সুপ্রিম কোর্টে তিন বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে আরজি কর মামলার শুনানি। গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
গত ৯ অগস্ট কলকাতার আরজি কর হাসপাতালে কী কী ঘটেছিল? কখন উদ্ধার করা হয়েছিল মহিলা চিকিৎসকের মৃতদেহ? জেনারেল ডায়েরিই বা কখন নথিভুক্ত করা হয়? সোমবার সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মামলার শুনানিতে এই সংক্রান্ত অনেক প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছে রাজ্য সরকার। রাজ্যের তরফে আইনজীবী কপিল সিব্বল সওয়াল করেছেন। আদালতে ওঠা প্রশ্নগুলির উত্তরও দিয়েছেন তিনি। শুনানি হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চে।
৯ তারিখ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চারতলার সেমিনার হলে প্রথম দেখা যায় মহিলা চিকিৎসকের দেহ। রাজ্যের তরফে সুপ্রিম কোর্টে জানানো হয়েছে, ওই দিন দুপুর ১টা ৪৭ মিনিটে চিকিৎসকের মৃত্যুর শংসাপত্র দেওয়া হয়েছে। তার পর অস্বাভাবিক মৃত্যু হিসাবে বিষয়টি পুলিশের খাতায় নথিভুক্ত করা হয় (জেনারেল ডায়েরি) বিকেল ২টো ৫৫ মিনিটে।
জেনারেল ডায়েরির সময় নিয়ে আদালতে অসন্তোষ এবং সন্দেহ প্রকাশ করেছেন মামলাকারীর আইনজীবী ফিরোজ এজুলজি। তিনি জানান, ৯ তারিখ রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে টালা থানায় এফআইআর দায়ের করে পুলিশ। গত ২৭ বছরের কর্মজীবনে এমন ঘটনা তিনি দেখেননি বলে জানিয়েছেন। ওই সময়েই তিনি বলেন, ‘‘ঘটনার দিন দুপুর ২টো ৩০ মিনিট থেকে রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত শুধু জেনারেল ডায়েরিতে তথ্য নথিভুক্ত করা হয়েছে। অনেক রহস্য রয়েছে এতে। পুরোটাই পরে প্রস্তুত করা হয়নি তো?’’ রাজ্য তার জবাবে জানায়, ঘটনাস্থলে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট উপস্থিত ছিলেন। প্রয়োজনে তাঁর কাছ থেকে রিপোর্ট চাওয়া হোক।
আদালতে এই সংক্রান্ত আলোচনার সময়ে সিবিআই জানায়, এই ধরনের ঘটনায় মৃতদেহ উদ্ধারের পর প্রথম পাঁচ ঘণ্টা খুব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে থাকে। কিন্তু সিবিআই যখন ঘটনাস্থলে পৌঁছয়, তখন পাঁচ দিন অতিক্রান্ত। অনেক কিছু তখন পাল্টে গিয়ে থাকতে পারে, জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা।
মৃতদেহ উদ্ধারের পর ঘটনাস্থলে তল্লাশি এবং নমুনা সংগ্রহের কাজ কখন করা হয়েছিল? রাজ্যের কাছে জানতে চান প্রধান বিচারপতি। রাজ্যের আইনজীবী জানান, ৯ অগস্ট রাত সাড়ে ৮টা থেকে ১০টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত তল্লাশি এবং নমুনা সংগ্রহ করেন আধিকারিকেরা।
আদালতে মৃত চিকিৎসকের ময়নাতদন্তের রিপোর্টের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মামলাকারীর আইনজীবী। তিনি জানান, ঘটনার এক মাস পরেও মৃত্যুর সময় নিশ্চিত করে এখনও জানা যায়নি। ময়নাতদন্ত সঠিক ভাবে করা হয়েছে কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে বলে দাবি আইনজীবীর। সিবিআইয়ের তরফেও জানানো হয়, ময়নাতদন্ত ঠিক কখন করা হয়েছে, সেই সময়ের উল্লেখ করেনি রাজ্য। এই কথোপকথনের প্রেক্ষিতে রাজ্যের তরফে জানানো হয়, সব কিছুরই উল্লেখ করা হয়েছে। কিছু গোপন করা হয়নি। প্রধান বিচারপতি জানতে চান, মৃতদেহ কখন ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছিল? তার চালানই বা কোথায়? এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির দিন রাজ্যকে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। আগামী মঙ্গলবার আবার এই মামলার শুনানি হবে। সে দিন সিবিআইকেও তদন্তের স্টেটাস রিপোর্ট জমা দিতে হবে আদালতে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy