Advertisement
১৯ নভেম্বর ২০২৪

ভোটেরই ধাক্কায় পিছিয়ে গেল প্রাথমিকের টেট

স্কুল সার্ভিস কমিশন বা এসএসসি-র টিচার এলিজিবিলিটি টেস্ট (টেট) স্থগিত হয়ে গিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে। আর প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের ৩০ মার্চের টেট পিছিয়ে দিলেন পর্ষদ-কর্তৃপক্ষই। ওই পরীক্ষা লোকসভার ভোট পর্ব মেটার পরে হবে বলে বুধবার জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। কলকাতা হাইকোর্ট সোমবার জানিয়ে দিয়েছিল, প্রাথমিকের টেট নির্ধারিত দিনে না-হওয়ার কোনও কারণ নেই।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৭ মার্চ ২০১৪ ০৩:২৯
Share: Save:

স্কুল সার্ভিস কমিশন বা এসএসসি-র টিচার এলিজিবিলিটি টেস্ট (টেট) স্থগিত হয়ে গিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে। আর প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের ৩০ মার্চের টেট পিছিয়ে দিলেন পর্ষদ-কর্তৃপক্ষই। ওই পরীক্ষা লোকসভার ভোট পর্ব মেটার পরে হবে বলে বুধবার জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

কলকাতা হাইকোর্ট সোমবার জানিয়ে দিয়েছিল, প্রাথমিকের টেট নির্ধারিত দিনে না-হওয়ার কোনও কারণ নেই। উচ্চ আদালত ছাড়পত্র দেওয়া সত্ত্বেও নির্দিষ্ট তারিখে অর্থাৎ ৩০ মার্চ ওই পরীক্ষা হচ্ছে না কেন?

রাজ্যের স্কুলশিক্ষা সচিব অর্ণব রায় এ দিন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন, ৩০ মার্চের ওই পরীক্ষার কথা রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে জানানো হয়েছিল। ওই পরীক্ষা নেওয়ার জন্য যে প্রায় সব স্কুল-কলেজ ভবনেরই প্রয়োজন হবে, তা-ও জানানো হয়। কিন্তু গত ৮ মার্চ পাঠানো সেই চিঠির এখনও কোনও উত্তর মেলেনি। রাজ্য নির্বাচন কমিশন সূত্রের খবর, বিষয়টি দিল্লিতে জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে জানানো হয়েছে। কিন্তু সেখান থেকেও জবাব আসেনি। তাই রাজ্য সরকারকেও এই ব্যাপারে এখনও কিছু জানানো যায়নি।

রাজ্য পুলিশও একটি চিঠি দিয়ে জানিয়েছে, নির্বাচন না-মিটলে প্রাথমিকের টেটের জন্য পর্যাপ্ত পুলিশের ব্যবস্থা করা সম্ভব নয়। এই দু’টি কারণেই নির্ধারিত দিনে ওই পরীক্ষা না-নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন সচিব। বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে এ কথা জানিয়ে পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন পর্ষদ-কর্তৃপক্ষ।

ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর টিচার এডুকেশন (এনসিটিই)-এর দেওয়া ছাড় অনুযায়ী আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত প্রাথমিক শিক্ষকতার প্রশিক্ষণ (ডিএলএড) না-থাকা প্রার্থীদেরও নিয়োগ সম্ভব। তার পরে আর প্রশিক্ষণহীনদের ওই পরীক্ষায় বসতে পারার কথা নয়। ভোটের পরে পরীক্ষা হলে তাঁরা বসতে পারবেন। পর্ষদ-সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য এ দিন বলেন, “প্রশিক্ষণহীনদের নিয়োগের সময়সীমা বাড়ানোর জন্য মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের কাছে আবেদন জানিয়েছে রাজ্য। ত্রিপুরা, ওড়িশায় ২০১৫ পর্যন্ত ছাড় রয়েছে।

ওড়িশা দু’দফায় ছাড় পেয়েছে। আমাদের আশা, এ রাজ্যেও তা পাওয়া যাবে।”

গত বছর প্রাথমিকের টেটে সাফল্যের হার ছিল ০.৭ শতাংশ। সাফল্যের হার যদি তেমনই থাকে এবং প্রশিক্ষণহীনদের নিয়োগে ছাড় না-মেলে, তা হলে সব শূন্য আসন পূরণ করা যাবে না বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মানিকবাবু। এ বছর মোট ১৮ লক্ষ প্রার্থীর টেট দেওয়ার কথা ছিল। শূন্য পদের সংখ্যা ৩০ হাজার। আবেদনকারীদের মধ্যে প্রশিক্ষিত প্রার্থীর সংখ্যা ১৮ হাজার।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy