এর আগে, সোমবার আরও ২৩ জনকে চাকরির নির্দেশ দেয় হাই কোর্ট। ফাইল চিত্র।
সোমবারের পর মঙ্গলবারও প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষক পদে চাকরি দেওয়ার নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ, ৫৪ জন টেট পরীক্ষার্থীকে ২২ দিনের মধ্যে চাকরি দিতে হবে। শূন্যপদ না থাকলে, প্রয়োজনে ভবিষ্যতের শূন্যপদ থেকে চাকরি দিতে হবে। ফলে দু'দিন মিলিয়ে ৭৭ জনকে চাকরি দেওয়ার নির্দেশ দিল উচ্চ আদালত। সোমবার এই একই ধরনের মামলায় বিচারপতির পর্যবেক্ষণ ছিল, যে হেতু ভুল হয়েছিল পর্ষদের, তাই তাদেরই ভুল স্বীকার করে গাফিলতি পূরণ করতে হবে।
২০১৪ সালের টেট পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন বনলতা সমাদ্দার-সহ ৫৪ জন। এখন হাই কোর্টে মামলা করে তাঁরা চাকরি আবেদন করেন। তাঁদের যুক্তি, ছ’টি প্রশ্ন ভুলের দরুন ২০১৬ সালে তাঁরা টেট পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ হন। এখন পর্ষদ সেই ভুল মেনে নিয়ে সব পরীক্ষার্থীকে বাড়তি নম্বর দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাঁদের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য এবং সুদীপ্ত দাশগুপ্তের বক্তব্য, ওই বাড়তি নম্বর পেলে তাঁরা টেট উত্তীর্ণ হবেন। ফলে তাঁদের চাকরি দিতে হবে। কারণ, সেই সময়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, এই নিয়োগে প্রশিক্ষিতদের প্রাধান্য দেওয়া হবে। আর মামলাকারীরা সবাই প্রশিক্ষিত চাকরিপ্রার্থী। তখন প্রশিক্ষিত নন এমন অনেককে চাকরি দেওয়া হয়েছে। স্বাভাবিক ভাবে এঁরাও চাকরি পাওয়ার যোগ্য।
২০১৪ সালের টেট পরীক্ষায় ছ'টি প্রশ্ন ভুল থাকার অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে হাই কোর্টে মামলা করেন কয়েক জন পরীক্ষার্থী। সেই সময় আদালত মামলাকারীদের ছয় নম্বর দেওয়ার নির্দেশ দেয়। এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায় পর্ষদ। তার পর সেখান থেকে মামলাটি ঘুরে পুনরায় কলকাতা হাই কোর্টে ফিরে আসে। এখন প্রশ্ন ভুলের মামলাটি ডিভিশন বেঞ্চে বিচারাধীন রয়েছে। এমতাবস্থায় শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত চলতি বিতর্কে পর্ষদ সিদ্ধান্ত নেয়, প্রশ্ন ভুলের দরুন সব পরীক্ষার্থীকে বাড়তি নম্বর দেওয়া হবে। এর ফলে অনেক টেট অনুর্ত্তীণ প্রার্থী, উত্তীর্ণ হন। এবং চাকরি পাওয়ার যোগ্য বলে দাবি করেন।
সোমবার সোহম রায়চৌধুরী-সহ ২৩ জনকে এই মর্মে চাকরি দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। ওই দিন পর্ষদের বক্তব্য ছিল, ভুল হয়েছিল ঠিকই। কিন্তু এই মুহূর্তে তাদের কাছে শূন্যপদের তালিকা নেই। মঙ্গলবার ফের আরও ৫৪ জনকে ২৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে চাকরির দেওয়ার সময়সীমা বেঁধে দিল আদালত। পাশাপাশি, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ, চাকরি যে দেওয়া হয়েছে, পরবর্তী শুনানির দিন পর্ষদকে আদালতে এসে তা জানাতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy