ফাইল চিত্র।
শুধু জল শোধনেই বিপদ কাটবে না আর্সেনিকের। পরিশোধন কেন্দ্রের বর্জ্যকেও নষ্ট করতে হবে বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে। বুধবার কলকাতায় আর্সেনিক সংক্রান্ত এক অনুষ্ঠানে এমনটাই জানালেন কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রকের প্রাক্তন সচিব তিরুমালাচারি রামস্বামী। তিনি জানান, ওই সব বর্জ্য থেকেও ফের ছড়িয়ে পড়তে পারে বিষাক্ত রাসায়নিক।
গ্রামাঞ্চলে আর্সেনিক শোধন যন্ত্রের বর্জ্য যথাযথ ভাবে নষ্ট করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ। বিজ্ঞানীদের একাংশের মতে, জলে আর্সেনিকের উপস্থিতি জানার এবং আর্সেনিক-দূষিত জল শোধনের জন্য এখন যে-প্রযুক্তি রয়েছে, তা খুবই ব্যয়সাপেক্ষ। কল্যাণীর ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব সায়েন্টিফিক এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ (আইআইএসইআর)-এর দাবি, তাদের প্রতিষ্ঠানের রসায়ন বিভাগের শিক্ষক রাজা ষণ্মুগম একটি নতুন প্রযুক্তি আবিষ্কার করেছেন, যার সাহায্যে একাধারে জলে আর্সেনিকের বিপজ্জনক উপস্থিতি টের পাওয়া যাবে এবং আর্সেনিক দূর করা যাবে। পলিমার প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে একটি ‘সেন্সর’ তৈরি করা হয়েছে। সেটি জলে ডোবালেই আর্সেনিক রয়েছে কি না, তা জানিয়ে দেবে। রয়েছে একটি ফিল্টারও। সেটি আর্সেনিক পরিশোধন করতে পারবে। আইআইএসইআরের সঙ্গে যৌথ ভাবে ওই প্রযুক্তি বাজারে নিয়ে এসেছে একটি বেসরকারি সংস্থা। সেই সংস্থার এমডি সঞ্জীব পারিয়াল জানান, তুলনায় সস্তা এই ফিল্টার গৃহস্থ বাড়িতে জলের ফিল্টার, অগভীর পাম্পেও ব্যবহার করা যাবে।
প্রশ্ন উঠেছে, গৃহস্থ বা়ড়িতে ওই ফিল্টার ব্যবহার করলে বর্জ্যের বিপদ তো থেকেই যাচ্ছে। তার কী হবে?
সঞ্জীববাবু জানান, তাঁরা প্রাথমিক ভাবে রাজ্যের জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের সঙ্গে যৌথ ভাবে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করবেন। পরে ব্লক স্তরে তা বিক্রির পরিকল্পনা রয়েছে।
রামস্বামী অবশ্য মনে করেন, গৃহস্থ বাড়িতে এই ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহারের বদলে স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে ওই প্রযুক্তিতে জল শোধন করে সরবরাহ করা উচিত। সে-ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সংস্থা শোধন প্রক্রিয়ায় জমে ওঠা আর্সেনিক-সহ ফিল্টার সংগ্রহ করে আর্সেনিক নষ্ট করতে পারবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy