চিকিৎসাধীন ৩০০ রোগীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল ফ্রান্সের প্রাক্তন এক শল্য চিকিৎসকরের বিরুদ্ধে। সে দেশের বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন বলছে, বছর চুয়াত্তরের ওই চিকিৎসকের বাড়ি থেকে এমন বেশ কিছু নথি উদ্ধার হয়েছে। চিকিৎসককে গ্রেফতার করে মামলা শুরু হয়েছে।
তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, বেশ কিছু তথ্য তাঁদের হাতে এসেছে। যা অত্যন্ত গুরুত্ব পূর্ণ। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, চিকিৎসকের লালসার শিকার হত বেশির ভাগ শিশুরাই। তার মধ্যে ছেলে এবং মেয়ে উভয়েই রয়েছে। জেরায় তদন্তকারীরা আরও জানতে পেরেছেন, হাসপাতালের ঘরে যখন একা থাকত ওই রোগীরা, তখনই তাদের লালসার শিকার বানাতেন ওই চিকিৎসক।
তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে রোগীদের শিকার বানিয়েছেন চিকিৎসক। যদিও আদালতে নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেছেন অভিযুক্ত চিকিৎসক। সংবাদ সংস্থা এপি জানিয়েছে, যদি দোষী সাব্যস্ত হন চিকিৎসক, তা হলে তাঁর ২০ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে। তদন্তকারীরা আরও জানতে পেরেছেন, রোগীদের অচৈতন্য করে অভিযুক্ত চিকিৎসক তাদের ধর্ষণ করতেন। চিকিৎসকের বাড়ি থেকে ৩ লক্ষেরও বেশি অশ্লীল ছবি এবং ভিডিয়ো উদ্ধার হয়েছে বলে দাবি তদন্তকারীদের।