টাইনির মৃত্যু হয়েছে গাজ়া ভূখণ্ডে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy