প্রতীকী ছবি।
প্রতি বার নববর্ষ এলে লক্ষ্মী-গণেশের মূর্তি তৈরির ব্যস্ততায় নিঃশ্বাস ফেলার ফুরসত মেলে না। অথচ ১৪২৭ বঙ্গাব্দের সূচনায় ওই দুই দেবদেবীর মূর্তি প্রায় তৈরিই হয়নি। কারণ, কর্মচারী নেই, বরাতও নেই বিশেষ। চূড়ান্ত আর্থিক সমস্যায় ভুগছেন কাশীপুর, রতনবাবু রোড, ডানলপ, নোয়াপাড়া, টবিন রোডের মৃৎশিল্পীরা। বিশ্বকর্মা, দুর্গাপুজোতেও বায়না কতটা হবে, তা নিয়ে এখন থেকেই চিন্তিত তাঁরা। এই অবস্থায় সাহায্য চেয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্বারস্থ হয়েছেন ওই সব শিল্পীরা।
করোনাভাইরাস প্রতিরোধের অন্যতম শর্ত, সর্বত্র জমায়েত এড়াতে হবে। তাই দেশ জুড়ে লকডাউন চলছে। এই পরিস্থিতিতেও অন্নপূর্ণা, শীতলা, কালীপ্রতিমা গড়ছিলেন মৃৎশিল্পীরা। কিন্তু মণ্ডপে না-গিয়ে তা তাঁদের কাছেই পড়ে আছে। অনেক প্রতিমায় রঙের প্রলেপও পড়েনি।
শিল্পীদের বক্তব্য, লকডাউনের ফলে কর্মী-কারিগরেরা বাড়ি চলে গিয়েছেন। অন্যান্য প্রতিমা মণ্ডপমুখী হয়নি। ফলে হাতে টাকাপয়সাও নেই। কাল, মঙ্গলবার নববর্ষ। অথচ লক্ষ্মী-গণেশের মূর্তির বায়না নেই। তাই সাহায্যের আবেদন জানিয়ে শনিবার মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লেখা হয়েছে বলে জানান পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য অনুন্নত কুম্ভকার সমিতির বরাহনগর আঞ্চলিক কমিটির সদস্য পঙ্কজ সাহা। তাঁর কথায়, ‘‘এখন তো সঙ্কট রয়েছে। বিশ্বকর্মা, দুর্গাপুজোয় প্রতিমা তৈরির কতটা সুযোগ থাকবে, জানি না। মহাজনের কাছ থেকে ধার নিয়েছি। সংসার চালিয়ে মহাজন, কর্মীদের প্রাপ্য দেওয়া সম্ভব হবে না। মুখ্যমন্ত্রী পাশে দাঁড়ালে হয়তো বাঁচব।’’
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy