প্রার্থীকে পাশে নিয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। মঙ্গলবার তোলা নিজস্ব চিত্র।
সংখ্যালঘু ভোট পাওয়ার জন্যই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নরেন্দ্র মোদীর বিরোধিতা করছেন বলে মন্তব্য করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী।
মঙ্গলবার শ্যামপুরের শশাটিতে উলুবেড়িয়া লোকসভা কেন্দ্রে দলীয় প্রার্থী অসিত মিত্রের সমর্থনে নির্বাচনী সভায় এসে অধীরবাবু বলেন, ‘‘নরেন্দ্র মোদী এই রাজ্যে প্রচারে এসে মমতাকে দেখিয়ে জনসাধারণকে বলেছিলেন, ‘আপনারা একটি লাড্ডু পেয়েছেন। সে কথা শুনেও মমতা চুপ করে বসেছিলেন। এ বারে ভোটের মুখে মমতা নরেন্দ্র মোদীর বিরোধিতা শুরু করেছেন। কারণ মুসলমানেরা রেগে গেলে তো ভোটে সর্বনাশ হয়ে যাবে। অতএব নরেন্দ্র মোদীর সমালোচনা করো।”
বিজেপির সঙ্গে কেন্দ্রে মমতার নানা সময়ে ঘনিষ্ঠতার কথাও এই প্রসঙ্গে টেনে আনেন অধীরবাবু। বলেন, “ভোটের পরে মমতাকে হয় বিজেপিকে সমর্থন করতে হবে। নয় তো আসতে হবে সেই কংগ্রেসের কাছেই। এই দু’টি পথের বাইরে তাঁর কাছে কোনও বিকল্প নেই।”
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সমালোচনা করেন অধীরবাবু এ দিন বলেন, ‘‘একবালপুরে তিন জনকে খুন করে পুঁতে রাখা হল, সংবাদমাধ্যমে হইচই না হলে কেউ জানতেই পারত না। এতেই বোঝা যায় রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক কোথায়।” কড়া সমালোচনায় মুখর অধীরবাবুর আরও বক্তব্য, “এ রাজ্য বেকার উত্পাদনে এক নম্বরে। নারী নির্যাতনে এক নম্বরে। অথচ একশো দিনের প্রকল্পে দেশে ২৪ নম্বরে। প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা প্রকল্পে কাজই হয় না। খাদ্য সুরক্ষা আইন দেশের অন্যত্র চালু হলেও এই রাজ্যে চালু হল না। আসলে মুখ্যমন্ত্রীর এ সব দেখার কোনও সময় নেই। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত তিনি শুধু সকলকে ধমকে চলেছেন।” এরপরেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তাঁর কটাক্ষ, “সকলকে এত ধমকালে তিনি কাজ করবেন কখন?’’
বাম জমানার মতোই তৃণমূলের আমলেও এ রাজ্যে দলবাজি, সন্ত্রাস চলছে বলে সমালোচনা করেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি।
তৃণমূল নেতৃত্বের অনেকেই সাম্প্রতিক সময়ে অধীরবাবুকে ‘হাফ প্যান্ট পরা মন্ত্রী’ বলে কটাক্ষ করেছেন। সেই প্রসঙ্গ টেনে অধীর নিজেই বলেন, “হাফ প্যান্ট পরা মন্ত্রী হয়েও আমি ২৯টি নতুন ট্রেন চালু করেছি। কাজ করার ইচ্ছা থাকলেই যে তা করা যায়, সেটা আমি দেখিয়ে দিয়েছি।’’ শ্যামপুরের পরে অধীর এ দিন বাউড়িয়াতেও সভা করেছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy