ছবি: এপি।
২৪ ঘণ্টার মধ্যে দেশের তিনটি প্রান্তে চার বার বন্দুকবাজের হামলা। সব মিলিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ৩১ জন। মার্কিন মুলুকে ফের এতগুলো প্রাণহানি উস্কে দিচ্ছে পুরনো প্রশ্নটাই। আমেরিকা কবে তার অস্ত্র আইনে রাশ টানবে?
শনিবার দুপুরে টেক্সাসের এল পাসো শহরের সিয়েলো ভিস্তা মলের ওয়ালমার্ট স্টোরে বন্দুকবাজের হানায় নিহত হয়েছেন ২০ জন। পুলিশ এই ঘটনায় বর্ণবিদ্বেষের যোগ খুঁজে পেয়েছে বলে দাবি। টেক্সাসে হামলার ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই ফের গুলি চলার খবর আসে ওহায়োর ডেটন শহরের ওরেগন ডিস্ট্রিক্ট থেকে। এখানকার নেড পেপার্স বার-এর বাইরে স্থানীয় সময়ে শনিবার রাত ১টা ২২ মিনিটে গুলি চালাতে শুরু করে এক বন্দুকবাজ। হামলাকারী-সহ ১০ জন নিহত হয়েছেন। জখম ২৬। টেক্সাস, ওহায়োর ঘটনার একের পর এক ‘আপডেটের’ মধ্যেই শিরোনামে আসে শিকাগো। শনিবার রাতে এখানে দু’টি হামলা হয়েছে বলে দাবি পুলিশের। স্থানীয় সময় রাত ১টা ২০ নাগাদ এখানকার ওয়েস্ট সাইডের ডগলাস পার্কে এবং রাত ৩টে ৪০ নাগাদ কিলার অ্যাভিনিউয়ের কাছে গুলি চলেছে। প্রথম ঘটনায় জখম সাত জন। দ্বিতীয় ঘটনায় চার জনের গায়ে গুলি লাগে। নিহত হয়েছেন এক জন।
হোয়াইট হাউস থেকে এক বিবৃতিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, ‘অর্থহীন হামলাগুলোয় যাঁরা জখম হয়েছেন, তাঁদের যন্ত্রণা ভাগ করে নিতে চাই।’ হোয়াইট হাউস–সহ সব সরকারি ভবনে দেশের পতাকা ৮ অগস্ট সূর্যাস্ত পর্যন্ত অর্ধনমিত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট।
তাতে অবশ্য সমালোচনা থামছে না। অস্ত্র-আইন নিয়ে গা-ছাড়া মনোভাবের পাশাপাশি বর্ণবিদ্বেষ ছড়ানোর অভিযোগে ফের তোপের মুখে পড়েছেন ট্রাম্প। এ দেশে নাগরিকদের অস্ত্র কেনা ও রাখার ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ আরও বাড়ানোর জন্য দাবি উঠেছে বহু দিন। কার্যকর পদক্ষেপ সে ভাবে করা হয়নি বলেই অভিযোগ বিরোধীদের। ডেমোক্র্যাট সদস্যদের অনেকেই মনে করছেন, ট্রাম্প ইদানীং কালে যে ভাবে বর্ণবিদ্বেষমূলক কথা বলে ঘৃণা ছড়ানোয় মদত দিচ্ছেন, তাতে এমন হামলার সংখ্যা বেড়ে যাওয়াটাই প্রত্যাশিত। ট্রাম্পকে ‘শ্বেতাঙ্গ জাতীয়তাবাদী’ আখ্যা দিয়ে এল পাসোর প্রাক্তন ডেমোক্র্যাট সদস্য বেটো ও’রোর্ক বলেছেন, ‘‘খোলাখুলি যে ঘৃণা, বর্ণবিদ্বেষ আমরা দেখতে পাচ্ছি, তার ফল ভুগতে হবেই।’’ ২০২০-র প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী এবং নিউ জার্সির ডেমোক্র্যাট সদস্য করি বুকার বলেছেন, ‘‘সব কিছুর জন্য দায়ী ট্রাম্পই। ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি সামলাতে কিছুই করছেন না তিনি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy