মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যানকে তলব কলকাতা হাই কোর্টের।
তিন মাস কেটে গেলেও আদালতের নির্দেশ মানা হয়নি। বিচারপতি গ্রেফতারির হুঁশিয়ারি দিতেই ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নির্দেশ পালন। ১৩ বছরের বকেয়া ১০ লক্ষ টাকা মিটিয়ে দেওয়া হল ৪৫ বছরের শিক্ষককে। রাতে পৌঁছে গেল নিয়োগপত্রও। তবে তার পরও আদালতের নির্দেশ যথাযথ ভাবে পালন না হওয়ায় মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যানকে তলব করল কলকাতা হাই কোর্ট। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ, বৃহস্পতিবার দুপুর ২টোর মধ্যে মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যানকে সশরীরে হাজিরা দিতে হবে। এত দিনেও কেন তিনি আদালতের নির্দেশ মানেননি তার ব্যাখ্যা দিতে হবে।
২০০২ সালে হাই স্কুলে চাকরি পান খলিলউল্লাহ বৈদ্য। তাঁর দাবি, ২০০৯ সালে মাদ্রাসা পরীক্ষায় তিনি উত্তীর্ণ হন। ওই বছরই তাঁর চাকরিতে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন যে স্কুলে নিয়োগের সুপারিশ দেয় সেখানে কোনও শূন্যপদ ছিল না। এমনকি সেই স্কুলটি বাড়ি থেকে অনেক দূরে। খলিলউল্লাহের দাবি, বার বার অভিযোগ করেও কাজ হয়নি। দীর্ঘ দিন ধরে নিয়োগের সুপারিশপত্র না দেওয়ার অভিযোগ তুলে তিনি হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন।
মামলাকারীর আইনজীবী বিশ্বরূপ ভট্টাচার্য এবং গোলাম মহিউদ্দিন জানান, গত মে মাসে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় খলিলউল্লাহকে ৯০ দিনের মধ্যে বাড়ির ২০ কিলোমিটারের মধ্যে নিয়োগের সুপারিশপত্র এবং ২০০৯ সাল থেকে বকেয়া বেতন দেওয়ার নির্দেশ দেন। এত দিন কেটে গেলেও তা মানা হয়নি। এটা আদালত অবমাননার শামিল। এর প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ওই কমিশনের চেয়ারম্যানকে তলব করে উচ্চ আদালত। আইনজীবীরা জানান, আদালতের সমনের পরেই নড়েচড়ে বসে কমিশন। তড়িঘড়ি রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ মামলাকারীর বাড়িতে পৌঁছে যায় সুপারিশপত্র। বকেয়া বেতন দেওয়া হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে।
যদিও আদালতের সম্পূর্ণ নির্দেশ মানা হয়নি বলে অভিযোগ করেন মামলাকারী। তাঁর বক্তব্য, ‘‘উচ্চ আদালত বাড়ির ২০ কিলোমিটারের মধ্যে চাকরি দিতে বললেও, চাকরি দেওয়া হয়েছে প্রায় ৭০ কিলোমিটার দূরে।’’ বুধবার বিষয়টি নিয়ে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় ফের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তলব করেছেন ওই কমিশনের চেয়ারম্যানকে। ওই দিন মামলাটির পরবর্তী শুনানি হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy