গঙ্গারামপুরে মাথা ফাটল এএসআই বিভু ভট্টাচার্যের। ছবি: অমিত মোহান্ত।
বিজেপির পরিকল্পিত হামলার আগাম কোনও খবরই ছিল না পুলিশের কাছে—তা স্বীকার করছেন প্রশাসনের কর্তারা। সে কারণেই হামলার শিকার হতে হয়েছে পুলিশকর্মীদের। গুরুতর আহত হয়েছেন বেশ কয়েক জন পুলিশকর্মী। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(গ্রামীণ) ওয়াংডেন ভুটিয়া বলেন, ‘‘আগে থেকে খবর থাকলে নিশ্চয় আমরা আরও প্রস্তুত থাকতাম। তবে ইন্টেলিজেন্স ব্যর্থতার কথা ঠিক নয়। আমাদের পুলিশ কর্মীরা পাথরবাজদের সামনেও পিছু হটেনি। মিছিল আটকে দিতে পেরেছে।’’
গত শনিবার বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের মিছিলের আগে গঙ্গারামপুর শহরে ১৪৪ ধারা জারি করে প্রশাসন। সেই ধারা অমান্য করে বিজেপি নেতৃত্ব মিছিল করতে করতে এগোয়। তখন পুলিশ সেই মিছিল আটকে দিলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন বিজেপি কর্মীরা। অভিযোগ, পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী পুলিশের উপরে হামলা করতে বিজেপির একটি দল আগে থেকে রেল লাইন থেকে বড় পাথর, বাঁশ, লাঠি, জুতো এনে রেখেছিল। পরিকল্পনা ছিল, মিছিল আটকে দিলেই পুলিশের উপরে অতর্কিতে হামলা চালানো হবে। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী ওই দিন বিজেপির কর্মীদের একাংশ রাজ্য সভাপতির সামনেই পুলিশের উপরে ঝাঁপিয়ে পড়ে। প্রায় আধ ঘন্টা এই সংঘর্ষ চলার পরে মিছিল ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ।
কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে, বিজেপি পরিকল্পনা অনুযায়ী হামলার প্রস্তুতি নিলেও সেই খবর পুলিশের কাছে কেন ছিল না? হামলার আগাম খবর না থাকায়, পুলিশের ইন্টেলিজেন্স যে ব্যর্থ, সেটাই প্রমাণ করছে বলে দাবি পুলিশের একাংশের। যদিও পুলিশ কর্তাদের দাবি, আগাম খবর না পেলেও যে ভাবে পাথরবাজিদের সামনে থেকে মোকাবিলা করে মিছিল আটকে দিয়েছে পুলিশ, সেটা কোনও অংশেই ছোট নয়।
সেদিনের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ রবিবার রাতে আরও দু’জনকে গ্রেফতার করেছে। এ নিয়ে এই ঘটনায় ধৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে চার। পার্থ দাস ও সুব্রত সাহা নামের ধৃত এই দুই বিজেপি কর্মীকে সোমবার মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy