ছবি রয়টার্স।
বিশ্ব জুড়ে সতর্কতার অন্ত নেই। করোনাভাইরাসের মোকাবিলায় সার্বিক ভাবে আঁটোসাঁটো বন্দোবস্তের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। সেই নিশ্ছিদ্র ব্যবস্থা করতে গোয়েন্দা বিভাগের (আইবি) সাহায্য নিচ্ছে রাজ্য প্রশাসন। সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, এ রাজ্যের সঙ্গে থাকা আন্তর্জাতিক সীমান্ত এলাকাগুলির সবিস্তার তথ্য পেতে আইবি-কে দ্রুত রিপোর্ট পেশের নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন।
ভুটান, নেপাল ও বাংলাদেশের সঙ্গে সীমান্ত রয়েছে এ রাজ্যের। সরকারি ভাবে খাতায়-কলমে এই সব এলাকায় ২৯টি বড় পরিচিত সীমান্ত চৌকি আছে। তার মধ্যে ‘ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্ট’ বা সুসংহত ফাঁড়ি যেমন আছে, তেমনই আছে ‘ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট’ বা অভিবাসন ফাঁড়িও। কিন্তু এর বাইরেও ছোটখাটো বহু সীমান্ত-বিন্দু দিয়ে যাতায়াত চলে। পুলিশ ও প্রশাসনিক সূত্রের খবর, আইবি-কে সেই সব সীমান্ত-বিন্দুরই পূর্ণাঙ্গ তথ্য দিতে বলা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট মহলের এক কর্তা বলেন, “এগুলি দিয়ে বৈধ ভাবেই যাতায়াত হয়। কিন্তু খুব ছোট সীমান্ত এলাকা বলে এই জায়গাগুলি ততটা পরিচিত নয়।”
করোনা নিয়ে কিছু দিন আগে প্রশাসনিক ও জেলা কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে শুধু আন্তর্জাতিক সীমান্ত নয়, রোগ মোকাবিলায় রাজ্যের ভিতরে গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রগুলিতেও পরিকাঠামো প্রস্তুত রাখার উপরে জোর দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। অসামরিক বিমান পরিবহণ, বন্দর, রেলের মতো কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির পাশাপাশি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বিভাগেরও (আইবি) সহযোগিতা ও সমন্বয় চেয়েছেন তিনি। জেলা স্তরের এক স্বাস্থ্যকর্তা বলেন, “শুধু পরিচিত ও বড় সীমান্ত এলাকাগুলিতে নজরদারি চালালে চলবে না। নজরদারির আওতায় রাখতে হবে ছোট, তুলনায় অপরিচিত সীমান্ত এলাকাগুলিকেও।’’
জেলা প্রশাসনিক সূত্রের খবর, সব সীমান্ত এলাকার তথ্য হাতে এলে পৃথক পৃথক দল গড়া হবে। সেই সব দলকে মোতায়ন করা হবে সীমান্ত এলাকায়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার আগে পর্যন্ত তারা সীমান্ত দিয়ে যাতায়াত করা মানুষের স্বাস্থ্যপরীক্ষা এবং সংশ্লিষ্ট প্রক্রিয়ার উপরে নজরদারি চালাবে। সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন এবং জেলা স্বাস্থ্যকর্তারা ওই দলগুলিকে সাহায্য করবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy