শুধু বকেয়া টাকাই নয়, চিকিৎসা প্যাকেজের দর বাড়ানোরও আবেদন করা হয়েছে। ওই চিঠিতে হাসপাতালগুলি জানিয়েছে, করোনাকালে চিকিৎসার জন্য একটি দর বেঁধে দিয়েছিল রাজ্য। এখন সেই হিসাবেও পরিবর্তন আনা জরুরি।
রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিবকে চিঠি ২০টি বেসরকারি হাসপাতালের। নিজস্ব চিত্র।
প্রায় ২০০ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে। বকেয়া ওই টাকা না মেটালে রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে পরিষেবা দেওয়া সম্ভব নয়। রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিবকে চিঠি দিয়ে এ কথা জানিয়ে দিল ২০টি বেসরকারি হাসপাতাল। তাদের দাবি, এত দিন নিজেদের গাঁটের কড়ি খরচ করে রাজ্যের ওই প্রকল্প চালানো হয়েছে। আর সম্ভব নয়। এ বার ২০০ কোটি টাকার ওই বকেয়া না মেটালে স্বাস্থ্যসাথী পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হবে।
এর আগেও স্বাস্থ্যসাথী পরিষেবা বন্ধের কথা বলেছিল অনেক হাসপাতাল। পরে রাজ্যের হস্তক্ষেপে তা আর হয়নি। তখন রাজ্য জানিয়েছিল, রোগীকে ছেড়ে দেওয়ার ২০ দিনের মাথায় টাকা মেটানো হবে হাসপাতালগুলিকে। অভিযোগ, এখন সে নিয়ম মানা হচ্ছে না। সে কারণেই ফের সরব হয়েছে ওই বেসরকারি হাসপাতালগুলি। জানা গিয়েছে, দিন কয়েক আগে রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিবকে চিঠি দিয়েছিলেন ২০টি বেসরকারি হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ। চিঠিতে তাঁরা জানিয়েছেন, পূর্ব প্রতিশ্রুতি মতো বকেয়া টাকা মেটানো হচ্ছে না। অনেক ক্ষেত্রে তা মাসের পর মাস পেরিয়ে যাচ্ছে। এই সমস্যার সমাধান না হলে বেশি দিন পরিষেবা চালানো যাবে না।
তবে শুধু বকেয়া টাকাই নয়, চিকিৎসা প্যাকেজের দর বাড়ানোরও আবেদন করা হয়েছে। ওই চিঠিতে হাসপাতালগুলি জানিয়েছে, করোনাকালে চিকিৎসার জন্য একটি দর বেঁধে দিয়েছিল রাজ্য। এখন সেই হিসাবেও পরিবর্তন আনা জরুরি। কারণ, সাধারণ প্যাকেজের তুলনায় এই প্রকল্পে ব্যয় অনেক কম ধরা হয়েছে। ফলে লোকসানের সম্মুখীন হচ্ছে হাসপতালগুলি।
রাজ্য যদিও এই চিঠি পাওয়ার পরে কী পদক্ষেপ করেছে, বা আদৌ করেছে কি না, তা জানা যায়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy