—প্রতীকী ছবি।
অব্যবহৃত বর্গা-জমির কৃষি-চরিত্র বদলের প্রয়োজন মেনে নিল রাজ্য সরকার। ভূমি ও ভূমি রাজস্ব প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য শুক্রবার বিধানসভায় বলেন, ‘‘কিছু ক্ষেত্রে এই প্রয়োজন দেখা যায়। বিষয়টি সরকার বিবেচনা করবে।’’
বিধানসভায় এ দিন ১০৩ বছরের পুরনো চরের জমি সংক্রান্ত একটি আইন বাতিলের জন্য বিল পাশ হয়েছে। সেই আলোচনার প্রসঙ্গে বর্গাদারের জমি সংক্রান্ত বিষয়টি উল্লেখ করে কান্দির তৃণমূল বিধায়ক অপূর্ব সরকার বলেন, ‘‘বহু ক্ষেত্রে বছরের পর বছর বর্গা হওয়া জমি চাষ করা যাচ্ছে না। আর চরিত্রগত কারণে সেই জমির মালিক বাড়ি তৈরি বা অন্য কোনও বাণিজ্যিক কাজে জমি ব্যবহার করতে পারছেন না।’’ সেই সূত্রে মন্ত্রী চন্দ্রিমা বলেন, ‘‘এই বিষয়টি বিবেচনার যৌক্তিকতা আছে।’’ পরে মন্ত্রী বলেন, ‘‘বিষয়টি বিবেচনায় রইল। ভূমি দফতর দেখবে।’’
বাতিল হয়ে যাওয়া ১৯২০ সালের ওই আইনে নদী বা সমুদ্রের ধারে জেগে ওঠা চরের জমি বিলি-বন্টনের ভার ছিল জেলাশাসক বা তাঁর প্রতিনিধির হাতে। কিন্তু স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে তৈরি আইনে সেই জমি সরাসরি খাস হয়ে যায়। নদীর চর নিয়ে এ দিনের এই আলোচনায় বালি চুরি ও প্রশাসনের মদতে মাফিয়া দৌরাত্ম্যের অভিযোগে সরব হন বিজেপি বিধায়ক নরহরি মাহাতো ও বিশ্বনাথ কারক। মন্ত্রী অবশ্য এ দিনের আলোচনায় এই অভিযোগ অপ্রাসঙ্গিক বলে মন্তব্য করেন।
এই প্রসঙ্গেই অপূর্ব বলেন, ‘‘মুর্শিদাবাদ, মালদহ-সহ রাজ্যের কয়েকটি জেলায় গঙ্গা ও অন্য নদীর গতি পরিবর্তনের ফলে পাড় ভাঙনে বহু বাড়ি, জমি, স্কুল, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, ধর্মস্থান তলিয়ে যাচ্ছে। এই ক্ষতিগ্রস্ত মানুষগুলিকে কি সরকারি ভাবে ‘জমিহারা’র স্বীকৃতি দেওয়া যায়?’’ সেই সঙ্গেই তিনি বলেন, ‘‘অন্য এক পাড় ভাঙলে চর জাগছে। সেখানেও জমিহারা মানুষের পুনর্বাসনের কথা ভাবা যেতে পারে।’’ মন্ত্রী অবশ্য এ বিষয়ে কিছু বলেননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy