মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে হুড়মুড়িয়ে। ছবি: সংগৃহীত।
ঝড় এবং তার জেরে বিধ্বংসী বন্যা ও ধসের কবলে পড়া ব্রাজিলের ঐতিহাসিক শহর পেট্রোপলিসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৪৬। মৃতদের মধ্যে ২৬টি শিশুও রয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রের খবর।
শনিবার ছিল উদ্ধার অভিযানের পঞ্চম দিন। ঘন কুয়াশায় ঘেরা শহরে বেলচা এবং কোদাল দিয়ে ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে দুর্গতদের উদ্ধার করতে তল্লাসি অভিযান চালাতে দেখা যায় উদ্ধারকারীদের। যদিও মঙ্গলবারের ওই বিপর্যয়ের এত দিন বাদে আর কারও বেঁচে থাকার আশা ক্ষীণ বলেই মনে করছেন তাঁরা। তবুও এখনই হাল ছাড়তে চাইছেন না। কিছু ক্ষণ অন্তর জোরে হুইসল বাজিয়ে দেখছেন, কাদা-মাটির ধ্বংসস্তূপের আড়াল থেকে কারও সাড়া মেলে কি না।
প্রশাসন সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত বিপর্যস্ত এলাকা থেকে ২৪ জনকে জীবিত উদ্ধার করা গিয়েছে। যদিও তাঁদের বেশির ভাগকেই উদ্ধার করা হয় ঘটনার ঠিক পর পরই। রিয়ো ডি জেনিরোর পুলিশ সূত্রের খবর, শুক্রবার গভীর রাত পর্যন্ত মোট ২১৮ জনের নিখোঁজ হওয়ার খবর নথিভুক্ত হয়েছে তাদের কাছে। আর এখনও পর্যন্ত উদ্ধার হওয়া ১৪৬টি মৃতদেহের মধ্যে ৯১টি শনাক্ত করা গিয়েছে। ফলে নিখোঁজ ২১৮ জনের মধ্যে অনেকেই শনাক্ত না-হওয়া বাকি ৫৫টি দেহের মধ্যে থাকতে পারেন বলে আশঙ্কা করছে পুলিশ।
আকাশ পথে বিপর্যস্ত এলাকা ঘুরে দেখেন প্রেসিডেন্ট জ়াইর বোলসোনারো। ফিরে এসে তাঁর মন্তব্য, ‘‘সাংঘাতিক ধ্বংসলীলা। দেখে মনে হচ্ছে যুদ্ধ বিপর্যস্ত কোনও অঞ্চল।’’ তবে গত মঙ্গলবারের ওই ঘটনা প্রথম নয়। গত কয়েক বছরে একাধিক ঝড়ে বিধ্বস্ত ব্রাজিল। প্রশাসন সূত্রের খবর, গত তিন মাসে মাত্রাতিরিক্ত বৃষ্টিপাত প্রাণ কেড়েছে কমপক্ষে ১৯৮ জনের। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত সাও পাওলো এবং উত্তর পূর্বাঞ্চলের বাহিয়া প্রদেশ। আবহবিদেরা জানাচ্ছেন, জলবায়ুর পরিবর্তনের জেরেই বার বার এ ধরনের বিপর্যয় ঘটছে। বাড়ছে প্রাণহানির আশঙ্কা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy