বাড়ি থেকে বেরোলেন মলয় ঘটক। নিজস্ব চিত্র
প্রায় সাড়ে আট ঘণ্টা ধরে সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদের পর হাসিমুখে বাড়ি থেকে বেরোলেন রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক। বেরিয়ে গাড়িতে ওঠার সময় হাত নাড়তে নাড়তে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ‘‘বিচারাধীন বিষয়। কোনও মন্তব্য করব না।’’
বুধবার সকাল ৮টা নাগাদ মলয়ের ডালহৌসির সরকারি বাসভবনে যান কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দারা। তার আগেই অবশ্য আসানসোল এবং কলকাতায় মলয়ের আরও পাঁচটি বাড়িতে তল্লাশি অভিযান শুরু করে দেয় সিবিআই। তল্লাশি চালানো হয় আলিপুর এলাকায় মন্ত্রীর এক ঘনিষ্ঠের বাড়িতেও। পরে রাজভবনের পাশে ডালহৌসি চত্বরে মন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে গিয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। সেখান থেকে তাঁরা বিকেল সাড়ে ৪টে নাগাদ বেরিয়েছেন। প্রায় একই সময় আসানসোলে মলয়ের পৈতৃক থেকেও বেরিয়েছে সিবিআই।
মলয়ের ভাই অভিজিৎ ঘটক বলেন, ‘‘সিবিআই কোনও সার্চ ওয়ারেন্ট দেখাতে পারেনি। আমি নিজে আইনজীবী। আমার বাবা-দাদু-দাদা সকলেই আইনজীবী আইনের বিষয়টা ভাল বুঝি। মধ্যবিত্ত সচ্ছল পরিবারে যা যা সম্পত্তি থাকার কথা, তা-ই রয়েছে।’’
বুধবার মলয়কে যখন তাঁর সরকারি বাসভবনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে, তখন তাঁর লেক গার্ডেন্সের বাড়িতেও পৌঁছে যায় সিবিআইয়ের আর একটি দল। কেন্দ্রীয় বাহিনী ঘিরে ফেলে মন্ত্রীর কলকাতার দুই বাড়ির চারপাশ। অন্য দিকে, আসানসোলের বাড়িতেও তল্লাশি চলাকালীন মলয়ের পরিবারের সদস্যদের থেকে মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়া হয়, তাঁদের একটি ঘরে বসিয়ে বাড়ির অন্য অংশে তল্লাশি চালানো হয় বলে খবর সংবাদ সংস্থা সূত্রে।
সম্প্রতি কয়লা পাচার মামলায় অতি সক্রিয় হয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। গত শুক্রবার তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি। এর আগে এই মামলাতেই মলয়কে ইডি নোটিস পাঠিয়েছিল। আসানসোল উত্তরের বিধায়ক মলয় ইডির তলব পেয়ে এক বার দিল্লিতে গিয়েছেনও। তবে তার পর ইডির অনেকগুলি নোটিস পেয়েও সাড়া দেননি মলয়। এ বার তাঁকে সাড়ে আট ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করল সিবিআই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy