নিহত তপন দত্তের স্ত্রী প্রতিমা দত্ত। ছবি: সংগৃহীত।
কেবল চুরির মামলায় গ্রেফতার হলেন বালির পরিবেশকর্মী তপন দত্তের স্ত্রী প্রতিমা দত্ত। শনিবার সকালে নিশ্চিন্দা থানার পুলিশ তাঁকে বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে। এ দিন প্রতিমা দত্তকে হাওড়া আদালতে তোলা হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে হাওড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এলাকায় কেবলের ব্যবসা রয়েছে প্রতিমা দত্তের। একই ব্যবসা রয়েছে তাঁরই প্রতিবেশী অসিত বিকাশ দত্তের। পুলিশ জানিয়েছে, গত মার্চে অসিত বাবু অভিযোগ করেন, তাঁর কেবলের তার চুরি করে নিয়েছেন প্রতিমা দত্ত। এই মর্মে বালির নিশ্চিন্দা থানায় একটি অভিযোগও দায়ের করেন অসিতবাবু। প্রতিমা দত্তের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারায় মামলা রুজু হয়। হাওড়া আদালতে মামলাটি ওঠে।
আরও পড়ুন: হাজির সুব্রতও, এর পরে শুভেন্দু
আরও পড়ুন: পৃথক পথের সারথি কারা, প্রশ্ন সিপিএমে
মাস দু’য়েক আগে পুলিশের তরফে প্রতিমা দত্তকে আদালতে হাজিরা দেওয়ার নোটিস পাঠানো হয়। কিন্তু তিনি যাননি বলে অভিযোগ। পুলিশ জানিয়েছে, এর পরেও প্রতিমা দত্তকে একই নোটিস পাঠানো হয়। গ্রেফতারি এড়াতে শুক্রবারই হাওড়া আদালতে গিয়ে আগাম জামিনের আবেদন জানিয়েছিলেন প্রতিমা দত্ত। কিন্তু তাঁর সেই আর্জি খারিজ করে দেয় আদালত। তার পরই এ দিন সকালে বিশাল পুলিশবাহিনী গিয়ে প্রতিমা দত্তকে গ্রেফতার করে। তাঁর এই গ্রেফতারি প্রসঙ্গে প্রতিমা দত্তের পাল্টা দাবি, তপন দত্ত হত্যা মামলা যাতে বন্ধ করা যায়, সে কারণেই তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। প্রতিমা দত্তের পাশে দাঁড়িয়ে 'আক্রান্ত আমরা'র পক্ষ থেকেও ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তোলা হয়েছে। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেন, “প্রতিমা দত্ত কে মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার করে 'বাংলার নেত্রী' এক কুৎসিত রাজনীতির পরিচয় দিলেন। প্রতিমা দেবীর অপরাধ তিনি তার মৃত স্বামীর খুনিদের শাস্তির জন্য লড়াই করছেন, আর 'দিদি' খুনিদের বাঁচাতে চাইছেন। অন্য দিকে, বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু বলেন, “প্রতিমা দত্ত সুপ্রিম কোর্টে জয়লাভ করেছে। মিথ্যা অপবাদ দিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে। গণতন্ত্রের পক্ষে লড়াই করছেন বলে ফন্দিফিকির তৈরি করে এ সব করা হয়েছে। নিন্দনীয় ব্যাপার।
প্রতিমা দত্তকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে এ দিন হাওড়া ময়দান চত্বরে হাওড়া কোর্টের সামনে 'আক্রান্ত আমরা'র বিক্ষোভ কর্মসূচি রয়েছে এবং হাওড়া পুলিশ কমিশনারেটের কাছে এ বিষয়ে ডেপুটেশন দেবে বলেও জানা গিয়েছে।
অভিযোগ, বালিতে জলাভূমি ভরাটের প্রতিবাদ করায় ২০১১ সালে খুন হয়েছিলেন তপন দত্ত। সেই মামলা এখনও চলছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy