টহল: পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় বাহিনী। আসানসোলে। —নিজস্ব চিত্র।
রানিগঞ্জের পরে, এ বার আসানসোলে আক্রান্ত পুলিশ।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা নাগাদ শোভাযাত্রায় ‘ডিজে’ বাজানোকে কেন্দ্র করে গোলমাল বাধে আসানসোল রেলপাড়ের চাঁদমারি-ধাদকা রোডে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে ওই ঘটনার জেরে বুধবার বেলা পৌনে ১২টা নাগাদ শুরু হয় গোলমাল। তিন পুলিশকর্মী ইটের ঘায়ে জখম হন।
আসানসোল-দুর্গাপুরের পুলিশ কমিশনার লক্ষ্মীনারায়ণ মিনা রাতে বলেন, ‘‘পরিস্থিতি আপাতত নিয়ন্ত্রণে। এখনও পর্যন্ত ৩০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’’ প্রশাসন সূত্রের খবর, এ দিন রাত ৮টা থেকে ৩০ মার্চ (শুক্রবার) দুপুর ১২টা পর্যন্ত আসানসোল মহকুমায় সব ধরনের ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হচ্ছে।
পুলিশ সূত্রের খবর, মঙ্গলবারের ঘটনায় জড়িতদের খোঁজে এ দিন জনা তিরিশ পুলিশকর্মী রেলপাড়ের শ্রীনগর এলাকায় গেলে পুলিশকে লক্ষ করে ইট-পাটকেল ছোড়া হয়। স্থানীয়দের একাংশের দাবি, রেলপাড়ের কিছু এলাকায় শোনা যায় গুলি, বোমার শব্দ। পুলিশ তা মানেনি। তবে জনতা তেড়ে যাওয়ায় পুলিশকর্মীরা আটকে পড়েন ধাদকা রোডের একাংশে। দুপুর দেড়টা নাগাদ পুলিশবাহিনী, কমব্যাট ফোর্স, র্যাফ ওই পুলিশকর্মীদের সরিয়ে আনে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, ওই অভিযান চলাকালীন পুলিশের গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হয় বছর পঁয়তাল্লিশের এক মহিলার। তবে পুলিশ কমিশনারের দাবি, ‘‘এমন ঘটনা ঘটেনি।’’ অভিযান চলাকালীন হেনস্থার অভিযোগে বিকেল সাড়ে তিনটে নাগাদ আসানসোল উত্তর থানায় বিক্ষোভ দেখান রেলপাড়ের শতাধিক বাসিন্দা। হেনস্থার অভিযোগও অস্বীকার করেছে পুলিশ। রানিগঞ্জের শিশুবাগান ও তারবাংলা, বারাবনির পাঁচগেছিয়া, সেন-র্যালে কলোনির সিডি ব্লকে এদিনও উত্তেজনা ছড়ায়।
সিপিএমের পশ্চিম বর্ধমান জেলা সম্পাদক গৌরাঙ্গ চট্টোপাধ্যায়ের কথায়, ‘‘রাজ্য, কেন্দ্রে শাসক দলের ভ্রান্ত নীতিতেই এই অবস্থা।’’ বিজেপির জেলা সভাপতি লক্ষ্মণ ঘোড়ুই বলেন, ‘‘পুলিশ ব্যবস্থা নেয়নি।’’ তবে আসানসোলের মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারির দাবি, ‘‘পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে যা করার,করছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy