জেপি নড্ডা এবং দিলীপ ঘোষ। ফাইল চিত্র।
বিজেপি-র পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সভাপতি হিসেবে তাঁর মেয়াদ ছিল আরও প্রায় এক বছর চার মাস। তার এত আগেই দিলীপ ঘোষের অপসারণ নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। বাংলার ভোটে বিপর্যয় দিলীপের পদ হারানোর অন্যতম বড় কারণ বলে দলের অনেকের মত।
নীলবাড়ির লড়াইয়ে নিশ্চিত জয়ের প্রত্যাশা নিয়ে ২৯৪-এর মধ্যে বিজেপি ৭৭টি আসন নিজেদের দখলে রাখতে পেরেছিল। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের হিসেবের ধারেকাছে ছিল না ওই সংখ্যা। তাঁরা মনে করছেন, বিধানসভা ভোটের সময়, এবং তার আগেও, দিলীপ ঘোষের লাগাতার আলটপকা বিতর্কিত মন্তব্য ভাল ভাবে নেননি বাংলার মানুষ। রাজ্য বিজেপি-র অনেকে এটা বলছেন।
এ রাজ্যে বিজেপি-র পুরনো নেতাদের কেউ কেউ শুধু নন, নতুন যাঁরা যোগ দিয়েছিলেন, তাঁদেরও অনেকে দিলীপের ভূমিকা নিয়ে অসন্তুষ্ট ছিলেন। পুরনোদের মধ্যে সদ্য বিজেপিত্যাগী বাবুল সুপ্রিয় এক জন। নতুনদের মধ্যে এখনকার প্রভাবশালী রাজ্য নেতারাও আছেন।
তবে, দিলীপ অনুগামীদের অনেকে বলছেন, ভোটে হারের দায় রাজ্য নেতৃত্বের থেকে অনেক বেশি কেন্দ্রীয় নেতাদের। তাঁরা গোটা নির্বাচন-পর্বে যতটা মতামত নিয়েছেন, তার থেকে অনেক বেশি নির্দেশ দিয়েছেন। কারও মতে, কেন্দ্রীয় নেতাদের ব্যর্থতা ঢাকতে ‘বলির পাঁঠা’ করা হল দিলীপকে।
তবে উল্টো দিকের কথা, তাই যদি হত, তবে ২ মে-র পরই তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হতো। সাড়ে চার মাস সময় নেওয়া হতো না।
দিলীপকে সরানো নিয়ে আর একটা মত হল ‘উত্তরবঙ্গ তত্ত্ব’। ২০১৯-এ দক্ষিণবঙ্গে যে ফল বিজেপি করেছিল তা ২০২৪-এ হবে না বলেই মনে করছেন মোদী-শাহ-নড্ডারা। কিন্তু উত্তরবঙ্গে অবস্থা ভাল। মন্দের ভাল হিসেবে তাই এটাকেই আপাতত পাখির চোখ করে এগোতে চাইছেন তাঁরা। সেই কারণেই উত্তরবঙ্গ থেকে রাজ্য সভাপতি করে পরের ভোটের প্রস্তুতি শুরু করা হল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy