(বাঁ দিকে) তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। রাজীব কুমার (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমারকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। এই সিদ্ধান্ত প্রকাশ্যে আসার পরেই কেন্দ্রের শাসকদল বিজেপিকে আক্রমণ করলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। সোমবার তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠক করেন কুণাল। সেখান থেকেই ডিজির অপসারণ প্রসঙ্গে মন্তব্য করেন। জানান, বিভিন্ন কেন্দ্রীয় সংস্থাকে নিজেদের স্বার্থে বিজেপি ব্যবহার করছে। এ ক্ষেত্রেও তারই প্রতিফলন দেখা গিয়েছে।
কুণাল বলেন, ‘‘এই ধরনের প্রতিষ্ঠানগুলিকে বিজেপি দখল করে নিতে চাইছে। তারা এজেন্সিগুলিকে ইতিমধ্যে দখল করে ফেলেছে। নির্বাচন কমিশনে বিচারবিভাগের শীর্ষ প্রতিনিধিকে সরিয়ে নিজেদের লোক বসানোর ব্যবস্থাপনা করেছে বিজেপি। ওরা নিজস্ব অ্যাজেন্ডা অনুযায়ী কাজ করছে। ভোট ঘোষণার পর প্রথমেই জাতীয় নির্বাচন কমিশনের এই পদক্ষেপ। ডিজিকে সরিয়ে দেওয়া হল। বিজেপি আসলে এই ধরনের সংস্থাকে দখল করে নিজের স্বার্থে ব্যবহার করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। এই সিদ্ধান্তেও তার প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে।’’
উল্লেখ্য, তিন মাস আগে ডিজি হিসাবে রাজীবকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিছু দিন আগে উত্তপ্ত সন্দেশখালিতেও গিয়েছিলেন তিনি। সোমবার জাতীয় নির্বাচন কমিশনের তরফে রাজ্যের মুখ্যসচিব বিপি গোপালিককে চিঠি দিয়ে অবিলম্বে রাজীব কুমারকে ডিজির পদ থেকে সরিয়ে দিতে বলা হয়েছে। নির্বাচন সংক্রান্ত কোনও দায়িত্বে তিনি থাকতে পারবেন না। রাজ্য পুলিশের নতুন ডিজি নিয়োগের আগে পর্যন্ত এই দায়িত্ব সামলাবেন রাজীবের ঠিক নীচের পদে যে অফিসার রয়েছেন, তিনি।
বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, সাধারণত ভোটের মুখে কমিশনের নির্দেশে এ ধরনের বদলি হলে ভোট শেষে তাঁকে পুনরায় আগের পদে বহাল করা হয়। রাজীবের ক্ষেত্রে তা না হলে আশ্চর্যের হবে। অতীতেও রাজীবকে ভোটের আগে দু’বার তাঁর তদানীন্তন পদ থেকে সরানো হয়েছে। ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজীবকে তদানীন্তন পদ থেকে সরানো হয়েছিল। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোট ঘোষণার পর রাজীবকে ডেপুটেশনে দিল্লি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। পরবর্তীতে রাজীব দীর্ঘ দিন ছিলেন কেন্দ্রীয় তথ্য প্রযুক্তি দফতরের সচিব। কয়েক মাস আগে রাজ্য পুলিশের ডিজি পদে মনোজ মালবীয়র মেয়াদ শেষ হয়। তার পর গত ডিসেম্বরে রাজ্য পুলিশের নয়া ডিজি হিসাবে নিয়োগ করা হয় রাজীবকে।
বিজেপির বিরুদ্ধে বিভিন্ন কেন্দ্রীয় সংস্থাকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহারের অভিযোগ আগেও তুলেছে তৃণমূল। ইডি, সিবিআইয়ের মতো সংস্থা যত বার দুর্নীতির তদন্তে তৎপরতা দেখিয়েছে, তত বার বিজেপির দিকে তারা আঙুল তুলেছে। এ বার ডিজির অপসারণেও কেন্দ্রের শাসকদলের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন কুণাল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy