শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশের ক্ষেত্রে খুব সতর্ক হয়ে এগোনোর জন্য স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)-কে নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বিভিন্ন প্রার্থীর মামলার পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি দেবাশিস করগুপ্ত বুধবার জানিয়ে দেন, সুপারিশ বা নিয়োগপত্র দেওয়ার ক্ষেত্রে যদি কোথাও কোনও রকম ভুল হয়ে থাকে, তা হলে সংশোধন করে নিতে হবে।
পরীক্ষা, নিয়োগের সুপারিশ-সহ নানান বিষয়কে ঘিরে বিতর্ক পিছন ছাড়ছে না এসএসসি-র। কমিশনে দুর্নীতি নিয়ে মুখ খুলে সম্প্রতি সরে যেতে হয়েছে সহ-সচিব পর্যায়ের এক কর্তাকে। সর্বোপরি চলছে বঞ্চিত প্রার্থীদের পথে নেমে আন্দোলন এবং মামলা। অভিযোগ উঠেছে, শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষার পরে ‘কম্বাইন্ড’ বা অভিন্ন তালিকায় প্রথম দিকে যাঁদের নাম ছিল, তাঁদের কাউন্সেলিংয়ে ডাকা হয়নি। অথচ ওই তালিকায় তাঁদের থেকে নীচে নাম থাকা প্রার্থীদের ডাকা হয়েছে। হাইকোর্ট এ দিন নির্দেশ দেয়, এসএসসি-কে খুবই সতর্কতার সঙ্গে এই অভিযোগের বিষয়টি বিবেচনা করতে হবে। কমিশনের চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্য এবং আঞ্চলিক চেয়ারম্যানেরা এ দিন বিচারপতি দেবাশিস করগুপ্তের এজলাসে হাজির ছিলেন। বিচারপতি নির্দেশ দেন, মামলার আবেদনকারীদের বক্তব্য শুনে এসএসসি-র প্রতিটি ‘অঞ্চল’-এর চেয়ারম্যানকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। কোনও ধরনের ভুল হয়ে থাকলে তা শুধরে নেওয়ার কথা তখনই বলেন বিচারপতি।
আগে নাম থাকা সত্ত্বেও মেধা-তালিকায় পরে থাকা প্রার্থীদের কাউন্সেলিংয়ে ডাকা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে হাইকোর্টে অনেক মামলা হয়েছে। প্রতিটি মামলারই মূল বক্তব্য, আবেদনকারীরা সকলেই বিষয়ভিত্তিক পরীক্ষা ও সাক্ষাৎকারে উত্তীর্ণ হয়েছেন। তার পরেই কম্বাইন্ড মেধা-তালিকায় তাঁদের উঠেছে। কিন্তু আগের প্রার্থীদের না-ডেকে পরের প্রার্থীদের চাকরির সুপারিশপত্র দেওয়া হয়েছে। বিচারপতি এই মামলায় এ দিন এসএসসি-র কেন্দ্রীয় দফতর এবং আঞ্চলিক চেয়ারম্যানদের আদালতে হাজির থাকার নির্দেশ দিয়েছিলেন।
আবেদনকারীদের পক্ষে সুব্রত মুখোপাধ্যায়, কার্তিক কাপাস-সহ অনেক আইনজীবী এ দিন জানান, কম্বাইন্ড বা অভিন্ন তালিকায় প্রার্থীদের নামের পাশে তফসিলি, আদিবাসী সম্প্রদায়ভুক্ত, বিএড উত্তীর্ণ কিংবা পার্শ্বশিক্ষক ইত্যাদি উল্লেখ করা হয়নি। এসএসসি-র চেয়ারম্যানের পক্ষে আইনজীবী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় আদালতে জানান, কম্বাইন্ড তালিকায় নামের পাশে এ-সবের উল্লেখ না-থাকলেও সুপারিশপত্র দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনও অনিয়ম হয়নি।
তার পরেই বিচারপতি জানিয়ে দেন, দু’মাসের মধ্যে মামলার আবেদনকারীদের বক্তব্য শুনে এসএসসি-কে ব্যবস্থা নিতে হবে। যদি আবেদনকারীরা এসএসসি-র নেওয়া ব্যবস্থায় সন্তুষ্ট না-হন, তা হলে তাঁরা তার পরের দু’সপ্তাহের মধ্যে হাইকোর্টে মামলা করতে পারেন।
গবেষণার ফল পৌঁছক সব স্তরে, চান রাজ্যপাল
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা
গবেষণা করলেই হবে না। তার ফল যাতে সমাজের সব স্তরে পৌঁছয়, সে দিকেও নজর দেওয়া দরকার বলে মনে করেন আচার্য-রাজ্যপাল এম কে নারায়ণন। বুধবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিদর্শনে গিয়ে এমনই পরামর্শ দিলেন তিনি। সেই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা, কাজকর্মের প্রশংসা করলেন। জানালেন, যাদবপুরই সম্ভবত পশ্চিমবঙ্গের শ্রেষ্ঠতম বিশ্ববিদ্যালয়। সমাবর্তনে তো বটেই, বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে যান আচার্য। কিন্তু কেবল পরিদর্শনের জন্য কোনও প্রতিষ্ঠানে তাঁর যাওয়ার নজির কম। এ দিন শুধু পরিদর্শনের জন্যই যাদবপুরে যান আচার্য-রাজ্যপাল। বিশ্ববিদ্যালয়ের হাই টেনশন চারটি গবেষণাগার, বাঁশের তৈরি গেস্ট হাউস এবং ন্যাশনাল ইনস্ট্রুমেন্টস লিমিটেড (এনআইএল)-এর ক্যাম্পাস ঘুরে দেখেন। গবেষণাগারগুলিতে যন্ত্রপাতি দেখানোর পাশাপাশি কিছু পরীক্ষানিরীক্ষাও দেখানো হয় তাঁকে। পরিদর্শন শেষে রাজ্যপাল বলেন, “কিছু গবেষণাগার ঘুরে দেখেছি। কয়েক মিনিটের পরিদর্শনে তো ছবিটা পরিষ্কার হয় না। তবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, গবেষণার কাজ অত্যন্ত ভাল ভাবে এগোচ্ছে।” সেই সঙ্গেই তিনি বলেন, “আমার মতে, যাদবপুরই সম্ভবত বাংলার শ্রেষ্ঠতম বিশ্ববিদ্যালয়।” পরে উপাচার্য অভিজিৎ চক্রবর্তী বলেন, “আচার্য বিশ্ববিদ্যালয় ঘুরে দেখে খুশি হয়েছেন। বলেছেন, কেবল গবেষণা করলেই হবে না। তার ফল যাতে সাধারণ মানুষের কাছে, সমাজের সব স্তরে পৌঁছয়, সে দিকেও খেয়াল রাখতে হবে।” উপাচার্য জানান, ভবিষ্যতে ফের বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিদর্শনে আসবেন বলে কথা দিয়েছেন আচার্য।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy