প্রতীকী ছবি।
কে কার ড্রোন ধ্বংস করেছে, এ নিয়ে ইরান ও আমেরিকার মধ্যে চাপান-উতোর চলছেই। এ বার সেই উত্তেজনার পারদ আরও চড়ল পারস্য উপসাগরে একটি ব্রিটিশ তেলের ট্যাঙ্কারকে আটক করা নিয়ে। তেহরানই বলছে, সমুদ্র-আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে গত কাল হরমুজ় প্রণালীতে ‘স্টেনা ইম্পেরা’ নামের ওই ট্যাঙ্কারটি আটক করেছে তাদের ইসলামিক রেভোলিউশনারি গার্ড। জাহাজটিতে ১৮ জন ভারতীয় কর্মী রয়েছেন। তাই উদ্বিগ্ন ভারতও। এঁদের উদ্ধারে ইতিমধ্যেই তেহরানের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা শুরু হয়েছে বলে দাবি ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের।
এ দিকে ব্রিটেন ফুঁসছে। বিদেশসচিব জেরেমি হান্ট কাল ইরানকে কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘‘দ্রুত সমাধান না-হলে, এই ঘটনার ফল হবে মারাত্মক।’’ আজ যদিও খানিকটা সুর নরম করে আলোচনার পথে হাঁটারই ইঙ্গিত দিয়েছে লন্ডন। আপাতত নিজেদের জাহাজগুলিকে হরমুজ় প্রণালী এড়িয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ব্রিটেন।
জাহাজটি আদতে সুইডিশ সংস্থা স্টেনা বাল্ক-এর। পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে তারাও। আজ সংস্থার এক কর্তা জানান, জাহাজের নাবিক-কর্মী সবাই সুস্থ ও নিরাপদে আছেন। আটক জাহাজটিতে লাটভিয়া, রাশিয়া, ফিলিপিন্সেরও পাঁচ জন কর্মী রয়েছেন বলে জানিয়েছে ব্রিটেন।
হরমুজ় প্রণালী ধরে ট্যাঙ্কারটি কাল সৌদি আরবের দিকে যাচ্ছিল। ইরানের দাবি, আচমকাই সেটি পথ ঘুরিয়ে তাদের একটি মাছ ধরার জাহাজকে ধাক্কা মারে। যা আন্তর্জাতিক সমুদ্র-আইন লঙ্ঘন বলেই সুর চড়িয়েছে তেহরান। কূটনীতিক মহলের একটা বড় অংশ যদিও এর পিছনে অন্য অঙ্ক দেখছেন। চলতি মাসের গোড়ায় ভূমধ্যসাগরে জিব্রাল্টার প্রণালীতে ইরানের একটি তেলের ট্যাঙ্কার আটক করে ব্রিটিশ নৌসেনা। অভিযোগ, ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞা উড়িয়ে সেই ট্যাঙ্কারে সিরিয়ায় তেল পাঠাচ্ছিল ইরান। কাল ব্রিটেনের ট্যাঙ্কার আটকে ইরান এর ‘প্রতিশোধ’ নিল বলেও মনে করছেন অনেকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy