বিষধর সাপকে গিলে খাচ্ছে ব্যাঙ। ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া।
বড় বড় প্রাণীরা এক ছোবলেই ঘায়েল হয়ে যেতে পারে, এমনকি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়তে পারে। এমনই বিষধর ‘কোস্টাল টাইপান’ সাপ। সেই সাপকেই জ্যান্ত গিলে খেয়ে ফেললে একটি সবুজ রঙের গেছো ব্যাঙ।আর এমন বিষধর সাপকে খাওয়ার পর কী হল দেখুন সেই ব্যাঙের।
অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যন্ডে ‘স্নেক টেক অ্যাওয়ে’এবং ‘চ্যাপেল পেস্ট কন্ট্রোল’নামে দু’টি সংস্থাচালান জেমি চ্যাপেল। মঙ্গলবার কাজ সেরে বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময় একটি ফোন পান। এক মহিলা উত্কণ্ঠার সঙ্গে জানান, তাঁর বাড়িতে একটি বিষধর সাপ ঢুকে পড়েছে। সঙ্গে সঙ্গে গাড়ি ঘুরিয়ে ওই মহিলার বাড়ির দিকে রওনা দেন চ্যাপেল।
চ্যাপেল সেখানে গিয়ে জানতে চান সপটি কোথায়। মহিলা তাঁকে বলেন বাড়ির পিছনের অংশে তিনি সাপটিকে দেখেছিলেন। সেখানে গিয়ে দেখেন, সাপের বদলে বসে রয়েছে একটি সবুজ রঙের গেছো ব্যাঙ। আর সে দিব্বি গিলে খেয়ে যাচ্ছে সাপটিকে। এই ব্যাঙগুলি সাধারণত গাছে থাকে।
আরও পড়ুন: প্লাস্টিকের বোতল উগরে দিচ্ছে বিষধর সাপ
চ্যাপেল জানিয়েছেন, তিনি সাপটিকে উদ্ধারের চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু ব্যাঙটি তার মুখের খাবার ছেড়ে দিতে রাজি ছিল না। তাই অগত্যা তাঁর কিছু করার ছিল না। কোস্টাল টাইপান খুব বিষধর সাপ। স্থলভাগে যে সব বিষাক্ত সাপ পাওয়া যায় তাদের তালিয়ায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে এটি। তাই বিষের তীব্রতার কথা মাথায় রেখে চ্যাপেল ভাবছিলেন ব্যাঙটির অবস্থা কী হবে।
আরও পড়ুন: ‘হাঁটু ছাড়া’ ছবি পোস্ট করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রলের মুখে করিনা!
সাপটিকে ব্যাঙের পুরোপুরি গিলে খাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করেন চ্যাপেল। কারণ তিনি ভয় পাচ্ছিলেন, ব্যাঙটি সাপটিকে না জ্যান্ত উগরে দেয়। তা হলে আরও বিপদ হবে। সাপটিকে পুরো গিলে খেয়ে নেওয়ার পর ব্যাঙটিকে একটি পাত্রে ভরে বাড়ি ফিরে যান চ্যাপেল।
আরও পড়ুন: নুড প্যান্টসুটে বিশ্বকাপের ট্রফি উদ্বোধন অনুষ্ঠানে করিনা কপূর
চ্যাপেল ভেবেছিলেন, সাপটি খাওয়ার পর ব্যাঙটি হয়তো মারা যাবে। কিন্তু কয়েক দিন পরেও তার কিছুই হয় না। শুধু বেঁচে থাকাই নয়, দিব্বি লাফিয়ে বেড়াচ্ছে ব্যাঙটি। আরও কয়েকদিন পর্যবেক্ষণে রাখার পর ব্যাঙটিকে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন চ্যাপেল। বিষয়টি নিয়ে তিনি ফেসবুকে পোস্টও করেছেন।
দেখুন সেই পোস্ট:
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy