দুই সন্তান-সহ হাজরার গৃহবধূ দীপা ঝা কী ভাবে অমৃতসরে পৌঁছলেন, সেই রহস্যের কিনারা দেখতে পাচ্ছে পুলিশ। ওই ঘটনায় টালিগঞ্জ থেকে ধৃত সৌমিত্র বন্দ্যোপাধ্যায়কে জেরা করে তারা জেনেছে, ঘটনার মূলে আছে ওই বধূর সঙ্গে তাঁর প্রণয়ের সম্পর্ক।
ওই মহিলা ছেলেমেয়েদের ‘স্কুল থেকে আনতে যাচ্ছি’ বলে ২৪ সেপ্টেম্বর হাজরার শ্বশুরবাড়ি থেকে বেরিয়ে আর ফেরেননি। খবর পেয়ে দীপার দিল্লিবাসী স্বামী কলকাতায় ফিরে নেতাজিনগর থানায় অভিযোগ করেন, তাঁর দুই সন্তান এবং স্ত্রীকে অপহরণ করা হয়েছে।
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, মহিলা সে-দিন ফোনে শ্বশুরবাড়িতে জানান, ফিরতে দেরি হবে। সিসিটিভি দেখাচ্ছে, স্কুল থেকে ছেলেমেয়েদের নিয়ে তিনি সূর্য সেন মেট্রো স্টেশনে ঢুকছেন। তার আগে তিনি সন্তানদের ট্রান্সফার সার্টিফিকেটও সংগ্রহ করেন স্কুল থেকে। তার আগের দিন নিজের অ্যাকাউন্ট থেকে বড় অঙ্কের টাকাও তুলেছিলেন তিনি। এ-সবই অন্যত্র যাওয়ার প্রস্তুতি বলে মনে হয়েছিল পুলিশের। তাই ওই মহিলার স্বামীর অভিযোগের ভিত্তিতে শুক্রবার সৌমিত্রকে গ্রেফতার এবং সন্তান-সহ দীপাকে উদ্ধারের পরেও এটা অপহরণ না অন্তর্ধান, সেই বিষয়ে তাদের সন্দেহ ছিল। চলছিল জেরা।
পুলিশি জানায়, জেরায় সৌমিত্র স্বীকার করেছেন, আলাদা ঘর বাঁধতেই তাঁরা পরিকল্পনা করেন, দীপা প্রথমে সন্তানদের নিয়ে অমৃতসরে চলে যাবেন। সন্দেহ এড়াতে সৌমিত্র যাবেন কয়েক দিন পরে। তার পরে একসঙ্গে থাকবেন। এই বয়ান কতটা সত্য, দীপাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সেই বিষয়ে নিঃসংশয় হতে চাইছে পুলিশ। আজ, সোমবার ছেলেমেয়ে-সহ দীপাকে কলকাতায় আনার কথা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy