জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন। গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
আন্দোলনরত চিকিৎসকদের অবিলম্বে কাজে যোগ দেওয়ার কথা বলল সুপ্রিম কোর্ট। সোমবার আরজি কর মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ কাজে যোগ দেওয়ার সময়ও বেঁধে দিয়েছে। বেঞ্চ স্পষ্ট জানিয়ে দিল, মঙ্গলবার বিকেল ৫টার মধ্যে কাজে যোগ দিতে হবে।
গত ৯ অগস্ট আরজি করের মহিলা চিকিৎসকের দেহ উদ্ধারের পর থেকেই আন্দোলন শুরু করেছেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। বিচারের দাবিতে পথে নেমেছেন তাঁরা। আরজি করের সামনে চলছে অবস্থানও। রাজ্য সরকারের তরফে বার বার তাঁদের কাজে যোগ দেওয়ার অনুরোধ জানালেও জুনিয়র ডাক্তারেরা কাজে ফেরেননি। সোমবারের শুনানিতে সেই প্রসঙ্গ উঠলে সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট জানায়, অবিলম্বে কাজে যোগ দিতে হবে চিকিৎসকদের।
শুনানিতে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘‘জুনিয়র ডাক্তারদের কাজে যোগ দিতে হবে। তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ হবে না, আমরা তো বলেছি। আগামিকাল বিকেল ৫টার মধ্যে কাজে যোগ দিতে হবে। তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করতে পারবে না রাজ্য।’’ তিনি আরও বলেছেন, ‘‘এর পরেও যদি কোনও চিকিৎসক কাজে যোগ না দেন, তবে তাঁর বিরুদ্ধে রাজ্য কোনও পদক্ষেপ করলে আমরা বাধা দিতে পারব না।’’ পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্ট পর্যবেক্ষণে এ-ও জানায়, আন্দোলনরত চিকিৎসকদের প্রয়োজনীয় সুযোগসুবিধা জেনে, তবেই পদক্ষেপ করতে হবে রাজ্যকে।
সোমবারের শুনানিতে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘‘বাস্তব পরিস্থিতি কী চলেছে আমরা সবাই জানি। কিন্তু ডাক্তারদের কাজে ফিরতে হবে।’’ তিনি মনে করিয়ে দেন, ‘‘চিকিৎসকদের প্রধান কাজ চিকিৎসা করা। তাঁদের নিরাপত্তার নির্দেশ আমরা দিয়েছি। তাঁরা কাজে যোগ না দিলে আমরা প্রত্যেককে নোটিস দেব।’’ তার পরই রাজ্যকে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘‘আপনারা নিশ্চিত করুন, যাঁরা কাজে যোগ দেবেন তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করবেন না। এমনকি তাঁদের বদলি করাও যাবে না।’’
উল্লেখ্য, সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মামলা নিয়ে আগের শুনানিতে দেশের চিকিৎসকদের কাজে ফিরতে অনুরোধ করেছিলেন দেশের প্রধান বিচারপতি। সেই ডাকে সাড়া দিয়ে এমসের চিকিৎসকেরা কাজে ফিরলেও আরজি কর-সহ পশ্চিমবঙ্গের মেডিক্যাল কলেজগুলিতে প্রতিবাদ কর্মসূচি বন্ধ হয়নি। আরজি করের আন্দোলনকারী চিকিৎসকেরাও জানিয়ে দিয়েছিলেন, তাঁরা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করছেন না। তার পরই আইএমএ-র সভাপতি সুপ্রিম কোর্টের সেই অনুরোধের কথা মনে করিয়ে দিয়ে কাজে ফেরার অনুরোধ করেছিলেন। সোমবার সুপ্রিম কোর্ট সময় বেঁধে দিয়ে কাজে ফেরার কথা জানিয়ে দিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy