ইঞ্জিনিয়ারিং প্রথম বর্ষে অভিন্ন পাঠ্যক্রম নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। সোমবারের বৈঠকে সেই বিতর্ক মেটানো গিয়েছে বলে জানান দায়িত্বপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এবং ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ডিন চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য। ডিন এই দাবি করলেও সত্যিই অভিন্ন পাঠের ব্যবস্থা হল কি না, তা নিয়ে শিক্ষা শিবিরে ফের প্রশ্ন ও বিতর্ক শুরু হয়েছে।
চিরঞ্জীববাবু জানান, ফার্মাসি ও আর্কিটেকচার ছাড়া ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের অন্য ১৪টি বিষয়েই প্রথম বর্ষে অভিন্ন পাঠ্যক্রম শুরু করার সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত হয়েছে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ফ্যাকাল্টি কাউন্সিলের বৈঠকে। ন্যাশনাল বোর্ড অব অ্যাক্রেডিটেশন বা এনবিএ-র আওতায় ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজগুলির মূল্যায়নে গুরুত্ব দিচ্ছে অল ইন্ডিয়া কাউন্সিল অব টেকনিক্যাল এডুকেশন (এআইসিটিই)। তাদের নির্দেশ অনুযায়ী ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের প্রথম বর্ষে একই রকম পাঠ্যসূচি চালু করতে হবে। চলতি শিক্ষাবর্ষে সম-পাঠ্যসূচি চালু করতে চাইছে যাদবপুর। কিন্তু এর প্রয়োজন নিয়েই বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্দরে বিতর্ক শুরু হয়েছিল।
ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়াদের প্রথম বর্ষে ইঞ্জিনিয়ারিং, হিউম্যানিটিজ অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্স ও বেসিক সায়েন্সের বিভিন্ন পাঠ নিতে হয়। চিরঞ্জীববাবু জানান, হিউম্যানিটিজ অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্স ও বেসিক সায়েন্সে সকলের পাঠ্যসূচি একই হবে। তবে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ছ’টি কোর্সের মডিউল দু’রকমের হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। এই দুইয়ের মধ্যে একটি হবে তুলনায় সহজ। যে-বিভাগের পড়ুয়াদের সহজ পাঠ্যক্রম পড়লেই হবে, তাঁরা সেটাই পড়বেন। প্রশ্ন উঠছে, ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ছ’টি কোর্সের মডিউল যদি দু’টি হয় এবং একটি হয় অন্যটির থেকে সহজ, সেটাকে সম-পাঠ বলা যায় কি?
যাদবপুরের এনবিএ-র শংসাপত্র না-থাকায় প্রবাসী প্রাক্তন ছাত্রেরাও অসুবিধায় পড়ছেন। এই মূল্যায়ন না-করালে কেন্দ্রের বিভিন্ন অনুদানও বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা। নতুন পাঠ্যক্রম চালু, পাঠ্যক্রমের নাম বদল ইত্যাদি কাজেও ভবিষ্যতে অসুবিধার সম্মুখীন হতে হবে। তাই যাদবপুর-কর্তৃপক্ষ ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে অভিন্ন পাঠ্যক্রম এই শিক্ষাবর্ষেই চালু করে দিতে চান। যাতে ২০১৯ সালে এনবিএ-র মূল্যায়নের জন্য আবেদন করা যায়।
স্নাতক স্তরে বিজ্ঞানে ভর্তির ক্ষেত্রে সব বোর্ডকে সম-গুরুত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে এ দিন সহ-উপাচার্যকে নিজেদের বক্তব্য জানিয়েছে শিক্ষক সংগঠন জুটা। ওই সংগঠনের দাবি, বোর্ড অব স্টাডিজে আলোচনা না-করে এই সিদ্ধান্ত রূপায়ণ করা যাবে না। পদার্থবিদ্যা, ভূতত্ত্ব, রসায়ন বিভাগেও এই নিয়ে বিরোধিতা শুরু হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy