দুই গ্রেট ডেনের হামলায় প্রাণ গিয়েছে ওই মহিলারা। ছবি: প্রতীকী
মালিক বাড়িতে ছিলেন না। পড়শির কুকুরকে খাওয়াতে গিয়েছিলেন মহিলা। এমন পরিণতি যে হতে পারে, ভাবতেও পারেননি। দুই গ্রেট ডেনের হামলায় প্রাণ গিয়েছে ওই মহিলারাই। আমেরিকার পেনসিলভেনিয়ার নিউ ব্লুমফিল্ডের ঘটনা।
নিহত মহিলার নাম ক্রিস্টিন পটার। বয়স ৩৮ বছর। পেরি কাউন্টির প্রশাসনিক আধিকারিক রবার্ট রেসলার জানিয়েছেন, প্রতিবেশীর বাড়িতে নিজের বাচ্চা ছেলেকে নিয়ে গিয়েছিলেন ক্রিস্টিন। ওই বাড়িতে ৩টি কুকুর ছিল। তার মধ্যে ২টি কুকুর খাবার দেওয়ার সময় মহিলাকে পাল্টা হামলা করে। বাচ্চাটি সাহায্যের জন্য চিৎকার করতে থাকে। রাস্তা পেরিয়ে নিজেদের বাড়িতে গিয়ে দাদাকে খবর দেয়। দাদা ৯১১-তে ফোন করে পুলিশকে জানায়।
খবর পেয়ে ছুটে আসে পুলিশ। যদিও পশু নিয়ন্ত্রণ সংস্থার কেউ ঘটনাস্থলে উপস্থিত না হওয়া পর্যন্ত পুলিশ মহিলাকে সাহায্য করতে পারেনি। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘাতক কুকুর ২টিকে পশু চিকিৎসকের কাছে নিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তৃতীয় কুকুরটি ওখানে উপস্থিত থাকলেও মহিলাকে হামলা করেনি। গোটা ঘটনায় দুঃখিত কুকুর দু’টির মালিক ওয়েন্ডি সাবাথনে। তিনি জানিয়েছেন, মাকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন তিনি। তখনই এই কাণ্ড। তাঁর পোষ্যেরা যে এই কাণ্ড ঘটাবে, তিনি ভাবতেও পারেননি। তিনি বলেন, ‘‘আমি হতবাক। বিশ্বাস করতে পারছি না, এ রকম হতে পারে। আমার মরে যেতে ইচ্ছা করছে।’’
স্থানীয়দের দাবি, এর আগেও ওয়েন্ডির পোষ্য দুই কুকুর লোকজনকে হামলা করেছে। মৃত ক্রিস্টিনের বাবা জানিয়েছে, দু’-তিন বছর আগে তাঁর মেয়েকেও এক বার হামলা করেছিল কুকুরটি। ওয়েন্ডির বিরুদ্ধে চার্জ আনা হবে কি না, এখনও সিদ্ধান্ত নেয়নি পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy