ছবি: সংগৃহীত।
আবেদনের মাপকাঠিতে পরিবর্তন ঘটিয়ে সপ্তাহখানেকের ব্যবধানে ফের শুরু হতে চলেছে ‘প্রচেষ্টা’ প্রকল্পের কাজ। তবে এ বার আর সশরীরে হাজির হয়ে ফর্ম বা আবেদনপত্র জমা দিতে হবে না। আজ, সোমবার থেকে ‘প্রচেষ্টা’ অ্যাপের মাধ্যমে ফর্ম জমা দিতে পারবেন আবেদনকারীরা। গুগ্ল প্লে স্টোর থেকে ওই অ্যাপ ডাউনলোড করা যাবে।
যাঁরা সামাজিক সুরক্ষা যোজনার সুযোগ-সুবিধা বা সামাজিক পেনশন পান না, সেই অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকদের জন্য প্রচেষ্টা প্রকল্পের পরিকল্পনা করেছে রাজ্য সরকার। এই প্রকল্পের মাধ্যমে মাথাপিছু এককালীন এক হাজার টাকা পাবেন ওই সব শ্রমিক। ২৭ এপ্রিল প্রচেষ্টার ফর্ম নেওয়া এবং জমা দেওয়ার জন্য জেলাশাসক, মহকুমাশাসক এবং বিডিও-র দফতরে ভিড় করেন বহু মানুষ। তা সামলাতে কোথাও কোথাও হস্তক্ষেপ করতে হয় পুলিশকেও। পরিস্থিতি এমনই দাঁড়ায় যে, শেষ পর্যন্ত জেলাশাসকদের কাছে নির্দেশ যায়, প্ৰচেষ্টা আপাতত স্থগিত রাখা হচ্ছে। বাতিল করা হচ্ছে জমা পড়া আবেদনপত্র। সে-দিনই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘‘প্রচেষ্টা বন্ধ হচ্ছে না। একটু সমস্যা চলছে। তা ঠিক করার কাজ চলছে।’’
শনিবার জেলাশাসকদের কাছে পাঠানো শ্রম দফতরের নতুন নির্দেশিকায় প্রচেষ্টার সুবিধা পাওয়ার জন্য আবেদনের ক্ষেত্রে একাধিক শর্তের কথা বলা হয়েছে। প্রথমত, আবেদনকারীকে পরিবারের একমাত্র রোজগেরে হতে হবে। তিনি স্বনির্ভর হলেও রাজ্য বা বেসরকারি কোনও সংস্থার কর্মী হতে পারবেন না। একটি পরিবার থেকে (স্বামী, স্ত্রী এবং অবিবাহিত ছেলে বা মেয়ে) এক জনই আবেদন করার সুযোগ পাবেন। দ্বিতীয়ত, রাজ্য সরকারের কোনও সামাজিক পেনশন প্রাপক বা কোনও সামাজিক সুরক্ষা যোজনার উপভোক্তা এই প্রকল্পে আবেদন করতে পারবেন না। তৃতীয়ত, একশো দিন কাজের প্রকল্প, কৃষিকাজের সঙ্গে যুক্ত শ্রমিকও আবেদনের জন্য বিবেচিত হবেন না। কৃষি বা তার সহযোগী কাজে যুক্ত থাকলে প্রচেষ্টার সুবিধা মিলবে না।
অ্যাপের মাধ্যমে ফর্ম পূরণের সুযোগ থাকায় অনেক বেশি আবেদন জমা পড়বে বলে মনে করছে প্রশাসনিক শিবির। সেই সব আবেদন যাচাইয়ের জন্য একটি কমিটি তৈরি করবেন জেলাশাসক। কলকাতা পুর এলাকার ক্ষেত্রে কমিটি গড়বেন পুর কমিশনার। মহকুমা এবং ব্লক স্তরেও একই ভাবে কমিটি গড়া হবে। তাতে শ্রম, পঞ্চায়েত-সহ সংশ্লিষ্ট দফতরকে যুক্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নতুন নির্দেশিকা অনুসারে ইতিমধ্যে বিভিন্ন জেলায় প্রয়োজনীয় পরিকল্পনা করা হয়েছে। এই প্রকল্প নিয়ে বিভিন্ন জেলায় রবিবার বৈঠক করেন জেলাশাসক, পদস্থ আধিকারিকেরা। বৈঠকে বলা হয়েছে, নির্দেশিকা অনুযায়ী প্রতিটি আবেদন খুঁটিয়ে দেখতে হবে। কোনও রকম ভুলভ্রান্তি যেন না-হয়। এখনও পর্যন্ত স্থির আছে, ১৫ মে পর্যন্ত এই আবেদন পেশের সুযোগ দেওয়া হবে আবেদনকারীদের।
আরও পড়ুন: মানুষকে ঘরে রাখতে রাস্তায় সংখ্যালঘু মহিলারা
আরও পড়ুন: রিপোর্ট না পেলেও জোর লালারস পরীক্ষাতেই
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy