প্রতীকী ছবি।
লোকসভা নির্বাচনের পরে বছর প্রায় ঘুরতে চলল। কিন্তু সেই ভোটের কাজে ব্যবহৃত বহু বেসরকারি বাসের বকেয়া টাকা অনেক মালিকই এখনও পাননি বলে বলে অভিযোগ। নির্বাচন পরিচালনা সংক্রান্ত বিভিন্ন কাজের সঙ্গে যুক্ত কর্মী, পুলিশ এবং নিরাপত্তারক্ষীদের যাতায়াতের জন্য রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় কয়েক হাজার বাস ভাড়া নেওয়া হয়েছিল। করোনা-আবহে লকডাউনের দরুন চূড়ান্ত ক্ষতির মুখে পড়া বাস-মালিকেরা এখন কিছুটা সুরাহার জন্য ভাড়ার সেই বকেয়া টাকা দাবি করছেন।
করোনার দাপটে রাজ্য জুড়ে গণপরিবহণ সম্পূর্ণ স্তব্ধ হয়ে পড়ায় পরিবহণকর্মীদের মতো সঙ্কটে বেসরকারি বাসের মালিকেরাও। সারা রাজ্যে বেসরকারি বাসের ক্ষুদ্র একটি অংশকে জরুরি প্রয়োজনে স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের যাতায়াতের কাজে লাগানো হচ্ছে। এর বাইরে অধিকাংশ বাসই কার্যত বসে রয়েছে। এই অবস্থায় কিছুটা সুরাহা পেতে বাস-মালিকদের একাংশ লোকসভা নির্বাচনে নেওয়া বাসের বকেয়া টাকা মিটিয়ে দেওয়ার দাবি তুলছেন। কয়েকটি জেলায় বাস-পিছু কিছু টাকা অগ্রিম দেওয়া হলেও মোটের উপরে বেশির ভাগ টাকাই বকেয়া বলে বাস-মালিকদের অভিযোগ। সাধারণ বেসরকারি বাসের ক্ষেত্রে প্রতিদিন ১৯১০ টাকা এবং মিনিবাসের ক্ষেত্রে ১৫৮০ টাকা করে ভাড়া দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছিল। কয়েকটি জেলায় অল্প কিছু ক্ষেত্রে ৫০ থেকে ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত টাকা অগ্রিম দেওয়া হলেও বেশির ভাগ টাকাই বকেয়া বলে অভিযোগ বাস-মালিকদের। রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় নির্বাচন পরিচালনা করার দায়িত্বে থাকেন জেলাশাসকেরা। মূলত জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপারদের তত্ত্বাবধানেই বাস নেওয়া হয় বলে দাবি বাস-মালিক সংগঠনের।
‘‘সারা রাজ্যে কয়েক হাজার বাসের টাকা বাকি আছে। ওই টাকা পেলে এই দুঃসময়ে কিছুটা সুরাহা হয়,’’ বলেন জয়েন্ট কাউন্সিল অব বাস সিন্ডিকেটসের সাধারণ সম্পাদক তপন বন্দ্যোপাধ্যায়। অল বেঙ্গল বাস মিনিবাস সমন্বয় সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাহুল চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বাস-পিছু পাওনা আছে মাত্র কয়েক হাজার টাকা। সেটা পেতেও অনেক কাঠখড় পোড়াতে হচ্ছে।’’
অনেক জেলাতেই বাসের প্রাপ্য টাকা দেওয়ার কাজ বন্ধ রয়েছে বলে অভিযোগ। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী অফিসারের (সিইও) দফতর সূত্রের খবর, লোকসভা নির্বাচন সংক্রান্ত ব্যয়বরাদ্দ নিয়ম করেই জেলায় পাঠানো হচ্ছে। কিন্তু ওই ব্যয়বরাদ্দ থেকে কোন খাতে কত টাকা আগে দেওয়া হবে, সেটা সম্পূর্ণ ভাবে নির্ভর করে জেলা নির্বাচন অফিসার তথা জেলাশাসকদের উপরে। জেলা প্রশাসন কোথায় কবে টাকা খরচ করবে, সেই বিষয়ে পরামর্শ বা নির্দেশ দেওয়ার এক্তিয়ার নেই সিইও-র দফতরের। ভোটের কালি, বৈদ্যুতিন ভোটযন্ত্র (ইভিএম), ভিভিপ্যাটের ব্যাটারি কিংবা সিলের ক্ষেত্রে সরাসরি টাকা খরচ করে থাকে সিইও দফতর। বাকিটা করে জেলা প্রশাসন। বিভিন্ন জেলা প্রশাসনের দাবি, এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হচ্ছে।
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy