Advertisement
২৭ নভেম্বর ২০২৪

দক্ষিণের কড়চা

‘কী অপমান আর যন্ত্রণায় দিনরাত নিজের ক্ষয় অপব্যয় দেখছি কী করে জানাই তোমায় ভাই মুরারি? অথচ আমি বিনা অহঙ্কারেই বলছি বহু ঐশ্বর্য আমি দিয়ে যেতে পারতাম, এখনও পারি এ দেশের শ্রীচরণে। এরা নিতে জানে না, কারণ দিতে জানে না।’

শেষ আপডেট: ০৬ অগস্ট ২০১৪ ০২:৪১
Share: Save:

ক্ষুধাশিল্পী

‘কী অপমান আর যন্ত্রণায় দিনরাত নিজের ক্ষয় অপব্যয় দেখছি কী করে জানাই তোমায় ভাই মুরারি? অথচ আমি বিনা অহঙ্কারেই বলছি বহু ঐশ্বর্য আমি দিয়ে যেতে পারতাম, এখনও পারি এ দেশের শ্রীচরণে। এরা নিতে জানে না, কারণ দিতে জানে না।’

বন্ধু মুরারি গুপ্তকে লিখছেন চিত্তপ্রসাদ। নৈহাটিতে জন্ম, বেড়ে ওঠা চট্টগ্রামে। কলাভবনে ছবি আঁকা শিখতে গিয়েছিলেন নন্দলাল বসুর কাছে। শেখা হয়নি। ৪৩-এর মন্বন্তরে তাঁর আঁকা ছবির বই হাংরি বেঙ্গল-এর সঙ্গেই ওতপ্রোত জড়িয়ে আছে বিস্মৃতপ্রায় এই শিল্পীর নাম।

সেই সময়ে চিত্তরপ্রসাদের নিত্য ঠিকানা ছিল মেদিনীপুর আর চট্টগ্রাম। গ্রামে-গ্রামে ঘুরে মন্বন্তরের ঘটনা লিখে আনতেন, করে আনতেন নানা স্কেচ। সেই সব নিয়েই তৈরি হয়েছিল বইটি। ‘দুর্ভিক্ষের কবলে মেদিনীপুর’, ‘দুর্ভিক্ষের কবলে কন্টাই’ শিরোনামে তাঁর একাধিক ছবি আজও সেই সময়ের অসামান্য দলিল হয়ে রয়েছে। কালি-তুলিতে করা ছবি কিংবা স্কেচে নিরন্ন মানুষ, বিবর্ণ জনপদ, মৃত মানুষের খুলি এঁকে আকালের চিত্রসন্ধানেই আজও স্মৃতিধার্য হয়ে আছেন তিনি।

কিন্তু সে কেবল শিল্পীর কাজ নয়, সমসময়ের দায় নেওয়া এক মানুষের কাজও। সেই অন্তরঙ্গ মানুষটির কথা ছবির মতো লিখেছেন তাঁর বোন গৌরী, ‘...দাদা ফিরত অনেক রাতে। পরিশ্রান্ত, উস্কোখুস্কো চুল, ময়লা ধুলোভরা জামাচটি। ঘণ্টার পর ঘণ্টা মায়ের ঘরে বসে বলত সারা দিন যা দেখেছে যা শুনেছে যা জেনেছ তার মর্মান্তিক কাহিনী, ব্যাগ থেকে বের করত খাতা, কাগজ, ওতে অজস্র ছবি আঁকা। গ্রাম-গ্রামান্তরে হেঁটে হেঁটে লিখে আনা ঘটনা, এঁকে আনা ছবি একে একে দেখাত মাকে, পড়তে পড়তে গলা ধরে যেত দাদার, আর মা কাঁদেন ছবি দেখে আর ঘটনা শুনে।’

কিন্তু শুধু এটুকুই নন চিত্তপ্রসাদ। সমসাময়িক রাজনৈতিক ব্যঙ্গচিত্র, অজস্র লিথোচিত্র, পিপলস ওয়ার আর জনযুদ্ধ পত্রিকায় আঁকা ছবি, বইয়ের প্রচ্ছদ সব মিলে এক পূর্ণ চিত্তপ্রসাদকে তাঁর শতবর্ষে এ বার হাজির করছে দিল্লি আর্ট গ্যালারি, মুম্বইয়ে, ১২ অগস্ট পর্যন্ত। কিউরেটর শান্তিনিকেতন কলাভবনের অধ্যাপক সঞ্জয়কুমার মল্লিক ।

রবি উত্‌সবে

‘রবীন্দ্রনাথ যে উত্‌সবগুলির প্রচলন করেছিলেন শান্তিনিকেতনে, সে সব নিছক মনোরঞ্জনের জন্য নয়। প্রত্যেকটির নিজস্ব তাত্‌পর্য আছে। পাঠ্যক্রমের দিকে তাকিয়েও সেই লক্ষ্যেই আমরা এ বার থেকে নতুন ভাবে উত্‌সবগুলির পরিকল্পনা করেছি। বাইশে শ্রাবণ উপলক্ষে বৃক্ষরোপণ দিয়ে তার শুরু’ বলছিলেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য সুশান্ত দত্তগুপ্ত। পরিবেশ ভাবনায় রবীন্দ্রনাথের অবদান মনে রেখে শ্রীনিকেতনের পাঠক্রমের সঙ্গে বৃক্ষরোপণ ও হলকর্ষণ উত্‌সবকে যুক্ত করারও ভাবনাচিন্তা চলছে। ২২শে শ্রাবণ (৮ অগস্ট) বৈতালিক ও উপাসনা দিয়ে শুরু হবে নয় দিনের বৃক্ষরোপণ, হলকর্ষণ, রবীন্দ্রসপ্তাহ, স্বাধীনতা দিবস ও বর্ষামঙ্গল উদ্‌যাপন। উদ্বোধন হবে নবরূপে সজ্জিত দ্বিজেন্দ্রকক্ষের। লালবাঁধ ঘিরে একটি পরিবেশবান্ধব অঞ্চল তৈরি করা হয়েছে, উদ্বোধন হবে সেটিরও। বিশ্বভারতী গ্রন্থনবিভাগের চারটি নতুন বই (ফোর্টিন সংস, রাজনীতির পাঠক্রমে রবীন্দ্রনাথ, দ্য পোয়েট অ্যান্ড দ্য সায়েন্টিস্ট এবং গীতাঞ্জলি সুর ও বাণী) আনুষ্ঠানিক প্রকাশ করবেন উপাচার্য। থাকছে রবীন্দ্রসঙ্গীত গবেষণা কেন্দ্র ও গ্রন্থনবিভাগের উদ্যোগে বইমেলাও। রবীন্দ্রসপ্তাহ উপলক্ষে আয়োজিত হয়েছে কয়েকটি বক্তৃতা। ১০ তারিখ সন্ধ্যা ৭টায় লিপিকা সভাঘরে ‘রবীন্দ্রনাথ: গানে বিজ্ঞানে’ শীর্ষক বক্তৃতা দেবেন উপাচার্য। সপ্তাহ জুড়ে লিপিকাতেই বিভিন্ন বিষয়ে বক্তৃতা ও উপস্থাপনায় থাকবেন তপতী মুখোপাধ্যায়, সবুজকলি সেন, ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায় ও সুশোভন অধিকারী। সঙ্গে নন্দলালের আঁকা হলকর্ষণের ছবি।

গতির চোখ

চর্মচক্ষে সে দেখে না। কিন্তু তার অন্তরের চক্ষু চেনে গতি। সেই চেনা দিয়েই দৃষ্টিহীনদের কার-র্যালি জিতল নরেন্দ্রপুর ব্লাইন্ড বয়েজ অ্যাকাডেমির একাদশ শ্রেণির ছাত্র সৌরভ পান। প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোডে শপিং মলের সামনে থেকে শুরু হয়ে কলকাতার নানা প্রান্ত ছুঁয়ে ৮০ কিলোমিটার পথের শেষ হয় নরেন্দ্রপুরেই। ছ’টি স্কুলের ৫৫ জন পড়ুয়াকে ‘এক্সপার্ট’ ও ‘অ্যামেচার’ দুই দলে ভাগ করা হয়েছিল। গাড়ির চালককে নির্দেশ দেওয়ার জন্য প্রত্যেক প্রতিযোগীর হাতে ছিল ব্রেল-নির্দেশিকা। ‘অ্যামেচার’ বিভাগে বিজয়ী হয় হুগলির কামারপুকুরের ফুলুই গ্রাম থেকে নরেন্দ্রপুরে পড়তে আসা সৌরভ। ‘এক্সপার্ট’ বিভাগে প্রথম হন ওই স্কুলেরই প্রাক্তন ছাত্র সন্দীপ ঘোষ।

ঝুমুর-চষা

আসানসোলের খনি অঞ্চলে ‘৬৯ঙ’ হয়ে যেতে যেতেও বিশু পাগলের মতো তাঁকেও রেহাই দেয়নি রক্তে বয়ে চলা গানের নেশা। ইস্টার্ন কোলফিল্ডসে কাজ করার সঙ্গে সারা জীবন ঝুমুরের পিছু ধাওয়া করেছেন পবিত্র ভট্টাচার্য। দীনেন্দ্র চৌধুরী ছিলেন লোকসঙ্গীতে তাঁর গুরু। শিখেছেন উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতও। ঝুমুর গান সংগ্রহের জন্য চষে ফেলেছেন বহু গ্রাম। ১৫ বছর ধরে আসানসোলে ঝুমুরের ‘চামু কর্মকার উত্‌সব’ চালিয়ে আসছেন। অনায়াসে গড়গড়িয়ে বলে যান প্রাচীন ‘জম্বালিকা’ থেকে ঝুমুরের বিবর্তনের কথা। সঙ্গে গেয়ে শোনাতে থাকেন নানা উপবিভাগের, তালের, লয়ের ঝুমুর। তাঁর তিরিশ বছরের অক্লান্ত গবেষণার ফসল বৃহত্তর মানভূমের ঝুমুর প্রকাশ পেয়েছিল ২০০৮-এ। সম্পাদনা করেছেন ভবপ্রীতানন্দ ওঝার বৃহত্‌ ঝুমুর রসমঞ্জরী। সম্প্রতি গৌড়ীয় বা বাংলা নৃত্যে ঝুমুর-কীর্তনের ভূমিকা নিয়ে ভারত সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রকের অধীনে গবেষণা শেষ করেছেন। কিন্তু খোঁজা আজও শেষ হয়নি।

পল্লবিত

কেউ তাকে শেখায়নি। কিন্তু তার আঙুল নিজে-নিজেই ভিজে মাটি ঘাঁটতে শুরু করেছিল। কোনও প্রশিক্ষণ ছাড়াই পাঁচ বছর বয়স থেকে সে মাটি দিয়ে গড়তে শুরু করে মনীষীদের আদল।

রকমসকম দেখে তার বাবা, বাংলাদেশের যশোহরের দর্জি পরেশ সিংহ ছেলেকে নিয়ে চলে এসেছিলেন বনগাঁয়। তার দেখাশোনা আর শিক্ষার ভার নেয় ডানলপের এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। বছর চোদ্দোর সেই পল্লব সিংহ এখন কলকাতার কাশীপুর বয়েজের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র। তার অন্যতম অভিভাবক মৃণাল বিশ্বাস জানান, ইতিমধ্যেই তারাশঙ্কর, রবীন্দ্রনাথ, মধুসূদন, নজরুল, এমনকী রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের সিমেন্টের ভাস্কর্য তৈরি করে ফেলেছে সে। তার কাজ বিভিন্ন শিল্পীকে দেখিয়ে পরামর্শ চাওয়া হচ্ছে। চিত্রকর সমীর আইচ এবং কুমোরটুলির শিল্পী দিলীপ পাল নানা ভাবে সাহায্য করছেন। পল্লবের আপাতত একটাই স্বপ্ন—“বড় হয়ে বিশ্বভারতী, রবীন্দ্রভারতী কিংবা সরকারি আর্ট কলেজে ভর্তি হতে চাই।”

মন চলো ভ্রমণে

শুরুটা হয়েছিল পূর্ণদাস বাউলের হাত ধরে। সেই থেকেই নিরন্তর চলেছে বাউল গানকে ভুবনডাঙায় পৌঁছে দেওয়ার কাজ। ছেলেবেলায় বোলপুরে মা-বাবার কাছেই নাড়া বাঁধা, তাঁদের সঙ্গে ঘুরে ঘুরেই গানের তালিম জন্মসূত্রে সাধক বাউল লক্ষ্মণ দাসের। ২০০৮-এ প্রথম বিদেশে গান শোনাতে ডাক এসেছিল। এর পরে ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া, আমেরিকা চষে এসেছেন। লাস ভেগাসে ‘বঙ্গ সম্মেলন’-এ তাঁর গান শুনে মুগ্ধ প্রবাসীরা এ বছর তাঁকে ডাক পাঠিয়েছে কানাডার এডমনটন শহরে। ‘মন চলো ভ্রমণে/ কৃষ্ণ অনুরাগের বাগানে’ বলে সেখানকার ‘বাংলা উত্‌সব’ মাতাতে পাড়ি দিচ্ছেন লক্ষ্মণ। আজই দিল্লি থেকে তাঁর উড়ান।

জলপত্রিকা

বর্ষা উপলক্ষ, বর্ষাই বিষয়। এতেই মাখামাখি করে প্রকাশিত হয়েছে একগুচ্ছ পত্রপত্রিকা-গ্রন্থ নবধারাজলে ভিজতে নেমেছে বহরমপুরে। অভিজিত্‌ রায় সম্পাদিত আকাশ পত্রিকার ‘বর্ষা সংখ্যা’য় গল্প, কবিতা-প্রবন্ধের সঙ্গে শুভঙ্কর চট্টোপাধ্যায়ের দীর্ঘ কবিতা ‘মেঘবৃষ্টির গান’। নিজের সাম্প্রতিক কাব্যগ্রন্থ নীরব প্রত্যাবর্তন-ও অভিজিত্‌ উত্‌সর্গ করেছেন ‘শ্রাবণ মাসের পূর্ণিমা, তোমাকে’। একটি নভেলা, একটি নাটক, দু’টি গল্প, দুটি নিবন্ধ, ১১ জনের কবিতা নিয়ে বর্ষায় প্রকাশিত হয়েছে রাজন গঙ্গোপাধ্যায় সম্পাদিত অন্তিক। বড় প্রাপ্তি ‘এক হারিয়ে যাওয়া ভাষা বিজ্ঞানী’ মুহম্মদ আব্দুল হাই সম্পর্কে প্রাক্তন সাংসদ মইনুল হাসানের নাতিদীর্ঘ প্রবন্ধ। প্রচ্ছদ এঁকেছেন নাসের হোসেন। শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পাদিত অমলকান্তি পত্রিকার ২৬তম বছরের প্রথম সংখ্যাও প্রকাশিত হয়েছে বর্ষারম্ভে। গল্প-কবিতা ছাড়াও দুই কবিকে নিয়ে দু’টি নিবন্ধ। নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী প্রসঙ্গে লিখেছেন সুব্রত গঙ্গোপাধ্যায়, সমর সেনকে নিয়ে অশোক রুদ্র। নীলিমা সাহা সম্পাদিত নিনি পত্রিকার সাম্প্রতিক সংখ্যায় মালায়লম কবিতার অনুবাদ এবং তিনটি গদ্য ছাড়াও রয়েছে একগুচ্ছ চতুর্দশপদী।

নাটকের গান

‘এখন আর নাটকের গান কোনও সাহিত্য পুরস্কার পায় না। নজরুল, দ্বিজেন্দ্রলাল কিংবা গিরিশচন্দ্রদের কথা কেউ আর গানের স্রষ্টা হিসেবে মনে রাখেনি। এঁদের গানের বই প্রকাশিত হলেও তা সমাদৃত হয় না’ আক্ষেপ করছিলেন শিল্প-গবেষক দেবজিত্ বন্দ্যোপাধ্যায়। নাটকের গানকে স্ব-মহিমায় ফেরাতে ইদানীং রাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘুরে কথা বলছেন তিনি। ১৭৯৫ সনে লিভেদফ বাংলা থিয়েটারের সূচনা করেন। তার পরে দু’শো বছরের বেশি কেটে গিয়েছে। কিন্তু ভারতচন্দ্র রায়, গিরীশ ঘোষ, রবীন্দ্রনাথ, নজরুল থেকে শুরু করে পরে শম্ভুু মিত্র, মনোজ মিত্রেরাও কী ভাবে নাটকের গান বেঁধেছেন তা আধুনিক বাঙালির অজানা। সদ্য বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে এসে এই দুঃখই করে গেলেন দেবজিত্।

মল্লিনাথ

মল্লিনাথ চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে সম্প্রতি বিশেষ সংখ্যা প্রকাশ করেছে পূর্ব মেদিনীপুর থেকে প্রকাশিত ‘পূর্বরাগ’ পত্রিকা। কবিতা লিখেছেন দেশ, কপোতাক্ষ প্রভৃতি পত্রিকায়। তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘তোড়ার হাতে পৌঁছে দেবেন’ প্রকাশিত হয় ১৯৯৫ সালে। ‘এই অগ্নি, এই উদ্ধার’, ‘নীল বারান্দার ক্যাকটাস’, ‘চালচুলোহীন মানুষের কথামালা’ পরপর প্রকাশিত হয়। এই সংখ্যায় তাঁকে নিয়ে লিখেছেন পার্থপ্রতিম কাঞ্জিলাল, কবি-বন্ধু সত্যপ্রিয় মুখোপাধ্যায় প্রমুখ।

মানবসমাজ

অনুবাদে বাংলা সাহিত্য পড়ছেন দীর্ঘ দিন। এই প্রথম তিনি এলেন শান্তিনিকেতনে। তা বলে আপনজনের অভাব হয়নি। বিশ্বভারতীর মালয়ালি সমাজ সাদরে বরণ করে নিল কে জি বালকৃষ্ণনকে। সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন মুখ্য বিচারপতি বালকৃষ্ণন এখন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান। প্রাথমিক শিক্ষা শেষে হাই স্কুলে যাওয়ার জন্য কেরলে তাঁর গ্রাম থেকে পাঁচ কিলোমিটার হেঁটে যেতেন এরনাকুলমে। বিজ্ঞানে স্নাতক হওয়ার পর শুরু হয় তাঁর আইনি যাত্রা। ২০১০ সালে সুপ্রিম কোর্টের মুখ্য বিচারপতি পদ থেকে অবসর নিয়ে জাতীয় মানব অধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান পদে বসেন। মানব অধিকার সম্পর্কিত দু’দিনের সর্বভারতীয় আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে এসেছিলেন বালকৃষ্ণন। রথীন্দ্র অতিথিগৃহে একটি ঘরোয়া অনুষ্ঠানে মঙ্গলবার বিশ্বভারতীর মালয়ালি সমাজ তাঁকে সংবর্ধনা দিল, শান্তিনিকেতনের রীতি মেনে উত্তরীয় সহকারে। একান্ত আলাপচারিতায় বেশ কিছুক্ষণ কাটান প্রাক্তন বিচারপতি। তাঁর সঙ্গে কথা বলে আপ্লুত বিশ্বভারতীর মালয়ালি সমাজ।

কমলেশ

ভাষাচার্য সুকুমার সেন ছিলেন তাঁর শিক্ষক। ছাত্রের স্মৃতিশক্তির অকুণ্ঠ প্রশংসা করতেন শিক্ষক নিজে। বন্ধুমহলে রসিক আড্ডাবাজ হিসেবেও জনপ্রিয়তা ছিল তাঁর। বর্ধমান শহরের রাজ কলেজে বাংলা সাহিত্যের শিক্ষক হিসেবে কাটিয়েছেন অনেকগুলি বছর। সম্প্রতি ৭৫ বছর বয়সে প্রয়াত হয়েছেন কমলেশ চট্টোপাধ্যায়। শহরের অরবিন্দ ভবনে স্মরণসভায় ছাত্রছাত্রী ও সহকর্মীদের কথায় উঠে এল নানা অজানা কথা। কলেজ জীবনে কমলেশবাবুর সহকর্মী জ্যোর্তিময় ভট্টাচার্য বলেন, “কলেজের স্টাফরুমে কমলেশবাবুর গল্প শুনতে শুনতে কখন যে বিকেল থেকে সন্ধে গড়িয়ে যেত বুঝতেই পারতাম না।” সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন কমলেশবাবুর ছাত্র গিরিধারী সরকার।

অন্য বিষয়গুলি:

southbengal south karcha
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy