সুপ্রিম কোর্টের শুনানির পরই হাই কোর্টের দৃষ্টি আকর্যণ করতে হবে। আরজি করের নির্যাতিতার পরিবারের করা মামলায় এমনই জানালেন হাই কোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। পাশাপাশি, এজলাসে রাজ্য সরকারের আইনজীবীর উপস্থিতি নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।
শিয়ালদহ আদালত আরজি করে ধর্ষণ-খুনের মামলার রায় দেওয়ার আগে হাই কোর্টে একটি আবেদন করেছিলেন নির্যাতিতার মা-বাবা। সিবিআই তদন্ত নিয়ে নানা প্রশ্ন তুলে উচ্চ আদালতের বিচারপতি ঘোষের বেঞ্চে সেই আবেদন করা হয়েছিল। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হওয়া শুনানিতে বিচারপতি ঘোষ স্পষ্ট জানিয়েছিলেন, সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মামলার শুনানি চলছে। তাই তিনি এখনই ওই মামলা শুনবেন না। সুপ্রিম কোর্ট যদি হাই কোর্টকে মামলা শোনার নির্দেশ দেয়, তবেই তিনি নির্যাতিতার পরিবারের আবেদন শুনবেন বলেও জানিয়েছিলেন বিচারপতি ঘোষ।
বুধবার হাই কোর্টে নির্যাতিতার পরিবারের আবেদনের শুনানি ছিল। শুনানিতে নির্যাতিতার পরিবারের আইনজীবী জানান, তাঁরা সুপ্রিম কোর্টে নতুন করে আবেদন করেছেন। আগামী শুক্রবার শীর্ষ আদালতে শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে। তার পরই তাঁর আর্জি, সপ্তাহ দুয়েকের জন্য হাই কোর্টে মামলাটি মুলতবি রাখা হোক।
বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ নির্যাতিতার পরিবারের আইনজীবীকে নির্দেশ দেন, শীর্ষ আদালতে মামলার শুনানি হওয়ার পরে আবার তাঁদের হাই কোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে হবে। তার পরেই হবে শুনানি।
আরও পড়ুন:
বুধবারের শুনানিতে বিচারপতি ঘোষের এজলাসে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের তরফের আইনজীবীও। তবে তাঁর উপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি। তাঁর প্রশ্ন, সিবিআই তদন্তে গাফিলতির অভিযোগ তুলে মামলা করেছেন নির্যাতিতার পরিবার। সেই মামলায় কেন রাজ্যের আইনজীবী উপস্থিত আছেন? জবাবে রাজ্যের আইনজীবী জানান, আদালতকে সহযোগিতা করতেই এজলাসে আছেন তিনি।
উল্লেখ্য, সোমবারই আরজি কর-কাণ্ড নিয়ে নির্যাতিতার বাবা জানিয়েছিলেন, সুপ্রিম কোর্টে তাঁরা নতুন করে আবেদন করেছেন। হাই কোর্টে যাতে তদন্ত-মামলা ফেরানো হয়, সেই কথাই আবেদনে উল্লেখ করেছেন তাঁরা। মঙ্গলবার সেই বিষয়টি নিয়েই প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়।