প্রতিবাদ: সরকার-বিরোধী বিক্ষোভে ইরাকি মহিলারা। শুক্রবার বাগদাদে। ছবি: রয়টার্স
সরকার-বিরোধী বিক্ষোভে মধ্য বাগদাদে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ২৩ জন। আজ বিক্ষোভ দেখানোর জন্য তাঁরা সরকারি ভবনের দিকে এগোচ্ছিলেন বলে দাবি প্রশাসনের। পুলিশের কাঁদানে গ্যাসের মুখে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন অন্তত ৯৫ জন। এই তথ্য জানিয়েছে ইরাকের মানবাধিকার সংক্রান্ত হাই কমিশন।
আজ সকাল থেকেই মধ্য বাগদাদের তাহরির স্কোয়ারের জমায়েতে শামিল হয়েছিলেন শত শত মানুষ। কংক্রিটের দেওয়াল ঠেলে তাঁদের কেউ কেউ গ্রিন জ়োনের দিকে এগোনোর চেষ্টা করছিলেন। ওই অংশে ইরাকের পার্লামেন্ট এবং মার্কিন দূতাবাস-সহ বেশ কয়েকটি পশ্চিমী দেশের দূতাবাস রয়েছে। ২০০৩ সালে ইরাকে মার্কিন আগ্রাসনের কিছু দিন পরে তৈরি হয়েছিল এই গ্রিন জ়োন। অনেকে একে শহরের মধ্যে আর একটা শহর হিসেবে দেখেন, যেখানকার বাসিন্দারা বাগদাদের অন্য যে কোনও অংশের তুলনায় অনেক বেশি সুরক্ষা ও সুযোগ-সুবিধা পান।
আজ ইরাকের প্রধানমন্ত্রী আদেল আব্দুল মেহদি এক টেলিভিশন- বিবৃতিতে বলেছেন, তাঁর মন্ত্রিসভায় আগামী সপ্তাহে রদবদল হবে। জোর দেওয়া হবে তাঁদের উপরে, যাঁরা অনেক বেশি দক্ষ। মন্ত্রিসভার সদস্য করা হবে করা হবে মহিলা ও তরুণ মুখদেরও। মেহদির কথায়, ‘‘প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী, পার্লামেন্টের স্পিকার, আইনসভার সদস্য এবং অন্য প্রশাসনিক শীর্ষ কর্তাদের বেতন কমিয়ে অর্ধেক করে দেওয়া হবে।’’
এ মাসের গোড়ায় সরকার-বিরোধী এই বিক্ষোভে ইরাকের সেনা ১০০ জনেরও বেশি বিক্ষোভকারীকে মেরেছে বলে অভিযোগ। জখম পাঁচ হাজারেরও বেশি। বেকারত্ব, ক্রমবর্ধমান সরকারি দুর্নীতি এবং ন্যূনতম পরিষেবা না-পেয়ে প্রতিবাদ শুরু হয়েছিল ইরাকের বিভিন্ন শহরে। গত ৭ অক্টোবর ইরাকি প্রেসিডেন্ট বারহাম সালিহ টিভিতে নিজের এক বক্তৃতায় বিক্ষোভকারীদের হত্যা করার নিন্দা করেন। ওই ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশও দিয়েছে তিনি। সালিহ বলেছেন, ‘‘শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদে গুলি চালানো, সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের আক্রমণের নিশানা করা হয়েছে, যা একেবারেই মেনে নেওয়া যায় না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy