আচমকাই শিশুটির উপরে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল পিটবুল প্রজাতির সারমেয়টি। প্রতীকী ছবি।
বন্ধুর বাড়িতে খেলাধুলোর সময় তার পোষ্য কুকুরটি ঝাঁপিয়ে পড়েছিল ৬ বছরের শিশুকন্যার উপরে। শুধু ঝাঁপিয়েই পড়েনি, আঁচড়েকামড়ে তার মুখ ফালা ফালা করে দেয়। ১১ ঘণ্টা ধরে অস্ত্রোপচারের পর শিশুটিকে প্রাণে বাঁচানো গেলেও তার ক্ষতবিক্ষত মুখে হাজারটি সেলাই পড়েছে। মায়ের দাবি, চিরতরে কথা বলার শক্তি হারিয়েছে তাঁর মেয়ে। এমনকি, কোনও দিন হাসতে পারবে না সে।
‘ডব্লিউএমটিভি’ নামে আমেরিকার এক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ১৮ ফেব্রুয়ারি মেইনের চেস্টারভিল এলাকায় লিলি নর্টনের উপরে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল পিটবুল প্রজাতির ওই সারমেয়টি। সে সময় পাড়ার এক বন্ধুর বাড়িতে খেলায় ব্যস্ত ছিল সে। বাড়ির ভিতরে পোষ্যের দেখভাল করছিলেন বন্ধুর মা। তিনি কিচেনে যেতেই আচমকা লিলিকে আক্রমণ করে কুকুরটি। সে সময় একটি চেয়ারে বসেছিল লিলি। কুকুরটি তার ঘাড় লক্ষ্য করে ঝাঁপালে নিজেকে বাঁচাতে মুখ নিচু করে ফেলে সে। তখন তার মুখেই কামড়াতে থাকে পিটবুলটি। তা দেখে চিৎকার করতে থাকে লিলির বন্ধু। চিৎকার শুনে ছুটে আসেন বন্ধুর মা। এর পর কুকুরটি সরে যায়। তত ক্ষণে কুকুড়ের কামড়ে লিলি গোটা মুখ ক্ষতবিক্ষত হয়ে গিয়েছে। তড়িঘড়ি তাকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এর পর সেখান থেকে তাকে বস্টনের একটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
লিলির মা ডরোথি নর্টন সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, বস্টনের হাসপাতালেই ১১ ঘণ্টা ধরে মেয়ের মুখে অস্ত্রোপচার করেছেন শল্যচিকিৎসকেরা। লিলির বাঁ চোখের তলা থেকে থুতনির নীচে পর্যন্ত এবং ডান গালে ১ হাজার সেলাই পড়েছে। মেয়ের এ হাল দেখে ডরোথি বলেন, ‘‘কান্না চেপে রাখার খুব চেষ্টা করছি।’’
সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, অস্ত্রোপচারের পর ওষুধপত্র দিয়ে শিশুটিকে এমন ভাবে রাখা হয়েছে, যাতে সপ্তাহখানেক সে তার মুখের পেশির নড়াচড়া না করতে পারে। শ্বাস নেওয়ার জন্য তার মুখে একটি টিউব গুঁজে দেওয়া হয়েছে।
লিলির দুর্ভোগের এখানেই শেষ নয়। ডরোথিদের পারিবারিক বন্ধু সিজে পিচারের দাবি, শিশুটির মুখে লালারস নিঃসরণকারী গ্রন্থি এবং মাংসপেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর জেরে সে কোনও দিনও হাসতে পারবে না। শিশুটির চিকিৎসার খরচে অনলাইনে অর্থ সংগ্রহে নেমে পড়েছেন পিচার। তাঁর লক্ষ্য ছিল, সাড়ে ৬ হাজার ডলার তোলা। তবে ২৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তাতে ৬৪ হাজার ডলার জমা পড়ে গিয়েছে। ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় ৫৩ লক্ষ টাকা।
চিকিৎসার ব্যয়ভারে সুরাহা হলেও লিলির মায়ের আশঙ্কা, বরাবরের মতো বাক্শক্তি হারিয়েছে তাঁর মেয়ে। কারণ, অস্ত্রোপচারের পর থেকে আর কথা বলছে না সে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy