দিলীপ ঘোষ
কোনও জনপ্রতিনিধি নির্বাচন কমিশনের কাছে মিথ্যা হলফনামা জমা দিতে পারেন কি না, সেই প্রশ্ন তুললেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি জ্যোতির্ময় ভট্টাচার্য। রাজ্য বিজেপি-র সভাপতি দিলীপ ঘোষের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে দায়ের হওয়া জনস্বার্থ মামলার শুনানিতে শুক্রবার ওই প্রশ্ন তোলেন তিনি। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ দিলীপবাবুকে নির্দেশ দিয়েছে, জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতার শংসাপত্র হলফনামা-সহ আদালতে জমা দিতে হবে। জুন মাসের প্রথম সপ্তাহের প্রথম শুক্রবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
জনস্বার্থে ওই মামলা দায়ের করেছেন জনৈক অশোক সরকার। তাঁর আইনজীবী আরিফ আলি আদালতে এ দিন অভিযোগ করেন, খড়্গপুরের বিজেপি বিধায়ক দিলীপবাবু ২০১৬ সালে বিধানসভা ভোটের আগে নির্বাচন কমিশনের কাছে নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে হলফনামা দেন। তাতে তিনি জানান, ঝাড়গ্রাম পলিটেকনিক কলেজ থেকে তিনি পাশ করেছেন। তথ্য জানার অধিকার আইনের সাহায্য নিয়ে তাঁর মক্কেল জানতে পারেন, ওই নামে কোনও কলেজের অস্তিত্ব নেই। ছিলও না। জনস্বার্থ মামলা হওয়ার পরে দিলীপবাবু আদালতকে জানিয়েছেন, তিনি ঈশ্বরচন্দ্র পলিটেকনিক থেকে পাশ করেছেন। তথ্য জানার আইনে সেই কলেজ থেকে জানা যায়, ১৯৭৫ সাল থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত
দিলীপ ঘোষ নামে মেদিনীপুর জেলার কোনও বাসিন্দা সেখান থেকে পাশ করেননি।
তা শুনে দিলীপবাবুর আইনজীবী অনিন্দ্য মিত্র ও পার্থ ঘোষ আদালতে জানান, এই মামলা আদালতের গ্রহণ করা উচিত নয়। কারণ, নিবার্চন কমিশনের কাছে কেউ হলফনামা দিয়ে জানালে তা খতিয়ে দেখার কথা কমিশনের। হাইকোর্ট তা বিচার করতে পারে না। এর পরেই প্রধান বিচারপতি অনিন্দ্যবাবুর উদ্দেশে বলেন, ‘‘কোনও জনপ্রতিনিধি নির্বাচন কমিশনের কাছে মিথ্যা হলফনামা জমা দিতে পারেন কি?’’ প্রধান বিচারপতির আরও প্রশ্ন, ‘‘একজন জনপ্রতিনিধি জনগণকে কি বিভ্রান্ত করতে পারেন?’’ তবে, প্রধান বিচারপতি এও জানান, নথি অনুযায়ী ১৯৯০ সালে দিলীপবাবুর বয়স ২৬ বছর। এমনও হতে পারে, তিনি তার পরে ওই কলেজ থেকে পাশ করেছেন। ডিভিশন বেঞ্চের অন্য বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ও জানান, শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে দিলীপবাবুর হলফনামা দেওয়া প্রয়োজন। তাতে বিভ্রান্তি কমবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy