Advertisement
১৯ নভেম্বর ২০২৪
Peerless Hospital

ছাত্রী-মৃত্যু, কলেজ বন্ধে ক্ষুব্ধ পড়ুয়ারা

শুক্রবারই ওই ঘটনার পর হাসপাতালের পক্ষ থেকে মৌখিক ভাবে কলেজ বন্ধ রাখার কথা জানানো হয়েছিল। শনিবার, কলেজে নোটিস দিয়ে কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দিয়েছেন, আগামী ১৯ মে পর্যন্ত নার্সিং কলেজের সমস্ত পঠনপাঠন বন্ধ থাকবে।

নীরব প্রতিবাদ: মৌনী মিছিলে শামিল পিয়ারলেস হাসপাতালের নার্সিং ছাত্রীরা। ছবি: দেশকল্যাণ চৌধুরী

নীরব প্রতিবাদ: মৌনী মিছিলে শামিল পিয়ারলেস হাসপাতালের নার্সিং ছাত্রীরা। ছবি: দেশকল্যাণ চৌধুরী

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ মে ২০১৮ ০৩:১৫
Share: Save:

ছাত্রীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর জেরে আপাতত নার্সিং কলেজ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিলেন পিয়ারলেস হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

শুক্রবারই ওই ঘটনার পর হাসপাতালের পক্ষ থেকে মৌখিক ভাবে কলেজ বন্ধ রাখার কথা জানানো হয়েছিল। শনিবার, কলেজে নোটিস দিয়ে কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দিয়েছেন, আগামী ১৯ মে পর্যন্ত নার্সিং কলেজের সমস্ত পঠনপাঠন বন্ধ থাকবে। কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, ‘‘নিরাপত্তার অভাব বুঝেই এই সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।’’ যদিও পড়ুয়াদের অভিযোগ, কলেজ বন্ধ রেখে দোষ ঢাকার চেষ্টা করছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

বৃহস্পতিবার রাতে পিয়ারলেস নার্সিং কলেজের হস্টেল থেকে রিঙ্কি ঘোষ (২১) নামে এক ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। কলেজ কর্তৃপক্ষের মানসিক চাপেই রিঙ্কি আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ তাঁর সহপাঠীদের। শনিবার সকালেও মৌনী মিছিল করেন পড়ুয়ারা। নিউ গড়িয়া পর্যন্ত মিছিল করে ফেরার পথে হাসপাতালের গেটের সামনে রিঙ্কির ছবিতে মালা দেন পড়ুয়ারা। এই প্রতিবাদ কর্মসূচিতে পিয়ারলেসের নিকটবর্তী একটি বেসরকারি হাসপাতালের নার্সিং পড়ুয়ারা যুক্ত হতে চাইলে সেখানকার কর্তৃপক্ষ বাধা দেন বলে অভিযোগ। এ দিন পড়ুয়ারা জানান, শুক্রবার রাতে বৈঠকের পরে কলেজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, দু’সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত করে রিপোর্ট দেওয়া হবে। তবে সেই রিপোর্ট যে দেওয়া হবে, তা লিখিত চান পড়ুয়ারা। এক ছাত্রীর দাবি, ‘‘আমাদের কোনও দাবিই মানা হয়নি। এ রকম মৌখিক কথায় চলবে না।’’ কলেজের পঠনপাঠন বন্ধ রাখা প্রসঙ্গে এক ছাত্রী বলেন, ‘‘এক দিন ক্লাসে না গেলে আমাদের হাসপাতালে কাজ করে দিতে হত। এত দিন যে কলেজ বন্ধ রাখা হচ্ছে, তাতে ক্ষতি হবে না!’’ সেই সঙ্গে তাঁর অভিযোগ, ‘‘এত টাকা দিয়ে বাবা-মা ভর্তি করিয়েছেন। সে সব ছেড়ে বাড়ি পাঠানো হচ্ছে নিজেদের দোষ ঢাকতে।’’ কলেজের প্রাক্তনীরাও কলেজ কর্তৃপক্ষের উপরে ক্ষুব্ধ। পর্ণশ্রী দাস নামে এক প্রাক্তনী বলেন, ‘‘এত চাপ দেওয়া হয় যে অনেক সময়েই তা ভেঙে প়ড়ার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।’’

হাসপাতালের চিফ এগজ়িকিউটিভ সুদীপ্ত মিত্র বললেন, ‘‘আমাদের পড়ুয়ারা সবটা করছেন না। বাইরের লোকজনও ঢুকে পড়েছে। নিরাপত্তার অভাব বোধ করছি। তাই আপাতত কলেজ বন্ধ রাখছি।’’ নার্সিং কলেজের দুই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে পঞ্চসায়র থানায় অভিযোগ করেছেন মৃত ছাত্রীর বাবা আনন্দ ঘোষ। তিনি এ দিন বলেন, ‘‘আমাদের সামনে একবার অপমান করা হয়েছে। ফের ডেকে নিয়ে গিয়ে বলা হয়েছে রিঙ্কিকে। সেটাই ও নিতে পারেনি।’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy