সন্দেশখালি গ্রামীণ হাসপাতালে একটা বড় আর একটা পোর্টেবল এক্স-রে মেশিন রয়েছে। মেশিন চালানোর জন্য টেকনোলজিস্টকে পোস্টিংও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু দু’টি মেশিনই দীর্ঘদিন ধরে খারাপ। অভিযোগ, এর ফলে টেকনোলজিস্টকে বসে থাকতে হয় আর দু’টি নদী পেরিয়ে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতাল ও বসিরহাট সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল বা অন্যত্র ছুটতে বাধ্য হন রোগী।
শুধু সন্দেশখালি নয়। রাজ্য জুড়েই সরকারি হাসপাতালে এক্স-রে যন্ত্রের রশ্মি-প্রসাদ মিলছে না। উল্টে ওই পরিষেবার ক্ষেত্রে জমাট বেঁধে আছে অদ্ভুত অন্ধকার। বিশেষত গ্রামাঞ্চলে অধিকাংশ সরকারি হাসপাতালে এক্স-রে মেশিন খারাপ হয়ে পড়ে রয়েছে। আর মেশিন খারাপ বলে কাজ নেই টেকনোলজিস্টেরও। এমন অনেক সরকারি হাসপাতাল রয়েছে, যেখানে এক্স-রে মেশিনই নেই, তবু সেটি চালানোর জন্য টেকনোলজিস্টের পদে লোক নিয়োগ করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য ভবনে জমা পড়া যে প্রাথমিক তালিকায় দেখা যাচ্ছে, গ্রামীণ হাসপাতাল, ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং মহকুমা হাসপাতাল মিলিয়ে রাজ্যের ২৭টি সরকারি হাসপাতালে এক্স-রে মেশিন নেই। অথচ সেই মেশিন চালানোর জন্য টেকনোলজিস্ট রয়েছেন! আবার এমন ১১টি হাসপাতাল রয়েছে, যেখানে এক্স-রে মেশিন আছে এবং টেকনোলজিস্টও রয়েছেন। কিন্তু মেশিন খারাপ।
প্রশ্ন উঠছে, যন্ত্র না-কিনে বা না-সারিয়ে টেকনোলজিস্ট নিয়োগ করে হাসপাতালে বসিয়ে রাখার অর্থ কী? ‘‘এই সমস্যার কথা আমরা জানি। খুব তাড়াতাড়ি একটি ম্যাপিং প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। তাতে কোথায় লোকবল নষ্ট হচ্ছে, কোথায় যন্ত্র দরকার বা কোথায় যন্ত্র নষ্ট হচ্ছে, সব তথ্য আমাদের হাতে আসবে। সেই অনুযায়ী নতুন করে সব সাজানো হবে,’’ বলছেন রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী।
পুরো বিষয়টির পিছনে কোথাও কোথাও দুষ্টচক্রের কারসাজি আছে বলেও অভিযোগ। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, গ্রামীণ হাসপাতাল বা মহকুমা হাসপাতালের এক শ্রেণির চিকিৎসক ও কর্মীদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট
এলাকার বেসরকারি এক্স-রে ক্লিনিকগুলির যোগসাজশ রয়েছে। তাঁরাই নানা ভাবে সরকারি হাসপাতালে এক্স-রে মেশিন কিনতে বাধা তৈরি করেন বা কিনলেও বারবার যন্ত্রপাতি খারাপ করে দেন, সারাতে দেন না। তাতে বেসরকারি ক্লিনিকগুলির ব্যবসা বাড়ে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy