বন্ধ ও রুগ্ণ কারখানা খোলার দাবিতে কলকাতায় এ বার রাতভর অবস্থানে বসল সবক’টি কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়ন ও শ্রমিক ফেডারেশন। রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ে সেই অবস্থানের প্রথম দিনে রাজ্যে শিল্পের পরিবেশ নিয়েই ফের সংশয় প্রকাশ করলেন শ্রমিক নেতারা। সিটুর রাজ্য সভাপতি শ্যামল চক্রবর্তীর কথায়, “রাজ্যে অরাজক অবস্থা। তোলাবাজিতে অতিষ্ঠ হয়ে একের পর এক শিল্প পাততাড়ি গোটাচ্ছে। অন্য রাজ্যের শিল্পপতিরা এ রাজ্যে বিনিয়োগ করতে আসছেন না। এই অবস্থায় সিঙ্গাপুর থেকে বিনিয়োগ আসবে, বিশ্বাস করা কঠিন!”
মেদিনীপুরে সোমবারই কৃষক নেতা হরেকৃষ্ণ কোঙারের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে এক সভায় বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্রও কটাক্ষ করেছেন, “সিঙ্গাপুরে গিয়ে যা খরচ করেছেন, তার থেকে দু’টাকা বেশি যদি বিনিয়োগ হয় ভাল! আমার শুভেচ্ছা থাকল! উনি (মুখ্যমন্ত্রী) সিঙ্গাপুর থেকে ফিরতে না ফিরতেই তো একের পর এক শিল্প বন্ধ হয়ে যাচ্ছে!”
মুখ্যমন্ত্রীর সিঙ্গাপুর সফরের সময়েও কয়েকটি শিল্প বন্ধ হয়েছে এ কথা জানিয়ে শ্যামলবাবু বলেন, “শিল্প আনার জন্য মুখ্যমন্ত্রী বেঙ্গল লিড্স করেছেন। আসলে বেঙ্গল ব্লিডস্। বাংলা রক্তাক্ত!” তাঁর আরও কটাক্ষ, “রাজ্যে এখন চারটি শিল্প রয়েছে। তোলাবাজি, সিন্ডিকেট, বিনোদন ও ধর্ষণ!” কেন্দ্রীয় সরকারের দেওয়া তথ্যে গত তিন বছরে রাজ্যে ৪৯ হাজার ছোট ও মাঝারি শিল্প বন্ধ হয়েছে। তার ফলে পাঁচ লক্ষ মানুষ কর্মচ্যুত হয়েছেন।
দিল্লির বিজেপি সরকার এবং রাজ্যের তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দলের ঝান্ডা সরিয়ে রেখে একযোগে আন্দোলনে নামার কথাও ফের বলেছেন শ্যামলবাবু। যে পথে গিয়ে কয়েক দিন আগেই উত্তরবঙ্গে বিরাট মিছিল করেছে সবক’টি চা-শ্রমিক ইউনিয়ন। আবার এ দিনই সব শ্রমিক সংগঠন মিলে ডিভিসি-র দুর্গাপুর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে তৃণমূল সমর্থক বাদে অন্য কোনও অস্থায়ী শ্রমিককে কাজের সুযোগ না দেওয়ার অভিযোগ জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে চিঠি পাঠিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy