সুদানে ভয়াবহ বিস্ফোরণ।
কারখানায় প্রচুর পরিমাণে দাহ্য পদার্থ মজুত ছিল। কিন্তু ছিল না অগ্নি সুরক্ষা ব্যবস্থা। কারখানা চত্বরে দাঁড়িয়ে থাকা একটি এলপিজি ট্যাঙ্কারে আচমকা আগুন লেগে যায়। মুহূর্তে তা ছড়িয়ে পড়ে গোটা কারখানায়। গত কাল সুদানের রাজধানী খার্তুমের উত্তরে বাহরি এলাকায় একটি সেরামিক কারখানায় ওই ট্যাঙ্কার বিস্ফোরণে ১৮ জন ভারতীয়-সহ ২৩ জন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। আহত ১৩০। অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
সুদানে ভারতীয় দূতাবাসের তরফে আজ এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, সাত জন ভারতীয় আপাতত হাসপাতালে ভর্তি। যাঁদের মধ্যে চার জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। দুর্ঘটনার পর থেকে খোঁজ নেই অন্তত ১৬ জন ভারতীয়ের। ভারতীয় দূতাবাস বিবৃতিতে জানিয়েছে, নিখোঁজেরাও বিস্ফোরণে মারা গিয়েছেন কি না, তা স্পষ্ট নয়। মৃতদের নামের সঙ্গে নিখোঁজদের নামও মিশে থাকতে পারে। তাই ঠিক ক’জন নিখোঁজ তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। কারণ, মৃতদেহগুলি এতটাই ঝলসে গিয়েছে যে চেনার উপায় নেই। মৃতদের শনাক্ত করতে সময় লাগবে বলে জানিয়েছে প্রশাসন। ওই কারখানায় ৬৮ জনেরও বেশি ভারতীয় কাজ করতেন বলে খবর। কোনও ক্রমে পরে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছেন ৩৪ জন ভারতীয় শ্রমিক।
বিস্ফোরণের তীব্রতা এটাই ছিল যে কিছু বুঝে ওঠার আগেই কারখানার অধিকাংশ অংশে আগুন ধরে যায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, কালো ধোঁয়ায় গোটা এলাকা ঢেকে গিয়েছে। দিশেহারা লোকজন ছোটাছুটি করছেন। আগুন নেভাতে আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছেন দমকল কর্মীরা।
ভারতীয়দের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করে টুইট করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জয়শঙ্কর একটি নম্বর টুইট করে জানিয়েছেন, মৃত ও আহতদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে ভারতীয় দূতাবাস।
সুদানের প্রধানমন্ত্রী আবদাল্লা হামদক এখন আমেরিকায়। তিনি জানিয়েছেন, কী ভাবে দুর্ঘটনা ঘটল তা জানতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করতে বলা হয়েছে। কারখানায় যে অগ্নি সুরক্ষার ব্যবস্থা যথাযথ ছিল না, তা-ও স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy