প্রায় সব দেশেই ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাসের নয়া রূপ ওমিক্রন।
গত নভেম্বর মাসে দক্ষিণ আফ্রিকায় হদিশ পাওয়ার পর ইতিমধ্যেই বিশ্বের প্রায় সব দেশেই ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাসের নয়া রূপ ওমিক্রন। শুধু ছড়িয়ে পড়াই নয়, বিশ্ব জুড়ে সংক্রমিত ব্যক্তিদের অধিকাংশই ওমিক্রনে আক্রান্ত বলেই জানাচ্ছে সাম্প্রতিক সমীক্ষা। ডেল্টার প্রভাবে কোভিডে দ্বিতীয় তরঙ্গ যে শিখর ছুঁয়েছিল, আমেরিকা, ব্রিটেন, ফ্রান্সে তা অল্প কিছু দিনের মধ্যেই অতিক্রম করেছে কোভিডের নয়া রূপ। ভারতেও দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রভাবকে এই সাম্প্রতিক স্ফীতি ছাপিয়ে যেতে পারেই আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের।
কিন্তু কেন এত দ্রুত ছড়াচ্ছে ওমিক্রন? উত্তরে তিনটি কারণ ব্যাখ্যা করলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-এর সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ এবং হু-র কোভিড-১৯ টেকনিক্যাল লিড মারিয়া ভ্যান কেরখোভ। তিনি জানালেন,
প্রথমত, বেশ কয়েক বার পরিব্যক্তি (মিউটেশন)-র মধ্য দিয়ে জন্ম হয়েছে ওমিক্রন রূপের। যে কারণে এই রূপের সব চেয়ে বড় ক্ষমতা হল, এটি খুব দ্রুত শরীরের কোষে ঢুকে পড়ছে।
দ্বিতীয়ত, ওমিক্রনের আরও ক্ষমতা রয়েছে। এই রূপ খুব সহজেই শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে পাশ কাটাতে পারে। যে কারণে আগে কোভিডে আক্রান্ত হলেও বা টিকা নিলেও ওমিক্রনে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থেকেই যায়।
তৃতীয়ত, ডেল্টা রূপের বিশেষত্ব ছিল, সেটি শ্বাসতন্ত্রের নিম্ন ভাগে অর্থাৎ ফুসফুসে হানা দেয়। কিন্তু ওমিক্রন মূলত শ্বাসতন্ত্রে উপরিভাগে সংক্রমণ ছড়ায়। যে কারণে পূর্বসূরিদের থেকে সংক্রমণ ছড়ানোর ক্ষমতা অনেক বেশি ওমিক্রনের।
দ্রুত সংক্রমণ ছড়াতে পারলেও বিশেষজ্ঞদের বড় অংশ এখন একমত যে, ডেল্টার মতো গুরুতর হয়ে উঠতে পারেনি ওমিক্রন। সর্দি-কাশি, জ্বর, মাথা ব্যথার মতো উপসর্গ থাকলেও অল্প দিনে সেরে উঠছেন রোগীরা। তা হলেও মাস্ক পরা, শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা, স্যানিটাইজার ব্যবহারের মতো কোভিডবিধি মেনে চলারই পরামর্শ দিচ্ছেন কেরখোভ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy