গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।
আবার নবান্ন অভিযান কর্মসূচির ডাক। ‘নবান্ন চলো’ ডাক দিয়ে সমাজমাধ্যমে পোস্টার ছড়িয়ে পড়েছে। আগামী বৃহস্পতিবার ওই কর্মসূচি হওয়ার কথা। কিন্তু কে বা কারা ওই কর্মসূচির ডাক দিল তা এখনও স্পষ্ট নয়। ওই মিছিলের নেতৃত্বদানকারীদের পরিচয় জানতে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হল কলকাতা হাই কোর্টে। মামলা করেছেন ৬৫ বছরের এক প্রবীণ। পরিচয়হীন ওই কর্মসূচি আটকাতে উচ্চ আদালতে তিনি মামলা দায়ের করেছেন। আগামী সপ্তাহে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি রয়েছে।
মামলাকারীর বক্তব্য, ওই কর্মসূচির ডাক দিয়ে সমাজমাধ্যমে পোস্টার ছড়িয়ে পড়েছে। আগামী ১৬ তারিখ দুপুর ১টায় ওয়েলিংটন স্কোয়ারে জমায়েতের কথা বলা হয়েছে। সেখান থেকে মিছিল যাবে রাজ্য প্রশাসনের সদর দফতর নবান্নের দিকে। স্লোগান দেওয়া হয়েছে, ‘রাত দখলের পর/ আজ দাবি দখল’। মামলায় তাঁর আরও বক্তব্য, কারা ওই কর্মসূচি ডাক দিয়েছে পোস্টারে তার উল্লেখ নেই। হঠাৎ এই কর্মসূচির কারণ কী? ওই কর্মসূচির অনুমতি পুলিশের থেকে নেওয়া হয়নি বলেও জানান মামলাকারী। অতীতে নবান্ন অভিযান কর্মসূচি ঘিরে পরিস্থিতি অশান্ত হয়। বিক্ষোভকারীদের বাধা দিতে গিয়ে হিমশিম অবস্থা হয় পুলিশের। ফলে এখন ওই কর্মসূচির অনুমতি না থাকলে সংশ্লিষ্ট এলাকায় আইনশৃঙ্খলা অবনতির আশঙ্কা রয়েছে বলে মনে করছেন মামলাকারী ভরতকুমার মিশ্র। তাঁর কথায়, আগামী ১৫ জানুয়ারি গঙ্গাসাগর মেলা শেষ হবে। সেখান থেকে ফিরবেন তীর্থযাত্রীরা। তিনি নিজেও গঙ্গাসাগর যাত্রার সঙ্গে সম্পর্কিত একটি সংস্থায় যুক্ত। ফলে ১৬ জানুয়ারি 'নবান্ন চলো' কর্মসূচি হলে সমস্যায় পড়তে পারেন তীর্থযাত্রীরা।
হাই কোর্টে মামলাকারীর আবেদন, নিজেদের পরিচয় প্রকাশ করুক আয়োজকেরা। পুলিশের থেকে প্রয়োজনীয় অনুমতি নিয়ে অন্যত্র শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি করুক। এর আগে আরজি কর ঘটনার প্রতিবাদে সামাজমাধ্যম থেকে নবান্ন অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছিল। ছাত্র সমাজ নামে একটি ‘অনামী সংগঠন’ তার নেতৃত্বে ছিল। প্রথমে ওই সংগঠনের কারও নাম প্রকাশ্যে আসেনি। পরে নেতৃত্বদানকারীদের পরিচয় প্রকাশ পায়। ওই কর্মসূচির ধাঁচেই এখন আবার নবান্ন কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়েছে। অন্য দিকে, ওই কর্মসূচি নিয়ে পুলিশের কাছেও সঠিক ধারণা নেই। তাদের বক্তব্য, ওই কর্মসূচির পোস্টারে বিভিন্ন দাবিদাওয়ার কথা বলা হয়েছে। আরজি কর ঘটনার ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। কী কী দাবি তা এখনও স্পষ্ট নয়। পুলিশের অনুমান, পোস্টারে ছবির গঠন বলছে কোনও একটি রাজনৈতিক দলের মদত রয়েছে। এমতাবস্থায় আগামী সপ্তাহে শুনানিতে হাই কোর্ট কী জানায় সে দিকে তাকিয়ে পুলিশ-প্রশাসনও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy