মফিজুলের বাবার সঙ্গে কথা বলছেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী।—নিজস্ব চিত্র।
আরাবুল আর তার বাহিনীর হাতেই ছেলে মফিজুল মারা গিয়েছে বলে অভিযোগ করলেন বাবা।
ভাঙড়়ের জমি আন্দোলনের জেরে গুলিতে নিহত হয়েছেন মফিজুল আলি খান ও আলমগির মোল্লা। ঘটনার পরে দুই পরিবারের জন্য ২ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছে সরকার। আলমগিরের পরিবার ক্ষতিপূরণের টাকা নিলেও এখনও সেই সাহায্য নেননি মফিজুলের বাবা শুকুর আলি খান।
মঙ্গলবার তাঁর বকুলতলা টোনা গ্রামের বাড়িতে আসে বিধানসভার বাম পরিষদীয় দলের কয়েকজন সদস্য। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সিপিএম সম্পাদক সুজন চক্রবর্তীর নেতৃত্বে চারজনের ওই দলে ছিলেন বিধায়ক মানস মুখোপাধ্যায়, তন্ময় ভট্টাচার্য উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের প্রাক্তন সভাধিপতি অপর্ণা গুপ্ত। সুজনবাবুদের কাছেই ক্ষোভ উগড়ে দেন শুকুর।
নিজেকে আগেই তৃণমূল কর্মী বলে জানিয়েছিলেন বৃদ্ধ শুকুর। এ দিন পকেট থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি বের করে দেখান। বলেন, ‘‘আরাবুল (তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম) আর তার বাহিনীর হাতেই ছেলেটা মরে গেল। ওর চরম শাস্তি চাই।’’
আর এক তৃণমূল নেতা সব্যসাচী দত্তকে এ দিন ‘বহিরাগত’ বলে মন্তব্য করেছেন মাছিভাঙা গ্রামের আরশিয়া বিবি, তনুজা বিবিরা। সব্যসাচীর ছেলেরা গ্রামে বোমা-গুলি ছুড়ে জোর করে জমি আন্দোলন ভাঙতে চাইছে বলে তাঁদের অভিযোগ। গ্রামের অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, ‘‘বহিরাগত বলে ওদের ধরা হবে না কেন? কেন নিরীহ গ্রামবাসীদের ধরে ধরে জেলে পোরা হবে?’’ এই প্রসঙ্গেই নকশাল নেতা শর্মিষ্ঠা চৌধুরী, অলীক চক্রবর্তীদের সম্পর্কে গ্রামের অনেকে বলেন, ‘‘ওঁরা তো আমাদের হয়েই আন্দোলন করছেন। ওঁদের বহিরাগত বলা হবে কেন?’’
এ দিন খামারআটি গ্রামে ঢুকতে চেয়েছিলেন সিপিএম নেতারা। সেখানে রাস্তার উপরে এখনও ইটের স্তূপ পড়ে। সুজনবাবুরা পাশ কাটিয়ে যেতে গেলে গ্রামের কয়েকজন বলে ওঠেন, ‘‘এখানে এসে আর কী করবেন? আগে পাওয়ার গ্রিড বন্ধের ব্যবস্থা করুন।’’
সুজনবাবু জানিয়েছেন, ভাঙড়ের ঘটনা তাঁরা বিধানসভায় তুলবেন। ২ ফেব্রুয়ারি লাউহাটিতে ভাঙড় কাণ্ডের প্রতিবাদে তাঁরা জনসভাও করবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy