রাজ্যের মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্র, প্রাক্তন মন্ত্রী ও সিপিএম নেতা আনিসুর রহমান ও বীরভূমের তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে নির্বাচনী বিধিভঙ্গের দায়ে সতর্ক করল নির্বাচন কমিশন। তাঁদের মন্তব্য নিয়ে অভিযোগের পরে দেওয়া সাফাই কমিশনকে সন্তুষ্ট করতে পারেনি। তবে এ বারের মতো শুধু সতর্ক করেই তাঁদের রেহাই দেওয়া হচ্ছে। বুধবার মুখ্য নির্বাচনী অফিসার সুনীল গুপ্ত এ কথা জানান।
কমিশন সূত্রে খবর, গত ২৭ মার্চ মালদহের ইংলিশ বাজারে এক নির্বাচনী জনসভায় সাবিত্রীদেবী বলেছিলেন, “আমরা বরকতদাকে শ্রদ্ধা করি। কিন্তু ওদের পরিবারের যে দু’জন সাংসদ হয়েছেন, তাঁরা কচ্ছপের মতো। কচ্ছপ যেমন সারাক্ষণ হাত-পা গুটিয়ে বসে থাকে, এঁরাও তেমনই। শুধু ভোটের সময় এঁদের হাত-পা দেখা যায়।” আনিসুরের ঘটনাটি গত ৮ মার্চের। ওই দিন বীরভূমের রামপুরহাটে বামফ্রন্টের নির্বাচনী সভায় তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী সব রং পাল্টে দিচ্ছেন। লাল রং দেখলেই সবুজ করে দিচ্ছেন। রাইটার্স বিল্ডিংয়ের রং পাল্টাতে চেয়েছিলেন। লাল রং ওঁর অসহ্য। আমি ঠাট্টা করে সেই দিন বলছিলাম, দিদিমণির এখনও বিয়ে হয়নি। যদি কখনও বিয়ে হয়, তা হলে কি সবুজ সিঁদুর পড়বেন? কিন্তু, সবুজ রঙের সিঁদুর যে চালু হয়নি দিদিমণি। তা আপনি হয়তো আইন করে সবুজ সিঁদুর পড়া বাধ্যতামূলক করবেন।”
অনুব্রতর বিরুদ্ধে বিধিভঙ্গের দু’টি অভিযোগ ছিল। গত ১২ মার্চ বর্ধমানের মঙ্গলকোটে এক সভায় উস্কানিমূলক মন্তব্যের জন্য জেলার পুলিশ একটি মামলা করেছিল। এর পর ১৭ মার্চ বীরভূমের আমোদপুরে এক সভায় অনুব্রতবাবুর বক্তব্য ছিল, বিরোধীদের ইঁদুরের গর্তে চাপা দিয়ে কীটনাশক দিতে হবে। এই চারটি অভিযোগ নিয়ে বক্তাদের কাছে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠায় কমিশন।
সুনীলবাবু জানান, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও কংগ্রেসের সহ-সভাপতি রাহুল গাঁধী বিরুদ্ধে ওঠা বিধিভঙ্গের অভিযোগ দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনের বিবেচনাধীন রয়েছে। কমিশন এই নিয়ে কিছু জানায়নি।
এ দিকে, সরকারি প্রকল্পে বাড়ি তৈরি করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে পুরুলিয়ার কাশীপুরের তৃণমূলের কর্মীরা জমির নথি সংগ্রহ করছেন বলে অভিযোগ করে বিজেপির যুব শাখা। সেই ঘটনার তদন্ত করে তৃণমূলের কাশীপুর ব্লক সভাপতি তথা বিধায়ক স্বপন বেলথরিয়াকে মঙ্গলবার ‘শো-কজ’ করেছেন কাশীপুরের বিডিও তপন ঘোষাল। স্বপনবাবু অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। আদ্রায় রেলের জমিতে পুরুলিয়া লোকসভা কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী নেপাল মাহাতোর ছবি-সহ ফ্লেক্স টাঙানো হয়েছে বলে তৃণমূল অভিযোগ করে। বুধবার নেপালবাবুকে শো-কজ করেছেন কাশীপুরেরই বিডিও। ওই ফ্লেক্স দ্রুত সরানো হবে বলে কংগ্রেসের তরফে খবর।
আসানসোলের বিজেপি প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয়র রক্ত পরীক্ষার দাবি জানিয়ে অতিরিক্ত জেলাশাসককে চিঠি দেন সংশ্লিষ্ট পুরসভার চেয়ারম্যান তৃণমূলের জিতেন্দ্র তিওয়ারি। একই দাবি জানিয়ে মুখ্য নির্বাচনী অফিসের কর্তাদের সঙ্গে দেখা করেন তৃণমূল প্রার্থী দোলা সেনও। বাবুলের বিরুদ্ধে মদ্যপ অবস্থায় ভোট প্রচারে বেরোনো, মন্দিরে গিয়ে এলাকাবাসীর ভাবাবেগে আঘাতের অভিযোগ করে ‘আসানসোল সিটিজেন্স ফোরাম’ নামের সংগঠন। বিজেপি প্রার্থীর পাল্টা অভিযোগ, তাঁর ভাবমূর্তি নষ্টের চেষ্টা চলছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy