দেশ জুড়ে করোনা সংক্রমণের যা গতিপ্রকৃতি, তাতে খুব তাড়াতাড়ি ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হওয়ার সম্ভাবনা কম বলেই মনে করছে রেল।
আগামী ১২ অগস্ট পর্যন্ত সমস্ত নিয়মিত মেল, এক্সপ্রেস ট্রেন ছাড়াও বাতিল করা হয়েছিল শহরতলির ট্রেন। দু’দিন বাদেই শেষ হচ্ছে সেই সময়সীমা। তার পরে কী হবে তা আজও স্পষ্ট করেনি রেল। তবে সূত্রের খবর, ১২ অগস্টের পরেও অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ থাকতে চলেছে নিয়মিত ট্রেন চলাচল। দেশ জুড়ে করোনা সংক্রমণের যা গতিপ্রকৃতি, তাতে খুব তাড়াতাড়ি ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হওয়ার সম্ভাবনা কম বলেই মনে করছে রেল।
রেলের একটি ‘নির্দেশিকা’ আজ বিকেলে সংবাদমাধ্যমের হাতে আসে, যাতে পূর্ব রেলের তরফে তাদের সমস্ত ডিভিশনকে বলা হচ্ছে, আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সমস্ত নিয়মিত মেল, এক্সপ্রেস ট্রেন ছাড়াও শহরতলির ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। অস্বস্তিতে পড়ে যাওয়া রেল মন্ত্রক দাবি করে, নির্দেশিকাটি ভুয়ো। রেল জানায়, ১২ অগস্ট পর্যন্ত স্পেশাল ট্রেন ছাড়া সব ধরনের ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকছে। পরবর্তী নির্দেশ জারি না-হওয়া পর্যন্ত নতুন করে ট্রেনও চলানো হবে না। এই সময়ের মধ্যে যাঁরা ট্রেনের অগ্রিম টিকিট কেটেছেন, তাঁদের মূল্য ফিরিয়ে দেওয়া হবে বলে জানায় রেল।
তবে সূত্রের মতে, ওই নির্দেশিকা ফাঁস হয়ে যাওয়ার কারণে তা অস্বীকার করতে বাধ্য হয় রেল। এখন ট্রেন চালানোর কথা ভাবছেই না কেন্দ্র। একাধিক রাজ্যে আনলক পর্ব শুরু হতে সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। রেল কর্মী এবং রেল রক্ষী বাহিনীর মধ্যেও সংক্রমণের হার ঊর্ধ্বমুখী। এই অবস্থায় লোকাল ট্রেন বা মেট্রো চালু করার অনুমতি দেওয়া সম্ভব নয় বলে মনে করছেন রেল কর্তারা। লোকাল ট্রেন চালুর বিষয়ে রাজ্যগুলির মতামতকে বেশি গুরুত্ব দিতে চেয়েছেন রেল কর্তারা। সংক্রমণের গতিপ্রকৃতির দিকে তাকিয়ে বেশির ভাগ রাজ্যই চায় না লোকাল ট্রেন চলুক।
আরও পড়ুন: কড়া চিঠি, সঙ্গে টুইট, পিএমকিসান প্রকল্প নিয়ে আবার তোপ ধনখড়ের
Some section of media is reporting that Railways has cancelled all regular trains till 30th September. This is not correct. No new circular has been issued by Ministry of Railways.
— Ministry of Railways (@RailMinIndia) August 10, 2020
Special Mail Express trains shall continue to run.
পশ্চিমবঙ্গে প্রতি সপ্তাহে একাধিক দিন করে লকডাউন চলায় রাজ্যের আবেদনের ভিত্তিতে দিল্লি, মুম্বই, আমদাবাদের মতো শহর থেকে আসা ট্রেনের সংখ্যা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। আপাতত সপ্তাহে এক দিন ওই সব ট্রেন আসছে। লকডাউনের দিনগুলিতে ট্রেন পুরোপুরি বন্ধ রাখা হচ্ছে। এই অবস্থায় সংক্রমণের লেখচিত্র নিম্নমুখী না-হলে শহরতলির ট্রেন ও মেট্রো চালু হওয়ার সম্ভাবনা কম। রেল কর্তারা বলছেন, পরিস্থিতির উন্নতি হলে প্রথমে মেট্রো এবং সব শেষে লোকাল ট্রেন চালানোর অনুমতি দেওয়া হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy