সোমবার পুলিশের ডিজি মনোজ মালবীয়কে চিঠি দেবেন শুভেন্দু অধিকারী। ফাইল চিত্র।
রাজ্যে বিভিন্ন প্রান্তে একের পর এক খুনের ঘটনা ঘটছে। সেইসব রুখতে ব্যর্থ পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ কীভাবে তৃণমূলের ভোটে নিরাপত্তা দিচ্ছে? এমনই প্রশ্ন তুলে রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালবীয়কে চিঠি দিতে চলেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রবিবার নন্দীগ্রামে ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠান শেষে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন স্থানীয় বিধায়ক।
সেখানেই প্রশ্ন ওঠে, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ঘটে যাওয়া খুনের ঘটনা নিয়ে। জবাবে শুভেন্দু বলেন, ‘‘রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা একেবারে শেষ হয়ে গিয়েছে। রাজ্যে যে ভাবে প্রতিদিন কালিয়াচক, কালিয়াগঞ্জের মতো ঘটনা ঘটছে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে আমি রাজ্য পুলিশের ডিজিকে চিঠি দেব। দিয়ে জানতে চাইব, তৃণমূলের পার্টির ভোটের জন্য যে পুলিশ মোতায়েন করেছেন, তাতে কত টাকা তৃণমূল ট্রেজারিতে দিয়েছে?’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘গতকাল অভিষেকবাবুর মিটিং থেকে ফেরার পথে গাড়ি উল্টে আহত হয়েছেন। গোটা রাজ্য থেকে পুলিশ তুলে নিয়ে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর ভাইপোর সেবায় ব্যবহার করা হচ্ছে। আর রোজ রাজ্যে খুন হবে তা মেনে নেওয়া যায় না।’’
পরিসংখ্যান দিয়ে বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘‘অবিভক্ত বর্ধমান জেলায় একই কায়দায় ৩টি নৃশংস খুন হয়েছে। ১ মাস আগে আসানসোলের এক হোটেল মালিককে। ১৫-২০ দিন আগে রাজু ঝাকে। রাজু ঝাকে যে কায়দায় খুন করা হয়েছিল, সে ভাবেই ভারতীয় জনতা পার্টির রানিগঞ্জের নেতা ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের আহ্বায়ক রাজেন্দ্র সাউকে খুন করা হয়েছে। এখন তো সাধারণ মানুষের গাড়ি থেকে নামাই মুশকিল। আমরা নিরাপত্তা পাই। কিন্তু সাধারণ মানুষকে নিরাপত্তা কে দেবে?’’
প্রসঙ্গত, ২৫ এপ্রিল থেকে রাজ্য জুড়ে জনসংযোগ যাত্রা শুরু করেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার সেই যাত্রা পৌঁচেছে উত্তর দিনাজপুরে। এই কর্মসূচিতে দলীয় ভাবে পঞ্চায়েত ভোটের প্রার্থী নির্বাচন করতে ভোটের বন্দোবস্ত করেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। বিরোধী দলনেতার অভিযোগ, সাধারণ মানুষকে নিরাপত্তা দেওয়া বাদ রেখে রাজ্যের পুলিশ মুখ্যমন্ত্রী ও সাংসদ অভিষেককে নিরাপত্তা দেওয়ায় জোর দিচ্ছে। সঙ্গে দলীয় ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়ায় কেন পুলিশি নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। উল্লেখ্য, দলীয় ভোটকে কেন্দ্র করেই কোচবিহার ও জলপাইগুড়িতে গোলমালের ঘটনা ঘটেছে। তারপর ভোট গ্রহণের সময় নিরাপত্তা বাড়িয়েছেন পুলিশ প্রশাসন।
তাই শুভেন্দু সোমবার রাজ্য পুলিশের ডিজিকে চিঠি দিয়ে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চাইবেন। জবাবে কারামন্ত্রী অখিল গিরি বলেন, ‘‘বিরোধী দলনেতা যখন তৃণমূলে ছিলেন তখন কাঁথির শান্তিকুঞ্জে ৭০ জন পুলিশ দিনরাত নিরাপত্তায় মোতায়েন থাকত। তখন কেন রাজ্যবাসীর কথা মনে পড়েনি তাঁর? এ সব কথা বাজার গরম করার জন্য তিনি বলছেন, বিরোধী দলনেতার সব কথাই ভিত্তিহীন বলে আমরা মনে করি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy