মশারির ভিতরে ডেঙ্গি আক্রান্ত রোগীদের রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ছবি: পিটিআই।
কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ডেঙ্গি নিয়ে আবার উদ্বেগ বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে একগুচ্ছ নির্দেশিকা দিলেন রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম। ডেঙ্গিতে আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসায় সময় নষ্ট করা যাবে না— বৈঠকে এমন নির্দেশই দিয়েছেন স্বাস্থ্যসচিব। পাশাপাশি অযথা রোগীদের যাতে অন্য হাসপাতালে স্থানান্তরিত না করা হয়, সেই বার্তাও দেওয়া হয়েছে বৈঠক থেকে। নদিয়া-সহ বেশ কয়েকটি জেলায় ডেঙ্গি পরিস্থিতি ‘উদ্বেগজনক’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রতিবছরই বর্ষার মরসুমে ডেঙ্গির উপদ্রব দেখা যায়। চলতি বছরেও এর ব্যতিক্রম ঘটেনি। গত কয়েক দিনে যে সাত জনের মৃত্যু হয়েছে, তাঁরা সকলেই ডেঙ্গিতে আক্রান্ত ছিলেন। এই আবহে আবার চিন্তা বাড়িয়েছে ডেঙ্গি। বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য ভবনে জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক, বিভিন্ন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠকে বসেন রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব। ওই বৈঠক থেকেই ডেঙ্গি মোকাবিলায় একগুচ্ছ নির্দেশিকা দিয়েছেন স্বাস্থ্যসচিব।
ডেঙ্গি পরিস্থিতিতে নদিয়া, উত্তর ২৪ পরগনা, হুগলি জেলা উদ্বেগ বাড়িয়েছে বলে বৈঠকে তুলে ধরা হয়েছে। বিশেষ করে নদিয়ায় প্রায় ৪০০ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত। জেলার চাকদহ, রানাঘাটে বিশেষ নজর দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। নদিয়া এবং উত্তর ২৪ পরগনার সীমানা লাগোয়া এলাকাতেও বাড়তি নজরদারি চালানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
ডেঙ্গি উপসর্গ নিয়ে কোনও রোগী হাসপাতালে এলে তাঁর পরীক্ষা করাতে হবে। ডেঙ্গি পরীক্ষা বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। হাসপাতালগুলিতে পর্যাপ্ত বেড, প্লেটলেটের ব্যবস্থা রাখতে বলা হয়েছে। হাসপাতালে ‘ফিভার ক্লিনিক’ তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ডেঙ্গি আক্রান্ত রোগীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিতে হবে হাসপাতালগুলিকে। শিশুদের চিকিৎসার জন্য বিসি রায় হাসপাতালকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। হাসপাতাল পরিষ্কার রাখার কথাও বলা হয়েছে বৈঠকে। ডেঙ্গি রোগীর চিকিৎসায় প্লেটলেট সংক্রান্ত যে নির্দেশিকা রয়েছে, তা মেনে চলতে হবে। রোগীর চিকিৎসা সংক্রান্ত নথি গুরুত্ব সহকারে রাখার কথাও বলা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy