Advertisement
২৬ নভেম্বর ২০২৪
TMC

হাই কোর্টের পর পঞ্চায়েত ভোট ‘মামলা’ রাজভবনেও গড়াল! বিক্ষিপ্ত অশান্তি, মনোনয়নে এগিয়ে বিজেপি

কমিশন এবং শাসক তৃণমূলেরও পাল্টা বক্তব্য ছিল, কোনও আইনে বলা নেই যে, সর্বদল বৈঠক ডাকতেই হবে। এই নিয়ে বিতর্কের আবহে শুক্রবার থেকে মনোনয়ন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

বাঁ দিক থেকে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিংহ, রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস এবং রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।

বাঁ দিক থেকে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিংহ, রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস এবং রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। গ্রাফিক শৌভিক দেবনাথ।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১০ জুন ২০২৩ ২৩:৪৫
Share: Save:

পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণা হওয়ার পরেই কলকাতা হাই কোর্টে জোড়া মামলা দায়ের করেছে কংগ্রেস এবং বিজেপি। সেই মামলায় মনোনয়ন জমা দেওয়ার স্বল্প সময় এবং পদ্ধতি নিয়ে যেমন প্রশ্ন তোলা হয়েছে, তেমনই জানানো হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানোর আর্জিও। ২০১৮ সালের মতো এ বারের পঞ্চায়েত ভোটেও সন্ত্রাস হতে পারে, এই আশঙ্কা করে শনিবার রাজভবনেরও দ্বারস্থ হয়েছে বিরোধীরা। ভোট যত এগিয়ে আসবে, ‘সন্ত্রাসের মাত্রা’ আরও বাড়বে— শনিবার রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে এমন অভিযোগও করে এসেছেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। ঘটনাচক্রে, সুকান্ত রাজভবন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর পরই রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন নতুন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিংহ। এর পরেই রাজ্যপালের মুখে হুঁশিয়ারি শোনা যায়, পঞ্চায়েত ভোটে কোনও রকমের অশান্তি বরদাস্ত করা হবে না।

আগামী ৮ জুলাই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন। বৃহস্পতিবার কমিশনের এই ঘোষণার পর থেকে বিরোধীরা প্রশ্ন তুলছিলেন, কোনও সর্বদল বৈঠক না করেই কেন নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করা হল? কমিশন এবং শাসক তৃণমূলেরও পাল্টা বক্তব্য ছিল, কোনও আইনে বলা নেই যে, সর্বদল বৈঠক ডাকতেই হবে। এই নিয়ে বিতর্কের আবহে শুক্রবার থেকে মনোনয়ন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। মনোনয়নের দ্বিতীয় দিনে, শনিবার কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ১৩ জুন, মঙ্গলবার সর্বদল বৈঠক ডাকা হয়েছে।

শুক্রবার মনোনয়ন জমা দেওয়ার প্রথম দিনে রাজ্যের বহু জায়গা থেকে অব্যবস্থার অভিযোগ উঠেছিল। সেই সঙ্গে মিলেছিল গন্ডগোলের খবর। সেই ধারাই অব্যাহত থাকল। তবে বিক্ষিপ্ত গোলমাল হয়েছে। প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েকটি জায়গা বাদ দিয়ে সব জায়গাতেই সুষ্ঠু ভাবে মিটেছে দ্বিতীয় দিনের মনোনয়ন প্রক্রিয়া। শনিবার মুর্শিদাবাদের রানিনগর-সহ কয়েকটি জায়গায় অশান্তির অভিযোগ উঠেছে। শাসক-বিরোধী সংঘর্ষে উত্তেজনা ছড়িয়েছে বীরভূমের হাতে গোনা কয়েকটি জায়গায়। কোনও কোনও জায়গা থেকে শাসক তৃণমূলের ভিতরে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগও উঠেছে। সেই সব অশান্তির ঘটনায় পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধী দলগুলি। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগ, উচ্চ আদালতের নির্দেশকে কার্যত উপেক্ষা করে পুলিশের সঙ্গে সিভিক ভলান্টিয়ারকে ব্যবহার করা হয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় অশান্তি থামাতে। সেই সব সিভিক ভলান্টিয়ারদের লাঠিচার্জ করতে দেখা গিয়েছে বলেও অভিযোগ করেছেন বিরোধী দলনেতা। পাল্টা জবাব দিয়েছে শাসকদলও। দলের কর্মী-সমর্থকদের কোনও রকম প্ররোচনায় পা না-দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, ‘‘মনোনয়ন ঘিরে কোনও রকম অশান্তিতেও জড়াবেন না।’’ এ ব্যাপারে প্রশাসনকেও সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। শনিবার ‘নবজোয়ার যাত্রা’ কর্মসূচি থেকেও অভিষেকের বার্তা, ‘‘কেউ মনোনয়ন জমা দিতে না পারলে আমাদের জানান।’’

অন্য দিকে, শাসকদলের বিরুদ্ধে মনোনয়নপত্র জমা দিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ বিরোধীরা তুললেও গত দু’দিনে সবচেয়ে বেশি মনোনয়ন জমা দিয়েছে বিজেপিই। সেই তালিকায় সিপিএম এবং কংগ্রেসের পরে রয়েছে তৃণমূল। যদিও শাসকদলের বক্তব্য, তারা গোটা প্রক্রিয়াটি শুরু করবে সোমবার থেকে। এখন তারই প্রস্তুতি চলছে।

রাজভবনে সুকান্ত

পঞ্চায়েত ভোট-পর্বে অশান্তির অভিযোগ তুলে শনিবার দুপুরে রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে দেখা করে সুকান্তের নেতৃত্বে বিজেপির এক প্রতিনিধি দল। সাক্ষাতের পর বাইরে বেরিয়ে তৃণমূল এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে সুকান্ত বলেন, ‘‘কোনও প্রস্তুতি ছাড়াই ভোট ঘোষণা করা হয়েছে। নির্বাচনের জন্য যে আলাপ আলোচনার প্রয়োজন ছিল তা করা হয়নি। রাজীববাবুর আগে যিনি কমিশনার ছিলেন, তিনি কোনও আলোচনা করেছিলেন কি না জানা নেই। তাঁর আমলের ফাইলগুলিও রাজীববাবু দেখেছেন কি না সন্দেহ!’’ সুকান্ত দাবি করেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য প্রশাসন প্রস্তুত ছিল না। এমনকি, বিডিও অফিসগুলিতে মনোনয়ন জমা দেওয়ার প্রয়োজনীয় কাগজপত্রও পাওয়া যাচ্ছে না বলে তাঁর অভিযোগ। সুকান্তের কথায়, ‘‘বিডিও অফিসগুলিও প্রস্তুত ছিল না। যে কাগজপত্র বিডিও অফিস থেকে পাওয়ার কথা, সে সব কাগজ আমাদের লোকেরা জোগাড় করে তার পর মনোনয়ন জমা দিয়েছে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘কয়েকটি বিষয়ে আলাদা করে রাজ্যপালের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি। শুক্রবার রাতে এক জন কংগ্রেস কর্মী খুন হয়েছেন মুর্শিদাবাদে। কে কোন দল করেন, এখানে সেটা বিচার্য নয়। আমাদের এক জন সহ-নাগরিক প্রাণ হারিয়েছেন। বিডিও অফিসে মনোনয়ন হচ্ছে, অথচ কোথাও পুলিশ নেই। এখনই যদি এই অবস্থা হয়, তা হলে কয়েক হাজার বুথে নিরাপত্তা দেওয়া রাজ্য পুলিশের পক্ষে সম্ভব নয়।’’ রাজ্যপালের কাছে সুকান্ত দাবি করে এসেছেন, ভোট প্রক্রিয়া থেকে সিভিক পুলিশ থেকে শুরু করে অস্থায়ী কর্মচারীদের বিরত রাখতে হবে। একই সঙ্গে ভোটের দিন সব বুথে এবং গণনার দিন গণনাকেন্দ্রে সিসিটিভি রাখতে হবে। সুকান্ত জানান, সব অভিযোগ শুনে রাজ্যপাল তাঁকে আশ্বাস দিয়েছেন। রাজ্য বিজেপির সভাপতির দাবি, রাজ্যপাল তাঁকে জানিয়েছেন, সবটা নিয়ে তিনি নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে কথা বলবেন। প্রয়োজনে রাজ্যপাল কথা বলবেন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গেও, এমনটাই দাবি সুকান্তের।

রাজভবনে রাজীব

সুকান্ত রাজভবন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর পরই রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন রাজীব। তবে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে তাঁর কী বিষয়ে কথা হয়েছে তা জানা যায়নি। রাজ্য নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, দায়িত্ব পাওয়ার পর রাজ্যপালের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ সারতেই গিয়েছিলেন নতুন কমিশনার।

হুঁশিয়ারি রাজ্যপালের

পঞ্চায়েত ভোটে কোনও রকমের অশান্তি বরদাস্ত করা হবে না। শনিবার সুকান্ত এবং নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে সাক্ষাতের পর এমনই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন রাজ্যপাল বোস। শনিবার দুপুরে শহরের একটি বিলাসবহুল হোটেলের এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন রাজ্যপাল। সেখান থেকে বেরোনোর সময় তিনি বলেন, ‘‘পঞ্চায়েত নির্বাচনে কোনও রকম গন্ডগোল বরদাস্ত করা হবে না। নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোটের কথা জানিয়েছি তাঁকে। কোনও অশান্তি বরদাস্ত করা হবে না।’’ রাজ্যপালের এমন হুঁশিয়ারি নিয়ে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, “রাজ্যপাল বিজেপির লোকদের পাঠানো দূত। রাজ্যপাল যে জায়গা থেকে এসেছেন তার উৎস তো বিজেপি। তাই তিনি তাঁদের হয়ে চারটে কথা বলবেন এটা তো খুব স্বাভাবিক ব্যাপার।” তাঁর আরও সংযোজন, “আসল সময়ে তিনি যে তাঁর অ্যাসাইনমেন্ট পালন করবেন সেটাই তো স্বাভাবিক ব্যাপার।”

রণক্ষেত্র ডোমকল

মুর্শিদাবাদের ডোমকলে বাম নেতা-কর্মীদের আটকে রেখে মনোনয়ন জমা দিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। তা-ই নিয়ে ধুন্ধুমারকাণ্ড বিডিও অফিস চত্বরে। সালারে মনোনয়নকে কেন্দ্র করে শাসকদলের গোষ্ঠীকোন্দলের অভিযোগের ঘটনায় তিন জন গ্রেফতার হয়েছেন। তৃণমূল সূত্রে খবর, তাঁরা ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের অনুগামী। মনোনয়ন পর্বের প্রথম দিন, শুক্রবার ভরতপুরের তৃণমূল ব্লক সভাপতির অনুগামীদের উপর হামলার অভিযোগ উঠেছিল। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতদের নাম আব্দুল আজিজ মির্জা ওরফে ভুটার, ফিরোজ শেখ ওরফে তপন এবং রোহন শেখ। সারাংয়েও মনোনয়ন জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে ব্লক অফিস চত্বরে ইটবৃষ্টি হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এক বিক্ষোভকারীকে ডোমকল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল চত্বরে আটক করে পুলিশ। তল্লাশি চালাতেই তাঁর কাছ থেকে উদ্ধার হয় একটি পিস্তল। আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে মনোনয়ন জমা দিতে আসা ওই ব্যক্তির নাম বশির মোল্লা বলে পুলিশ সূত্রে খবর। জানা গিয়েছে, তিনি সারাং পুর এলাকার তৃণমূল সভাপতি। বামেদের অভিযোগ, তাদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া আটকাতেই আগ্নেয়াস্ত্র সমেত তৃণমূল নেতারা সরকারি অফিসে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। যদিও তৃণমূলের যুক্তি, দল কাউকে বেআইনি কিছু করতে বলেনি। কেউ এমন কাজ করলে আইন আইনের পথে চলবে।

শাসক-বিরোধী সংঘর্ষ লাভপুরে

বীরভূমের লাভপুরে বিজেপি কর্মীদের উপর তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ, বিজেপি কর্মীরা মনোনয়ন জমা দিতে গেলে তাঁদের বেধড়ক মারধর করা হয়। গন্ডগোলে এক কর্মীর হাত ভেঙে গিয়েছে। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসক তৃণমূল।

বাঁকুড়াতেও অশান্তি

বিষ্ণুপুরে বিজেপি প্রার্থীরা বিডিও অফিসে মনোনয়ন জমা দিতে গেলে তাঁদের মারধর করে তাড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। অন্য দিকে, পাত্রসায়রেও বিজেপিকে মনোনয়নে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তুলে প্রতিবাদে শনিবার দুপুরে স্থানীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে কাঁকরডাঙা মোড়ে রাস্তায় বসে পড়ে অবস্থান বিক্ষোভ করেন বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। মনোনয়নে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তৃণমূল অবশ্য মানতে চায়নি।

সরকারি কর্মীকে মার

আইএসএফ-কে কেন পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়নের ফর্ম তুলতে দেওয়া হল, এই প্রশ্ন তুলে ব্লক অফিসের সরকারি কর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠল শাসক তৃণমূলের বিরুদ্ধে। মনোনয়ন প্রক্রিয়ার দ্বিতীয় দিন শনিবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়-২ ব্লকে ঘটনাটি ঘটেছে। তৃণমূলের বক্তব্য, এই ঘটনা ঘটে থাকলে কড়া পদক্ষেপ করা হবে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে বলে জানিয়েছেন বিডিও কার্তিক পাল।

পঞ্চায়েতে সিভিক-বিতর্ক

আদালতের নির্দেশকে কার্যত উপেক্ষা করেই মুর্শিদাবাদের ডোমকল, রানিনগর থেকে পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামে মনোনয়নের অশান্তি থামাতে পুলিশের সঙ্গে দেখা গেল সিভিক ভলান্টিয়ারদের। শুধু তা-ই নয়, লাঠি হাতে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করতেও দেখা যায় তাদের। কখনও, জমায়েত হঠাতে লাঠি উঁচিয়ে তাড়া করছেন তাঁরা। টুইট করে এই অভিযোগ করেছেন শুভেন্দু। সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘‘আজকেও দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন ব্লকে নমিনেশনের জায়গাতে, পুলিশ নেই, আছে সিভিক পুলিশ। কেন, কী করে আছে? নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব নেবে না কেন? কোর্টের আদেশ-নির্দেশ তারা অমান্য করছে কেন? সিভিক পুলিশের নাম করে তৃণমূলের বাহিনী, তাকে নির্বাচনের কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে!’’ পাল্টা কুণাল বলেন, ‘‘সিভিকরা জল দিচ্ছিলেন। সিপিএম অশান্তি করায় ওরা নিজেদের বাঁচাতে লাঠি ও ঢাল হাতে নেয়।’’

গ্রাফিক শৌভিক দেবনাথ।

কত মনোনয়ন জমা পড়ল

জেলা পরিষদ, পঞ্চায়েত সমিতি, গ্রাম পঞ্চায়েতে শুক্র এবং শনিবার মিলিয়ে যত মনোনয়ন জমা পড়েছে, তার নিরিখে এগিয়ে বিজেপি। দ্বিতীয় স্থানে সিপিএম। তৃতীয় কংগ্রেস এবং চতুর্থ তৃণমূল। এখনও পর্যন্ত পঞ্চায়েতে বিজেপির ৪৯০৩টি মনোনয়ন জমা পড়েছে। সিপিএমের পড়েছে ৪২৪৯টি। কংগ্রেসের ৭১৭টি এবং তৃণমূলের ৬৩৩টি।

অন্য বিষয়গুলি:

TMC Congress BJP Suvendu Adhikari Rajiv Sinha
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy