—প্রতীকী ছবি।
আগামী মাসের গোড়াতেই বাতিল হওয়ার কথা ‘আইপিসি’ (ভারতীয় দণ্ডবিধি), ‘সিআরপিসি’ (ফৌজদারি দণ্ডবিধি) এবং ‘ইন্ডিয়ান এভিডেন্স অ্যাক্ট’-এর (ভারতীয় সাক্ষ্য আইন)-এর। তার বদলে কার্যকর হবে ‘ভারতীয় ন্যায় সংহিতা’, ‘ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা’ এবং ‘ভারতীয় সাক্ষ্য অধিনিয়ম’ আইন। পুলিশকর্তারা বলছেন, নতুন আইনে প্রযুক্তির ব্যবহার বেড়েছে। তাতেই বিষয়টি জটিল হয়েছে। তাই সমস্যা এড়াতে শেষবেলায় তড়িঘড়ি প্রশিক্ষণ শুরু করেছে রাজ্য পুলিশ। মূল প্রশিক্ষণের দায়িত্বে থাকছে সিআইডি।
পুলিশের খবর, ইতিমধ্যে সিআইডি প্রতি জেলার দু’জন করে পুলিশ অফিসারকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে। তাঁদের বলা হয়েছে, ‘মাস্টার ট্রেনার’। তাঁরাই নিজের জেলার সহকর্মীদের প্রশিক্ষণ দেবেন। এ ছাড়াও, সিআইডির প্রতি জেলা শাখার একজনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। তাঁরা নিজের শাখায় ফিরে সহকর্মীদের হাতেকলমে প্রশিক্ষণ দেবেন। প্রসঙ্গত, লোকসভা ভোট এ বার দীর্ঘদিন ধরে চলেছে। পুলিশকর্তাদের একাংশের দাবি, ভোটের চাপ এবং বেশির ভাগ পুলিশকর্মীরা সেই কাজে ব্যস্ত থাকায় প্রশিক্ষণ ব্যাহত হয়েছে। তাই ভোট মিটতেই তড়িঘড়ি প্রশিক্ষণ পর্ব শুরু হয়েছে।
পুলিশের শীর্ষকর্তাদের একাংশ বলেছেন, নতুন সাক্ষ্য আইন মেনে অপরাধের প্রমাণ জোগাড়ে ভিডিয়ো রেকর্ডিং বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। সেই ভিডিয়ো প্রমাণ বাজেয়াপ্ত করার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নিম্ন আদালতে জমাও দিতে বলা হয়েছে। এই কাজটি সুষ্ঠু ভাবে করতে হবে সেই বিষয়টি পুলিশকর্মীদের নিখুঁত ভাবে বোঝানো হচ্ছে। আবার নতুন আইনে এ-ও বলা হয়েছে যে কেউ অনলাইনে অভিযোগ করলেও তার উপরে ভিত্তি করে মামলা দায়ের করতে হবে। কী ভাবে এই কাজ করতে হবে, তাও শেখানো হচ্ছে। পুলিশ সূত্রের দাবি, দ্রুত প্রশিক্ষণ শেষ করতেই গোটা পর্বকে বিকেন্দ্রীভূত করা হয়েছে। তাতে অনেক কর্মীই প্রশিক্ষিত হয়ে গিয়েছেন। তবে প্রাথমিক ভাবে কিছু সমস্যা হতেও পারে। কোনও জটিল পরিস্থিতিতে মামলা দায়ের, তদন্ত কিংবা প্রমাণ সংগ্রহের ক্ষেত্রে কোনও ধন্দ থাকলে তা কাটানোর জন্য প্রশিক্ষকদের সঙ্গে যোগাযোগও করতে বলা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy