Advertisement
১৯ নভেম্বর ২০২৪

এসএসসি-টেটে জট কাটাতে জোড়া উদ্যোগ

আবেদনকারী প্রার্থীদের সকলেই যাতে টিচার এলিজিবিলিটি টেস্ট (টেট)-এ বসতে পারেন, তা নিশ্চিত করতে আইনজীবীদের পরামর্শ নিয়ে যা করার করবে স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)। ২৯ মার্চ এসএসসি-র যে-টেট হওয়ার কথা ছিল, কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে তা স্থগিত হয়ে গিয়েছে। সেই পরীক্ষা যে-দিনই হোক না কেন, সব প্রার্থীই যাতে সেটি দিতে পারেন, সেই জন্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে শুক্রবার আশ্বাস দিয়েছেন এসএসসি-র চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্য।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২২ মার্চ ২০১৪ ০৪:১৯
Share: Save:

আবেদনকারী প্রার্থীদের সকলেই যাতে টিচার এলিজিবিলিটি টেস্ট (টেট)-এ বসতে পারেন, তা নিশ্চিত করতে আইনজীবীদের পরামর্শ নিয়ে যা করার করবে স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)। ২৯ মার্চ এসএসসি-র যে-টেট হওয়ার কথা ছিল, কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে তা স্থগিত হয়ে গিয়েছে। সেই পরীক্ষা যে-দিনই হোক না কেন, সব প্রার্থীই যাতে সেটি দিতে পারেন, সেই জন্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে শুক্রবার আশ্বাস দিয়েছেন এসএসসি-র চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্য।

সেই ব্যবস্থা ঠিক কেমন?

সুবীরেশবাবু বিস্তারিত ভাবে তা জানাতে চাননি। তিনি শুধু বলেন, “প্রার্থীদের স্বার্থ রক্ষা করতে কমিশনের আইনজীবীদের পরামর্শ নিয়ে যা করার, সবই করা হবে।” তবে এসএসসি সূত্রের খবর, দ্বিমুখী বন্দোবস্তের কথা ভাবা হয়েছে। প্রথমত, ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর টিচার এডুকেশন (এনসিটিই) এবং কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের কাছে বিএড ডিগ্রিহীন প্রার্থীদের পরীক্ষায় বসতে দেওয়ার অনুমতি চেয়ে আবেদন জানানো। দ্বিতীয়ত, উচ্চ আদালতের ডিভিশন বেঞ্চেরও দ্বারস্থ হতে পারে কমিশন।

এনসিটিই-র নিয়ম অনুযায়ী, প্রশিক্ষণহীন প্রার্থীরা ২০১৪-র ৩১ মার্চের পরে আর টেট দিতে পারবেন না। আদালতের রায়ে স্থগিত হয়ে যাওয়া এই পরীক্ষা লোকসভা ভোটের আগে নেওয়া যাবে না বলেই মনে করছেন এসএসসি-কর্তৃপক্ষ। তাই ৩১ মার্চের সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও যাতে প্রশিক্ষণহীন প্রার্থীরা টেট দিতে পারেন, সেই জন্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে চায় এসএসসি।

নিয়োগ পরীক্ষাকে দু’ভাগ করে এ বার পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষক বাছাইয়ের জন্য টেট-এর ব্যবস্থা করেছে এসএসসি। কিন্তু শুরু থেকেই তা নিয়ে বিভ্রাট চলছে। ৯ মার্চ ওই পরীক্ষা নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সর্বত্র সময়মতো ফর্ম পৌঁছে দেওয়া যায়নি। তাই ওই পরীক্ষা পিছিয়ে ২৯ মার্চ নেওয়া হবে বলে ঠিক হয়। এ বার জট পাকিয়েছে মূলত সেই পরীক্ষায় প্রশিক্ষণহীন প্রার্থীদের বসতে দেওয়া নিয়েই। হাইকোর্টে মামলা দায়ের করে এসএসসি আগেকার পরীক্ষায় সফল এক দল প্রার্থী জানিয়েছিলেন, এনসিটিই-র নিয়ম অনুযায়ী ৩১ মার্চের পরে প্রশিক্ষণহীন কোনও প্রার্থীকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ করা যাবে না। ২৯ মার্চ টেট হলে সেই সময়সীমা মানা যাবে না বলে জানান আবেদনকারীরা। বৃহস্পতিবার এই মামলার পরিপ্রেক্ষিতেই ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত টেট স্থগিত করে দিয়েছে হাইকোর্ট। সুবীরেশবাবু শুক্রবার জানান, রায়ের প্রতিলিপি হাতে পেলে এ ব্যাপারে পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে আইনি পরামর্শ নেওয়া হবে।

রাজ্যে শূন্য শিক্ষক-পদের তুলনায় বিএড প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রার্থীর সংখ্যা কম। তাই প্রশিক্ষিতদের পাশাপাশি প্রশিক্ষণহীন প্রার্থী নিয়োগের অনুমতি চেয়ে রাজ্য সরকারের তরফে এনসিটিই এবং মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের কাছে আবেদন জানানো হয়েছিল ২০১১ সালে। সুবীরেশবাবু জানান, তাতে সাড়া দিয়ে ২০১৪-র ৩১ মার্চ পর্যন্ত প্রশিক্ষণহীন প্রার্থীদের এসএসসি-র পরীক্ষায় বসা ও শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ করার ক্ষেত্রে ছাড় দিয়েছিল এনসিটিই। তাই ২৯ মার্চের পরীক্ষায় এনসিটিই-র নিয়ম ভাঙা হচ্ছিল না বলেই তাঁর দাবি।

চেয়ারম্যান এ দিন জানান, প্রার্থীদের কোনও প্রশ্ন থাকলে প্রতি সোমবার বেলা ১২টার পরে সল্টলেকে কমিশনের মূল দফতরে গিয়ে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। বিশেষ জরুরি কাজে বেরোতে না-হলে এ ভাবেই সপ্তাহের প্রথম কাজের দিনে প্রার্থীদের সঙ্গে কথা বলবেন তিনি।

অন্য বিষয়গুলি:

ssc high court
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy